জয়পুরহাট প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে জয়পুরহাটে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিনজনের মধ্যে মেহেদী হাসান বিশাল নামে একজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের বাটার মোড়ে জড়ো হন। একই স্থানে আগে থেকে জড়ো হয়ে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের জিরো পয়েন্ট-পাঁচুরমোড় আসেন। এ সময় পুলিশ ওই সড়কে ব্যারিকেড দেয়। পাঁচুর মোড়ের অদূরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থানরত কিছু লোকজন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে উসকানি দিতে থাকেন। তখন আন্দোলনকারীরা পেছন দিক থেকে রেলগেট অতিক্রম করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালান।
আন্দোলনকারীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জনকে পিটিয়ে জখম করেন। একই সঙ্গে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করেন এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থাকা পাঁচটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তাঁরা রেলস্টেশনসংলগ্ন ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এতে একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ছাড়াও অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন পথচারী, ২০ আওয়ামী লীগ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হন। আহতদের জয়পুরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেলা ২টা পর্যন্ত ৬৮ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মেহেদী হাসান বিশালের (১৮) অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বগুড়া স্থানান্তর করা হয়। পথে কালাই উপজেলা সদরে পৌঁছালে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাঁকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য নেওয়া হয়। তখন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজনীন নাহার ডেইজি মেহেদী হাসান বিশালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে মেহেদী হাসানের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হন। এরপর বিকেলে আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে তাঁরা জয়পুরহাট সদর থানা কার্যালয় ঘেরাও করতে আসেন। তখন পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর পাওয়া যায়। এ খবর লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা পর্যন্ত) এখন শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে জয়পুরহাটে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিনজনের মধ্যে মেহেদী হাসান বিশাল নামে একজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের বাটার মোড়ে জড়ো হন। একই স্থানে আগে থেকে জড়ো হয়ে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের জিরো পয়েন্ট-পাঁচুরমোড় আসেন। এ সময় পুলিশ ওই সড়কে ব্যারিকেড দেয়। পাঁচুর মোড়ের অদূরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থানরত কিছু লোকজন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে উসকানি দিতে থাকেন। তখন আন্দোলনকারীরা পেছন দিক থেকে রেলগেট অতিক্রম করে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালান।
আন্দোলনকারীরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জনকে পিটিয়ে জখম করেন। একই সঙ্গে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করেন এবং সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থাকা পাঁচটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তাঁরা রেলস্টেশনসংলগ্ন ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এতে একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ছাড়াও অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন পথচারী, ২০ আওয়ামী লীগ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হন। আহতদের জয়পুরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেলা ২টা পর্যন্ত ৬৮ জনকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মেহেদী হাসান বিশালের (১৮) অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বগুড়া স্থানান্তর করা হয়। পথে কালাই উপজেলা সদরে পৌঁছালে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাঁকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য নেওয়া হয়। তখন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজনীন নাহার ডেইজি মেহেদী হাসান বিশালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে মেহেদী হাসানের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হন। এরপর বিকেলে আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে তাঁরা জয়পুরহাট সদর থানা কার্যালয় ঘেরাও করতে আসেন। তখন পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর পাওয়া যায়। এ খবর লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা পর্যন্ত) এখন শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
৪০ মিনিট আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে