নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
তুখোড় ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান মন্টু নব্বইয়ের আন্দোলনে ছিলেন সামনের সারিতে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও তাকে খুব স্নেহ করতেন। রাজশাহী এলে যেতেন মন্টুর বাড়িতে। মন্টু দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও। ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য। সেই মন্টু বিএনপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম)।
ভোটের আগে নিবন্ধন পাওয়া এ দলের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তিনি। দলটির রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। কেন বিএনপি ছাড়লেন এমন প্রশ্নে আজ শুক্রবার বিকেলে মতিউর রহমান মন্টু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘অশিক্ষিত লোকের নেতৃত্বে রাজনীতি করা যায় না। তারা কথা বলা জানে না। বেফাঁস মন্তব্য করে। যেখানে যায়, সেখানেই একটা করে মামলা খায়। এটা তো হয় না।’
বিএনপিতে এখন যোগ্য লোকের জায়গা নেই। সেখানে টাকার খেলা চলছে, এমন অভিযোগ করে মন্টু বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি দুজন করে নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। আমি ছিলাম ১ নম্বরে, ২ নম্বরে ছিল অন্যজন। মহাসচিব আমাকে বললেন, বিকেলেই যেন আমি মনোনয়নের চিঠি নিয়ে আসি। তার আগেই শুনছি, আমি হয়ে গিয়েছি ২। ১ নম্বরে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অন্যজনকে। এটা নাকি হয়েছিল টাকার জন্য।’
মন্টু বলেন, ‘বুকের ভেতর অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা আছে। বিএনপিতে একেবারেই অচলাবস্থা চলছে। পবায় দুই দুইটা কমিটি, কিন্তু কোনো প্রোগ্রাম করতে পারি না। জেলা কমিটি কোনো ব্যবস্থা নেয় না। তাই যখন দেখলাম বিএনপি থেকেই অনেকেই বিএনএমে গিয়েছেন এবং আমার কাছে প্রস্তাব এলো, তখন আমি এটা গ্রহণ করেছি। বিএনএমের প্রথম কমিটিতে আমাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল। পরের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে।’
মন্টু বিএনএমে যোগ দেওয়ার পরে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে। তবে মন্টু বলছেন, ‘একবছর আগেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন দল থেকে।’
তিনি বলেন, ‘মনের দুঃখ নিয়ে একবার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিলাম। তিনি সেটা ছিঁড়ে ফেললেন। আরেকবার নিয়ে গিয়ে দিলাম। বালিশের নিচে রেখে দিলেন। এখন শুনছি আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা খুবই হাস্যকর।’
মতিউর রহমান মন্টুর বিএনএমে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘মন্টু সুযোগসন্ধানী লোক। সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সে জন্য এই দলে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচনের নামে তিনি যখন আরেকটা তামাশা দেখবেন, তখন তাঁর হুশ ফিরবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান মন্টু বলেন, ‘বিএনপির জন্য জীবন-যৌবন শেষ করেছি। টাকা নষ্ট করেছি। তাদের নিয়ে খারাপ কথা বলতে চাই না। তবে ভোট সুষ্ঠু হবে এটা আশা করছি। সরকারপ্রধান এবং নির্বাচন কমিশন সেই আশ্বাস দিয়েছে। যদি ভোট সুষ্ঠু হয়, রাতের বেলায় ভোট কাটাকাটি না হয়, তাহলে তো ভালই। তা না হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।’
রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার প্রার্থী হতে ৬০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয়জন প্রার্থী ছাড়াও দলটির অন্য ১৫ জন নেতা কর্মী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই ১৫ জনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নবঞ্চিত এমপিও আছেন। রাজশাহী-৬ আসনে সাবেক ছাত্রদল নেতা খাইরুল ইসলামও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
রাজশাহীর ছয় আসনে বিএনপি কিংবা জামায়াতের অন্য কোনো নেতা প্রার্থী হননি। তবে গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, মুক্তিজোট, এনপিপি, বিএনএফ, বিএনএমের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
তুখোড় ছাত্রদল নেতা মতিউর রহমান মন্টু নব্বইয়ের আন্দোলনে ছিলেন সামনের সারিতে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও তাকে খুব স্নেহ করতেন। রাজশাহী এলে যেতেন মন্টুর বাড়িতে। মন্টু দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও। ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য। সেই মন্টু বিএনপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম)।
ভোটের আগে নিবন্ধন পাওয়া এ দলের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তিনি। দলটির রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছেন। কেন বিএনপি ছাড়লেন এমন প্রশ্নে আজ শুক্রবার বিকেলে মতিউর রহমান মন্টু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘অশিক্ষিত লোকের নেতৃত্বে রাজনীতি করা যায় না। তারা কথা বলা জানে না। বেফাঁস মন্তব্য করে। যেখানে যায়, সেখানেই একটা করে মামলা খায়। এটা তো হয় না।’
বিএনপিতে এখন যোগ্য লোকের জায়গা নেই। সেখানে টাকার খেলা চলছে, এমন অভিযোগ করে মন্টু বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি দুজন করে নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। আমি ছিলাম ১ নম্বরে, ২ নম্বরে ছিল অন্যজন। মহাসচিব আমাকে বললেন, বিকেলেই যেন আমি মনোনয়নের চিঠি নিয়ে আসি। তার আগেই শুনছি, আমি হয়ে গিয়েছি ২। ১ নম্বরে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অন্যজনকে। এটা নাকি হয়েছিল টাকার জন্য।’
মন্টু বলেন, ‘বুকের ভেতর অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা আছে। বিএনপিতে একেবারেই অচলাবস্থা চলছে। পবায় দুই দুইটা কমিটি, কিন্তু কোনো প্রোগ্রাম করতে পারি না। জেলা কমিটি কোনো ব্যবস্থা নেয় না। তাই যখন দেখলাম বিএনপি থেকেই অনেকেই বিএনএমে গিয়েছেন এবং আমার কাছে প্রস্তাব এলো, তখন আমি এটা গ্রহণ করেছি। বিএনএমের প্রথম কমিটিতে আমাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল। পরের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে।’
মন্টু বিএনএমে যোগ দেওয়ার পরে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে। তবে মন্টু বলছেন, ‘একবছর আগেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন দল থেকে।’
তিনি বলেন, ‘মনের দুঃখ নিয়ে একবার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিলাম। তিনি সেটা ছিঁড়ে ফেললেন। আরেকবার নিয়ে গিয়ে দিলাম। বালিশের নিচে রেখে দিলেন। এখন শুনছি আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা খুবই হাস্যকর।’
মতিউর রহমান মন্টুর বিএনএমে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘মন্টু সুযোগসন্ধানী লোক। সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সে জন্য এই দলে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচনের নামে তিনি যখন আরেকটা তামাশা দেখবেন, তখন তাঁর হুশ ফিরবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান মন্টু বলেন, ‘বিএনপির জন্য জীবন-যৌবন শেষ করেছি। টাকা নষ্ট করেছি। তাদের নিয়ে খারাপ কথা বলতে চাই না। তবে ভোট সুষ্ঠু হবে এটা আশা করছি। সরকারপ্রধান এবং নির্বাচন কমিশন সেই আশ্বাস দিয়েছে। যদি ভোট সুষ্ঠু হয়, রাতের বেলায় ভোট কাটাকাটি না হয়, তাহলে তো ভালই। তা না হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।’
রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে এবার প্রার্থী হতে ৬০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয়জন প্রার্থী ছাড়াও দলটির অন্য ১৫ জন নেতা কর্মী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই ১৫ জনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নবঞ্চিত এমপিও আছেন। রাজশাহী-৬ আসনে সাবেক ছাত্রদল নেতা খাইরুল ইসলামও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
রাজশাহীর ছয় আসনে বিএনপি কিংবা জামায়াতের অন্য কোনো নেতা প্রার্থী হননি। তবে গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, মুক্তিজোট, এনপিপি, বিএনএফ, বিএনএমের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৬ ঘণ্টা আগে