রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
বগুড়ার শেরপুরে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। শেরপুর শহরের মুন ইরাফী গার্ডেন সিটি মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত দেড়টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আহত আহসান হাবীব সুজন (৩৫) শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। শুক্রবার রাত ২টায় প্রথমে তাকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে দুটি গ্রুপ বিরাজ করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ, অন্যটি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুর নেতৃত্বে চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য দুই পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি এমপি গ্রুপের পক্ষে থাকা উপজেলা যুবলীগ শেরপুর শহরে একটি কার্যালয় তৈরির উদ্যোগ নেয়। এর জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিটিসিএল অফিসের পূর্ব প্রাচীর ঘেঁষে ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। রাতেই শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ জায়গাটি নিজেদের দাবি করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার সকালে যুবলীগ আবারও কাজ শুরু করতে চায়। এ সময় মজিবর রহমান মজনুর গ্রুপে থাকা ছাত্রলীগের একটি অংশ পাশেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে জমায়েত হতে থাকে। পরে পুলিশ ঘর তৈরিতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকেই দিনভর ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে স্ট্যাটাস দিতে থাকে। সেখান থেকেই এই মুখোমুখি অবস্থানের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ মুন ইরাফী মার্কেটের সামনে আসেন। এ সময় তাদের ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় এমপির ছেলে ও ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল সনি, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে বেশ কিছু আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী একই মার্কেটের পূর্ব দিকের গেটে অবস্থান নেন। এর পর উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়ে মারমুখী অবস্থান নেন। খবর পেয়ে শেরপুর থানার পুলিশ এসে দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। মাঝে লোডশেডিংয়ের কারণে এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হলে দুই গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে সুজন (৩৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে ওই মার্কেটের দোতালায় বসে ছিলাম। এ সময় স্থানীয় এমপির ছেলে আসিফের নেতৃত্বে যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী মার্কেটের গেটে অবস্থান নেয়। মূলত তারা স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার অপচেষ্টা করছে।’
তবে এমপির পক্ষের লোকজনের দাবি বর্তমান আওয়ামী লীগের উপজেলা ও পৌর কমিটি অবৈধ। সম্প্রতি ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিও অবৈধ। তাই তারা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
এই পক্ষের নেতা ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাব খাঁটিয়ে একতরফা আওয়ামী লীগের উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করেছেন। সেখানে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা অবৈধ কমিটির নেতাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছি।’
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মার্কেটটি ফাঁকা করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
বগুড়ার শেরপুরে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। শেরপুর শহরের মুন ইরাফী গার্ডেন সিটি মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত দেড়টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আহত আহসান হাবীব সুজন (৩৫) শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। শুক্রবার রাত ২টায় প্রথমে তাকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে দুটি গ্রুপ বিরাজ করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ, অন্যটি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনুর নেতৃত্বে চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য দুই পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি এমপি গ্রুপের পক্ষে থাকা উপজেলা যুবলীগ শেরপুর শহরে একটি কার্যালয় তৈরির উদ্যোগ নেয়। এর জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিটিসিএল অফিসের পূর্ব প্রাচীর ঘেঁষে ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। রাতেই শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ জায়গাটি নিজেদের দাবি করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার সকালে যুবলীগ আবারও কাজ শুরু করতে চায়। এ সময় মজিবর রহমান মজনুর গ্রুপে থাকা ছাত্রলীগের একটি অংশ পাশেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে জমায়েত হতে থাকে। পরে পুলিশ ঘর তৈরিতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকেই দিনভর ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে স্ট্যাটাস দিতে থাকে। সেখান থেকেই এই মুখোমুখি অবস্থানের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ মুন ইরাফী মার্কেটের সামনে আসেন। এ সময় তাদের ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় এমপির ছেলে ও ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল সনি, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে বেশ কিছু আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী একই মার্কেটের পূর্ব দিকের গেটে অবস্থান নেন। এর পর উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা সমবেত হয়ে মারমুখী অবস্থান নেন। খবর পেয়ে শেরপুর থানার পুলিশ এসে দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়। তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। মাঝে লোডশেডিংয়ের কারণে এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হলে দুই গ্রুপই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে সুজন (৩৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পর উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে ওই মার্কেটের দোতালায় বসে ছিলাম। এ সময় স্থানীয় এমপির ছেলে আসিফের নেতৃত্বে যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী মার্কেটের গেটে অবস্থান নেয়। মূলত তারা স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থির করার অপচেষ্টা করছে।’
তবে এমপির পক্ষের লোকজনের দাবি বর্তমান আওয়ামী লীগের উপজেলা ও পৌর কমিটি অবৈধ। সম্প্রতি ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিও অবৈধ। তাই তারা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
এই পক্ষের নেতা ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাব খাঁটিয়ে একতরফা আওয়ামী লীগের উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করেছেন। সেখানে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা অবৈধ কমিটির নেতাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছি।’
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মার্কেটটি ফাঁকা করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে