প্রতিনিধি, বগুড়া
২২ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন বগুড়ার আমেনা খাতুন (৮০)। এর পর কয়েক বছরে খোঁজ না মেলায় ধরে নেওয়া হচ্ছিল তিনি আর বেঁচে নেই। তিন ছেলে, এক মেয়েও তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রে মায়ের নামের আগে যুক্ত করে নিয়েছিলেন 'মৃত'।
তবে ২২ বছর পরে এসে আমেনা খাতুনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফেসবুক পোস্টের সুবাদে জানা গেছে ওই নারী নেপালে রয়েছেন। এরই মধ্যে এক ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে তাঁর কথা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে নেপালের একটি বিশেষ বিমানে তাঁকে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আমেনা খাতুনের নাতি আদিলুর রহমান আদিল জানান, আমেনা খাতুন প্রায় ৪০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে অসুস্থতার আগে তিনি আমজাদ হোসেন, ফটিক মিয়া ও ফরিদ মিয়া নামে তিন ছেলে ও অসুস্থতার আগে আম্বিয়া নামের এক কন্যা সন্তানের মা হন। তবে ১৯৯৮ সালে আমেনা খাতুনও বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
তবে আমেনা খাতুনের সন্ধান মেলার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ আলম। আমেনার সন্ধান পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে লিখেন, নেপালে ২২ বছর পর মায়ের সন্ধান পেলেন বগুড়ার আমজাদ হোসেন প্রামাণিক। ২২ বছর আগে বগুড়ার ধুনটের আমেনা খাতুন বাড়ি থেকে অভিমান করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তার ৩ ছেলে ১ কন্যা সন্তানেরা তাকে খুঁজে না পেয়ে ধরে নিয়েছিলেন যে তাদের মা আর বেঁচে নেই। তাদের ভোটার আইডিতে মায়ের নাম পূর্বে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত আমেনা খাতুনের বয়স এখন প্রায় ৮০ বছর। তার বড় ছেলে আমজাদ হোসেনের বয়স এখন ৬০ বছর। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ সরকারি খরচে নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ বিমানে নেপাল থেকে ঢাকায় তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
উদ্ধারের মূল সূত্র প্রসঙ্গে মাসুদ রানা ফেসবুকে লিখেন, আমি নিজেও একই বিমানে ঢাকায় আসব। ৩০ মে নেপালে সুনসারি জেলার Qrc Inaruwa Sunsari এর Muk-esh Mehta তার ফেসবুকে ইনারোয়া পৌরসভার ডেপুটি মেয়র Jamuna Gautam পোখরেলের তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকৃত একজন বাংলাদেশের নারী রয়েছে উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেন। এতে Abhinav Chaudhary Chairman at Nepal Bangladesh youth Conclave আমাকে মন্তব্যে মেনশন করেন। অতঃপর আমি ফোনে আমেনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে ঠিকানা জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূতের পরামর্শে ১ জুন কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সুনরারিতে যাই। সে সময়ে নেপালব্যাপী লকডাউন এবং কোভিড আক্রান্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ইনারোয়াতে আমাকে সহায়তা করেন সুনসারি বাঙালি সমাজের সভাপতি বিপ্লব ঘোষ।
দীর্ঘ সময় আমেনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তার ঠিকানা উদ্ধার করে আমাদের বগুড়া জেলা অফিসের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা ও পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হই। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে নেপাল থেকে এই বৃদ্ধ অসহায় নারীকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট পাঠানোর বিষয়টি বর্তমান সরকারের তার দেশের নাগরিক ও প্রবাসে অসহায় মানুষে প্রতি দায়িত্ব ও এবং কর্তব্য পালনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আমিও সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় মানুষের সেবা করতে পেরে নিজ আনন্দে তৃপ্ত। মানুষতো মানুষেরই জন্য। আমেনা বেগমের বাকি জীবনটুকু তার পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটুক এ প্রত্যাশা করি।
আমেনার নাতি আদিল বলেন, দাদিকে বিমানবন্দর থেকে নিতে আমার বাবা, চাচাসহ সবাই ঢাকায় যাচ্ছেন। এই বিষয়টি চরম খুশির খবর। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবে সেখানে কীভাবে তিনি নেপালে গেলেন তা কেউ জানাতে পারেননি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দাদি নেপালে এক নারীর আশ্রয়ে ছিলেন।
জানতে চাইলে বগুড়া এএসআইয়ের উপপরিচালক মুজাহারুল ইসলাম মামুন বলেন, নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ আলমের তথ্য পেয়ে আমরা ওই নারীর ঠিকানা খুঁজে বের করি। এবং মাসুদ আলমের দক্ষতা ও বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতার কারণে ওই নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
২২ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন বগুড়ার আমেনা খাতুন (৮০)। এর পর কয়েক বছরে খোঁজ না মেলায় ধরে নেওয়া হচ্ছিল তিনি আর বেঁচে নেই। তিন ছেলে, এক মেয়েও তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রে মায়ের নামের আগে যুক্ত করে নিয়েছিলেন 'মৃত'।
তবে ২২ বছর পরে এসে আমেনা খাতুনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফেসবুক পোস্টের সুবাদে জানা গেছে ওই নারী নেপালে রয়েছেন। এরই মধ্যে এক ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে তাঁর কথা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে নেপালের একটি বিশেষ বিমানে তাঁকে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আমেনা খাতুনের নাতি আদিলুর রহমান আদিল জানান, আমেনা খাতুন প্রায় ৪০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে অসুস্থতার আগে তিনি আমজাদ হোসেন, ফটিক মিয়া ও ফরিদ মিয়া নামে তিন ছেলে ও অসুস্থতার আগে আম্বিয়া নামের এক কন্যা সন্তানের মা হন। তবে ১৯৯৮ সালে আমেনা খাতুনও বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
তবে আমেনা খাতুনের সন্ধান মেলার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ আলম। আমেনার সন্ধান পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে লিখেন, নেপালে ২২ বছর পর মায়ের সন্ধান পেলেন বগুড়ার আমজাদ হোসেন প্রামাণিক। ২২ বছর আগে বগুড়ার ধুনটের আমেনা খাতুন বাড়ি থেকে অভিমান করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তার ৩ ছেলে ১ কন্যা সন্তানেরা তাকে খুঁজে না পেয়ে ধরে নিয়েছিলেন যে তাদের মা আর বেঁচে নেই। তাদের ভোটার আইডিতে মায়ের নাম পূর্বে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত আমেনা খাতুনের বয়স এখন প্রায় ৮০ বছর। তার বড় ছেলে আমজাদ হোসেনের বয়স এখন ৬০ বছর। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ সরকারি খরচে নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ বিমানে নেপাল থেকে ঢাকায় তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
উদ্ধারের মূল সূত্র প্রসঙ্গে মাসুদ রানা ফেসবুকে লিখেন, আমি নিজেও একই বিমানে ঢাকায় আসব। ৩০ মে নেপালে সুনসারি জেলার Qrc Inaruwa Sunsari এর Muk-esh Mehta তার ফেসবুকে ইনারোয়া পৌরসভার ডেপুটি মেয়র Jamuna Gautam পোখরেলের তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকৃত একজন বাংলাদেশের নারী রয়েছে উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেন। এতে Abhinav Chaudhary Chairman at Nepal Bangladesh youth Conclave আমাকে মন্তব্যে মেনশন করেন। অতঃপর আমি ফোনে আমেনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে ঠিকানা জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূতের পরামর্শে ১ জুন কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সুনরারিতে যাই। সে সময়ে নেপালব্যাপী লকডাউন এবং কোভিড আক্রান্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ইনারোয়াতে আমাকে সহায়তা করেন সুনসারি বাঙালি সমাজের সভাপতি বিপ্লব ঘোষ।
দীর্ঘ সময় আমেনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তার ঠিকানা উদ্ধার করে আমাদের বগুড়া জেলা অফিসের প্রচেষ্টায় তার ঠিকানা ও পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হই। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে নেপাল থেকে এই বৃদ্ধ অসহায় নারীকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট পাঠানোর বিষয়টি বর্তমান সরকারের তার দেশের নাগরিক ও প্রবাসে অসহায় মানুষে প্রতি দায়িত্ব ও এবং কর্তব্য পালনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আমিও সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় মানুষের সেবা করতে পেরে নিজ আনন্দে তৃপ্ত। মানুষতো মানুষেরই জন্য। আমেনা বেগমের বাকি জীবনটুকু তার পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটুক এ প্রত্যাশা করি।
আমেনার নাতি আদিল বলেন, দাদিকে বিমানবন্দর থেকে নিতে আমার বাবা, চাচাসহ সবাই ঢাকায় যাচ্ছেন। এই বিষয়টি চরম খুশির খবর। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তবে সেখানে কীভাবে তিনি নেপালে গেলেন তা কেউ জানাতে পারেননি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দাদি নেপালে এক নারীর আশ্রয়ে ছিলেন।
জানতে চাইলে বগুড়া এএসআইয়ের উপপরিচালক মুজাহারুল ইসলাম মামুন বলেন, নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের কাউন্সিলর মাসুদ আলমের তথ্য পেয়ে আমরা ওই নারীর ঠিকানা খুঁজে বের করি। এবং মাসুদ আলমের দক্ষতা ও বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতার কারণে ওই নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩২ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে