সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে ‘অবৈধভাবে’ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যমুনাপারের মানুষ। বালু উত্তোলনের কারণে চলতি বছর বর্ষার আগেই সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাওয়াকোলা গ্রামটি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার সকালে যমুনা নদীর পাড়ে কাওয়াকোলা গ্রামের মানুষ বালু উত্তোলন বন্ধ ও নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, জিয়ারপাড়া মৌজার আয়তন ১১ দশমিক ৪৪ একর (৩৫ বিঘা)। জিয়ারপাড়া বালুমহালের পশ্চিমে কুড়িপাড়া-চিথুলিয়া গ্রাম, উত্তরে হাটবয়ড়া, পূর্বে কাওয়াকোলা ও দোগাছি মৌজা, দক্ষিণ বাঙ্গালপাড়া ও চাণ্ডালপাড়া গ্রাম রয়েছে। বর্তমানে জিয়ারপাড়া বালুমহালের পশ্চিমে কুড়িপাড়া-চিথুলিয়া, উত্তরে হাটবয়ড়া সম্পূর্ণ যমুনা নদীতে, পূর্বে কাওয়াকোলার অর্ধেক যমুনা নদীতে, বাকি অর্ধেক বাড়িঘর ও ফসলি জমি রয়েছে এবং দোগাছিতে বাড়িঘর ও ফসলি জমি রয়েছে। দক্ষিণে বাঙ্গালপাড়া ও চাণ্ডাল বয়ড়া সম্পূর্ণ যমুনা নদীতে।
জিয়ারপাড়া বালুমহালের ইজারাদার জিয়ারপাড়া মৌজার আয়তন ১১ দশমিক ৪৪ একর যায়গায় ড্রেজার না বসিয়ে কাওয়াকোলা ও দোগাছী গ্রামে বাড়িঘর, ফসলি জমির নদীতীরবর্তী স্থানে ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ওই ইউনিয়নের আবাদি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক, মুজিবকেল্লা, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নে কৈগাড়ী দোরতা, চাণ্ডাল বয়ড়া ও জিয়ারপাড়া গ্রামে বালুমহাল রয়েছে। কিন্তু জিয়ারপাড়া বালুমহালের ইজারাদারের লোকজন কাওয়াকোলা ও দোগাছী মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে চলতি বছর বন্যায় কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজামাল বলেন, ‘আমার ধানের প্রজেক্ট ছিল। সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর বন্যায় ভাঙনের কারণে বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছি। এ অবস্থায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে এলাকা ভেঙে নদীতে চলে যাবে, মানুষ গৃহহারা হয়ে যাবে, নদীতে ভেঙে যাবে ফসলি জমি। গত বছরও ভুট্টার আবাদ করেছি। আগামী বছর করতে পারব কি না, জানি না। যেভাবে হোক বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।’
এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক জিয়ারপাড়া বালুমহাল ইজারা দিয়েছেন। সেখান থেকে বালু উত্তোলন করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন ইজারাকৃত বালুমহালের বাইরে এসে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেবে। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তাই প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ, কাওয়াকোলা এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বক্তারা অতি দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয় আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট এস এম রফিকুল ইসলাম, নামদার মণ্ডল, আকরাম হোসেন হীরা, জালাল শেখ, বুলবুল আহমেদ, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিয়ারপাড়া বালুমহাল ইজারা দিয়েছি। বালুমহালে তফসিল অনুযায়ী জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা এটি মনিটরিং করছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি, তারা তফসিল অনুযায়ী বালু উত্তোলন করছে। তবে এলাকার লোকজন মানববন্ধন করেছে যে, ইজারাদার অবৈধভাবে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে। এই অভিযোগ সঠিক না।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘তবে এলাকার লোকজন যদি মনে করে বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার ক্ষতি হবে, বাড়ি-ঘর ভেঙে যাবে, আমরা সেটি পরীক্ষা করে দেখব। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী থেকে ‘অবৈধভাবে’ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে যমুনাপারের মানুষ। বালু উত্তোলনের কারণে চলতি বছর বর্ষার আগেই সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাওয়াকোলা গ্রামটি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার সকালে যমুনা নদীর পাড়ে কাওয়াকোলা গ্রামের মানুষ বালু উত্তোলন বন্ধ ও নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, জিয়ারপাড়া মৌজার আয়তন ১১ দশমিক ৪৪ একর (৩৫ বিঘা)। জিয়ারপাড়া বালুমহালের পশ্চিমে কুড়িপাড়া-চিথুলিয়া গ্রাম, উত্তরে হাটবয়ড়া, পূর্বে কাওয়াকোলা ও দোগাছি মৌজা, দক্ষিণ বাঙ্গালপাড়া ও চাণ্ডালপাড়া গ্রাম রয়েছে। বর্তমানে জিয়ারপাড়া বালুমহালের পশ্চিমে কুড়িপাড়া-চিথুলিয়া, উত্তরে হাটবয়ড়া সম্পূর্ণ যমুনা নদীতে, পূর্বে কাওয়াকোলার অর্ধেক যমুনা নদীতে, বাকি অর্ধেক বাড়িঘর ও ফসলি জমি রয়েছে এবং দোগাছিতে বাড়িঘর ও ফসলি জমি রয়েছে। দক্ষিণে বাঙ্গালপাড়া ও চাণ্ডাল বয়ড়া সম্পূর্ণ যমুনা নদীতে।
জিয়ারপাড়া বালুমহালের ইজারাদার জিয়ারপাড়া মৌজার আয়তন ১১ দশমিক ৪৪ একর যায়গায় ড্রেজার না বসিয়ে কাওয়াকোলা ও দোগাছী গ্রামে বাড়িঘর, ফসলি জমির নদীতীরবর্তী স্থানে ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ওই ইউনিয়নের আবাদি জমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক, মুজিবকেল্লা, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নে কৈগাড়ী দোরতা, চাণ্ডাল বয়ড়া ও জিয়ারপাড়া গ্রামে বালুমহাল রয়েছে। কিন্তু জিয়ারপাড়া বালুমহালের ইজারাদারের লোকজন কাওয়াকোলা ও দোগাছী মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে ফসলি জমি, বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে চলতি বছর বন্যায় কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজামাল বলেন, ‘আমার ধানের প্রজেক্ট ছিল। সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছর বন্যায় ভাঙনের কারণে বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছি। এ অবস্থায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে এলাকা ভেঙে নদীতে চলে যাবে, মানুষ গৃহহারা হয়ে যাবে, নদীতে ভেঙে যাবে ফসলি জমি। গত বছরও ভুট্টার আবাদ করেছি। আগামী বছর করতে পারব কি না, জানি না। যেভাবে হোক বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।’
এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক জিয়ারপাড়া বালুমহাল ইজারা দিয়েছেন। সেখান থেকে বালু উত্তোলন করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন ইজারাকৃত বালুমহালের বাইরে এসে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেবে। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তাই প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ, কাওয়াকোলা এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
বক্তারা অতি দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয় আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট এস এম রফিকুল ইসলাম, নামদার মণ্ডল, আকরাম হোসেন হীরা, জালাল শেখ, বুলবুল আহমেদ, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিয়ারপাড়া বালুমহাল ইজারা দিয়েছি। বালুমহালে তফসিল অনুযায়ী জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা এটি মনিটরিং করছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি, তারা তফসিল অনুযায়ী বালু উত্তোলন করছে। তবে এলাকার লোকজন মানববন্ধন করেছে যে, ইজারাদার অবৈধভাবে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে। এই অভিযোগ সঠিক না।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘তবে এলাকার লোকজন যদি মনে করে বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার ক্ষতি হবে, বাড়ি-ঘর ভেঙে যাবে, আমরা সেটি পরীক্ষা করে দেখব। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
৩ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে