রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুরে কোনো নিয়ম না মেনেই চলছে ইটভাটা। উচ্চ আদালত গত নভেম্বরে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের চোখের সামনেই পুড়ছে শত শত একর জমির উর্বর মাটি। এতে আবাদি জমি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেই এসব চলছে বলে দাবি কিছু মালিকের।
কয়েকজন ইটভাটার মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেরপুর উপজেলায় মোট ২৪টি ইটভাটার মধ্যে এ বছর চালু আছে ১৪টি। ২০১৮ সালের পর থেকে তাদের লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়নি। তাই সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটাগুলো চলছে বলে তারা স্বীকার করেছেন।
প্রতিবছর অগ্রহায়ণ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে ইট পোড়ানোর মৌসুম। প্রতিবছর এই উপজেলায় প্রায় ১০ কোটি ইট উৎপাদন করা হয়। ইটভাটাগুলোতে প্রতিবছর ৫৪ হেক্টর ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
ফলে ইটভাটাগুলোর চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর আবাদি তিন ফসলি জমি উজাড় করে মাটি কাটার ধুম চলে। প্রশাসনের উদ্যোগে কখনো কখনো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। তবে সেগুলো লোক দেখানো বলে অভিমত স্থানীয় জনগণের।
ভবানীপুর ইউনিয়নের গাড়ই গ্রামের মমতাজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার প্রায় সব ইটভাটাই ফসলি জমি নষ্ট করে তৈরি করা হয়েছে। ইটভাটা থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বের হয়। এর ফলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আগের মতো আর গাছে ফলও ধরে না।’
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘মাটিবাহী ট্রাকের কারণে আঞ্চলিক সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত ২১ফেব্রুয়ারিতেও একটি শিশু তার বাড়ির সামনেই ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে। অথচ আইনে বলা আছে, এলজিইডির কোনো সড়ক মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’
খানপুর ইউনিয়নের আফসার আলী বলেন, ‘মাটিখেকোরা ফসলি জমি ধ্বংস করছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা অভিযানের নামে লুকোচুরি খেলেন। কিন্তু তাঁরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা ইটভাটার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। তা ছাড়া প্রতিবছর তাঁরা সরকারকে ভ্যাট ও আয়কর দিয়ে থাকেন। তাই তাঁদের ব্যবসা অবৈধ নয় বলে দাবি।
ভবানীপুর ইউনিয়নের গাড়ই গ্রামের এমএস ব্রিকসের মালিক বলেন, ‘আমার এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নকাজের জন্যও ইটের দরকার হয়। আমরা উৎপাদন না করলে জনগণ বা সরকার ইট পাবে কোথায়?’
একই এলাকার এএসবি ভাটার মালিক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ টাকা ভ্যাট দেই। এ ছাড়া জাতীয় দিবসগুলোতে ও সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদা দেই। আমরা অবৈধ হলে সরকার আমাদের কাছ থেকে টাকা নেবে কেন?’
শেরপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিরু বলেন, ‘সরকার সারা দেশেই ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা হয়েছে।’ তবে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নির্দেশনা কী, তা তিনি বলতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘ইটভাটাগুলোর কারণে প্রতি বছর কী পরিমাণে আবাদি জমি পুকুর বা জলাভূমিতে পরিণত হচ্ছে, তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে এই ইটভাটাগুলো প্রতিবছর প্রায় ৫৪ হেক্টর আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করে। এ ছাড়া ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া কৃষি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি দরকার।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা। তবে তিনি বলেছেন, ‘সামগ্রিক বিষয়ে পর্যায়ক্রমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ার শেরপুরে কোনো নিয়ম না মেনেই চলছে ইটভাটা। উচ্চ আদালত গত নভেম্বরে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের চোখের সামনেই পুড়ছে শত শত একর জমির উর্বর মাটি। এতে আবাদি জমি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেই এসব চলছে বলে দাবি কিছু মালিকের।
কয়েকজন ইটভাটার মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেরপুর উপজেলায় মোট ২৪টি ইটভাটার মধ্যে এ বছর চালু আছে ১৪টি। ২০১৮ সালের পর থেকে তাদের লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়নি। তাই সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটাগুলো চলছে বলে তারা স্বীকার করেছেন।
প্রতিবছর অগ্রহায়ণ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে ইট পোড়ানোর মৌসুম। প্রতিবছর এই উপজেলায় প্রায় ১০ কোটি ইট উৎপাদন করা হয়। ইটভাটাগুলোতে প্রতিবছর ৫৪ হেক্টর ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
ফলে ইটভাটাগুলোর চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর আবাদি তিন ফসলি জমি উজাড় করে মাটি কাটার ধুম চলে। প্রশাসনের উদ্যোগে কখনো কখনো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। তবে সেগুলো লোক দেখানো বলে অভিমত স্থানীয় জনগণের।
ভবানীপুর ইউনিয়নের গাড়ই গ্রামের মমতাজুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার প্রায় সব ইটভাটাই ফসলি জমি নষ্ট করে তৈরি করা হয়েছে। ইটভাটা থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বের হয়। এর ফলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আগের মতো আর গাছে ফলও ধরে না।’
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘মাটিবাহী ট্রাকের কারণে আঞ্চলিক সড়কগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত ২১ফেব্রুয়ারিতেও একটি শিশু তার বাড়ির সামনেই ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে। অথচ আইনে বলা আছে, এলজিইডির কোনো সড়ক মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’
খানপুর ইউনিয়নের আফসার আলী বলেন, ‘মাটিখেকোরা ফসলি জমি ধ্বংস করছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা অভিযানের নামে লুকোচুরি খেলেন। কিন্তু তাঁরা অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।’
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা ইটভাটার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। তা ছাড়া প্রতিবছর তাঁরা সরকারকে ভ্যাট ও আয়কর দিয়ে থাকেন। তাই তাঁদের ব্যবসা অবৈধ নয় বলে দাবি।
ভবানীপুর ইউনিয়নের গাড়ই গ্রামের এমএস ব্রিকসের মালিক বলেন, ‘আমার এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নকাজের জন্যও ইটের দরকার হয়। আমরা উৎপাদন না করলে জনগণ বা সরকার ইট পাবে কোথায়?’
একই এলাকার এএসবি ভাটার মালিক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি প্রতিবছর প্রায় ৫ লাখ টাকা ভ্যাট দেই। এ ছাড়া জাতীয় দিবসগুলোতে ও সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদা দেই। আমরা অবৈধ হলে সরকার আমাদের কাছ থেকে টাকা নেবে কেন?’
শেরপুর ইটভাটা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিরু বলেন, ‘সরকার সারা দেশেই ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা হয়েছে।’ তবে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নির্দেশনা কী, তা তিনি বলতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘ইটভাটাগুলোর কারণে প্রতি বছর কী পরিমাণে আবাদি জমি পুকুর বা জলাভূমিতে পরিণত হচ্ছে, তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে এই ইটভাটাগুলো প্রতিবছর প্রায় ৫৪ হেক্টর আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করে। এ ছাড়া ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া কৃষি পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি দরকার।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা। তবে তিনি বলেছেন, ‘সামগ্রিক বিষয়ে পর্যায়ক্রমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে