রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে রাবিশ বিন স্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার রাবিশ বিন প্রোজেক্টের উদ্বোধন করেন। রাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে এসব বিন স্থাপন করা হয়েছে।

অ্যালামনাই সূত্রে জানা গেছে, দুটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে রাবিশ বিন স্থাপন করা হয়েছে। সে দুটি হলো—যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে পরিবেশ রক্ষার্থে নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা এবং মনের সাম্প্রদায়িক আবর্জনাকেও প্রতীকীভাবে রাবিশ বিনে বিসর্জন দেওয়া। 

এই উদ্যোগের বিষয়ে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক তারিক জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ আমাদের অনেক দিয়েছে, এখন আমাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের ঋণ কিছুটা হলেও ফেরত দেওয়া। আমরা যারা অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের উন্নত দেশে থাকি, তারা জানি কীভাবে এখানকার সাধারণ মানুষ পরিবেশ রক্ষায় সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। এখানকার প্রত্যেকটা বাড়িতে বা অফিসে নিজস্ব অর্থে কেনা মুখবন্ধ রাবিশ বিন থাকে। এটা পূর্ণ হয়ে গেলে বাড়ির গ্যারেজে বা বাইরের এক কোনায় থাকা সিটি কাউন্সিলের বিনে স্থানান্তর করা হয়, যা সপ্তাহ শেষে সিটি করপোরেশনের গাড়ি এসে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে এখনই এত সুন্দর ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব না হলেও কোথাও না কোথাও শুরু তো করতে হবে! তাই এই উদ্যোগ নেওয়া।’ 

সংগঠনটির সভাপতি জুলফিকার আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটেছে, যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে দেশের আপামর জনগণের ধর্মভীরুতার সুযোগ নিয়ে একটা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। আমরা অ্যালামনাই চাই, আমাদের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা ধার্মিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার পার্থক্যের ব্যাপারে সব সময় সচেতন এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবে। তাই আমাদের উদাত্ত আহ্বান, আসুন আমরা ধর্ম, বর্ণ, জাতি এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে সবাই মিলে আমাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করি; সবাই সমস্বরে বলি—আসুন আমরা আবর্জনা এবং সাম্প্রদায়িকতা দুটোই রাবিশ বিন এ ফেলি।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।