তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উদ্বেগজনক হারে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। ফলে একদিকে কমে যাচ্ছে দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমির পরিমাণ। অন্যদিকে যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসলি জমিতে চাষাবাদ। অবৈধ পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় জনমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিগত ১০ থেকে ১১ বছরে ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ফসলি জমি কমেছে প্রায় ৬০০ হেক্টর। পুকুর খননের ফলে উপজেলার মাধবপুর, শ্রীকৃষ্ণপুর, বোয়ালিয়া, মঙ্গলবাড়িয়া, বাশঁবাড়িয়া, তাড়াশ পৌর এলাকার ফসলি মাঠ, কাউরাইল, শোলাপাড়া, সরাপপুর, বোয়ালিয়া, ভায়াট, লালুয়ামাঝিড়া, কামারশোন, জাহাঙ্গীরগাতী, খুটিগাছা, নওগাঁ, সাকইদীঘি, বিনসাড়াসহ নিচু এলাকার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফসলি জমিতে জেগে উঠেছে আগাছা। এতে অনেক জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া পুকুর খনন করায় ফসলি মাঠ থেকে বর্ষার পানি সময়মতো নামতে না পারায় রবিশস্য চাষ করতে পারেননি কৃষকেরা। এতে বিলম্বিত হচ্ছে ইরি-বোরো আবাদও।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি মাঠে প্রায় দেড় সহস্রাধিক পুকুর খনন করা হয়েছে। এ পুকুর খননের ফলে প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ হেক্টর আবাদি জমি কমে গেছে। এ ছাড়াও বর্তমানে আবারও উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠে পুকুর খনন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকদের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাঁদের আবাদি জমি বার্ষিক লিজ নিয়ে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। যেখানে কৃষকেরা ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে বছরে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার লাভ করে থাকত। সেখানে পুকুর খনন করে প্রতি বিঘায় বছরে লিজ হিসেবে পাচ্ছেন ১৫-২০ হাজার টাকা। তাই বেশি মুনাফার লোভে কৃষকেরা জমি লিজ দিয়ে পুকুর খনন করছেন।
উপজেলার তাড়াশের একাধিক কৃষক বলেন, প্রতিবছর এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। এতে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আর যত্রতত্র পুকুর খনন করায় আবাদি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ফলে আগে যে জমিতে রবিশস্য চাষ করা হতো এখন জলাবদ্ধতার কারণে ধান চাষ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমি। ফলে ফসল উৎপাদনও কমে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উদ্বেগজনক হারে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে চলছে অবৈধ পুকুর খনন। ফলে একদিকে কমে যাচ্ছে দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমির পরিমাণ। অন্যদিকে যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসলি জমিতে চাষাবাদ। অবৈধ পুকুর খনন রোধে প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় জনমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিগত ১০ থেকে ১১ বছরে ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ফসলি জমি কমেছে প্রায় ৬০০ হেক্টর। পুকুর খননের ফলে উপজেলার মাধবপুর, শ্রীকৃষ্ণপুর, বোয়ালিয়া, মঙ্গলবাড়িয়া, বাশঁবাড়িয়া, তাড়াশ পৌর এলাকার ফসলি মাঠ, কাউরাইল, শোলাপাড়া, সরাপপুর, বোয়ালিয়া, ভায়াট, লালুয়ামাঝিড়া, কামারশোন, জাহাঙ্গীরগাতী, খুটিগাছা, নওগাঁ, সাকইদীঘি, বিনসাড়াসহ নিচু এলাকার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফসলি জমিতে জেগে উঠেছে আগাছা। এতে অনেক জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া পুকুর খনন করায় ফসলি মাঠ থেকে বর্ষার পানি সময়মতো নামতে না পারায় রবিশস্য চাষ করতে পারেননি কৃষকেরা। এতে বিলম্বিত হচ্ছে ইরি-বোরো আবাদও।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলি মাঠে প্রায় দেড় সহস্রাধিক পুকুর খনন করা হয়েছে। এ পুকুর খননের ফলে প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ হেক্টর আবাদি জমি কমে গেছে। এ ছাড়াও বর্তমানে আবারও উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠে পুকুর খনন শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকদের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাঁদের আবাদি জমি বার্ষিক লিজ নিয়ে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। যেখানে কৃষকেরা ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে বছরে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার লাভ করে থাকত। সেখানে পুকুর খনন করে প্রতি বিঘায় বছরে লিজ হিসেবে পাচ্ছেন ১৫-২০ হাজার টাকা। তাই বেশি মুনাফার লোভে কৃষকেরা জমি লিজ দিয়ে পুকুর খনন করছেন।
উপজেলার তাড়াশের একাধিক কৃষক বলেন, প্রতিবছর এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। এতে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। আর যত্রতত্র পুকুর খনন করায় আবাদি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ফলে আগে যে জমিতে রবিশস্য চাষ করা হতো এখন জলাবদ্ধতার কারণে ধান চাষ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমি। ফলে ফসল উৎপাদনও কমে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৮০ বছরের বেশি বয়স আবদুর রশিদের। বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় দিন পার করছেন তিনি। অভাবের সংসারে চিকিৎসার খরচ কিছুটা হলেও মেটাতে পারতেন সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের নম্বরে তিন মাস পরপর এই টাকা আসে। প্রতিবারের মতো এবারও..
১৮ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অন্তবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
২১ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলে ট্রাক চাপায় এক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা মাজার ভেঙে দিল এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার রাতে রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়িতে গড়ে তোলা বুরহান উদ্দিন (র.) নামের এ মাজার ভেঙে ফেলা হয়।
২৯ মিনিট আগে