মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
স্ত্রী আর দুই সন্তানের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত ছিল যে বাড়িতে সেই বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ জাহিদ। বাড়িতে শুধু বৃদ্ধা মা। তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতোও কেউ নেই!
দশ বছর আগে জাহিদের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। এর কয়েক বছর পরই হারান বাবাকে। জাহিদের বড় ভাই জহুরুলের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁর পরিবার পেয়েছিল শুধু ৩০ হাজার টাকা। স্ত্রী-সন্তান হারানোর বিচারটাও যেন তেমন না হয়—এটা এখন একমাত্র প্রত্যাশা জাহিদের।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় জসিমউদ্দীন মোড়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) স্থাপনা প্রকল্পের গার্ডারের চাপায় স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান ও দুই স্বজনকে হারান জাহিদ। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে যেন কর্তৃপক্ষ এর দায় না সারে। এমন ঘটনা আর না ঘটে। এটাই একমাত্র চাওয়া জাহিদের।
জামালপুরের মেলান্দহের আগপয়লা গ্রামে জাহিদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ। বাড়িতে কোনো লোকজন নেই। ঘরের মধ্যে ছোট একটি খাটে জাহিদ ও জাহিদের মা শুয়ে আছেন। জাহিদ মোবাইল ফোনে তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ছবি দেখছেন আর তাঁর দুচোখ দিয়ে গল গল করে পানি ঝরছে। জাহিদের মা পাশেই শুয়ে আছেন। ছেলেকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা পাচ্ছেন না।
জাহিদ বলেন, ‘আমার পরিবারে এমন অন্ধকার নেমে আসবে কখনোই ভাবতে পারিনি। বড় ভাই ও বাবাকে হারিয়েছি। এখন স্ত্রী-সন্তানকে হারাতে হলো। এ বয়সে আমার জীবনে এত আঘাত আসবে কখনোই ভাবিনি আমি। বড় ভাই (জহুরুল)
নারায়ণগঞ্জে বিল্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে মারা যায়। বাবা অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা গেল। এখন আর বউ-বাচ্চাদের হারাতে হলো। এ ঘটনার আমি বিচার চাই। অর্থ সম্পদে বিচার শেষ হবে। এমন বিচার চাই না আমরা। এ দুর্ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই কঠোর শাস্তি হোক। এটাই চাওয়া আমাদের। এমন দুর্ঘটনা যেন আর কারও জীবনে না ঘটে, এটুকুই চাওয়া।’
রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি স্থাপনা প্রকল্পের একটি গার্ডারে চাপা পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী নিহত হন। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে কাওলা এলাকা থেকে বউভাত শেষে আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন গাড়ির আরোহীরা। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রাইভেটকারে আরোহী ছিলেন সাতজন। আরোহীদের মধ্যে ছিলেন নববিবাহিত রিয়া মনি ও তাঁর মা ফাহিমা (৪০), বর হৃদয় ও তাঁর বাবা রুবেল (৬০), কনে রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। শুধু বেঁচে আছেন নবদম্পতি।
নিহতদের চারজনের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা ও ইসলামপুর উপজেলায়। কনের খালা ঝরনা ও তাঁর দুই সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতুলের বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে আগ পয়লা গ্রামে। কনের মা ফাহিমার বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার ঢেংগারগড় এলাকায়।
নিহতদের মরদেহ তাঁদের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়।
স্ত্রী আর দুই সন্তানের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত ছিল যে বাড়িতে সেই বাড়িতে এখন সুনসান নীরবতা। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ জাহিদ। বাড়িতে শুধু বৃদ্ধা মা। তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতোও কেউ নেই!
দশ বছর আগে জাহিদের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। এর কয়েক বছর পরই হারান বাবাকে। জাহিদের বড় ভাই জহুরুলের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁর পরিবার পেয়েছিল শুধু ৩০ হাজার টাকা। স্ত্রী-সন্তান হারানোর বিচারটাও যেন তেমন না হয়—এটা এখন একমাত্র প্রত্যাশা জাহিদের।
গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় জসিমউদ্দীন মোড়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) স্থাপনা প্রকল্পের গার্ডারের চাপায় স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান ও দুই স্বজনকে হারান জাহিদ। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে যেন কর্তৃপক্ষ এর দায় না সারে। এমন ঘটনা আর না ঘটে। এটাই একমাত্র চাওয়া জাহিদের।
জামালপুরের মেলান্দহের আগপয়লা গ্রামে জাহিদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ। বাড়িতে কোনো লোকজন নেই। ঘরের মধ্যে ছোট একটি খাটে জাহিদ ও জাহিদের মা শুয়ে আছেন। জাহিদ মোবাইল ফোনে তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ছবি দেখছেন আর তাঁর দুচোখ দিয়ে গল গল করে পানি ঝরছে। জাহিদের মা পাশেই শুয়ে আছেন। ছেলেকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা পাচ্ছেন না।
জাহিদ বলেন, ‘আমার পরিবারে এমন অন্ধকার নেমে আসবে কখনোই ভাবতে পারিনি। বড় ভাই ও বাবাকে হারিয়েছি। এখন স্ত্রী-সন্তানকে হারাতে হলো। এ বয়সে আমার জীবনে এত আঘাত আসবে কখনোই ভাবিনি আমি। বড় ভাই (জহুরুল)
নারায়ণগঞ্জে বিল্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে মারা যায়। বাবা অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা গেল। এখন আর বউ-বাচ্চাদের হারাতে হলো। এ ঘটনার আমি বিচার চাই। অর্থ সম্পদে বিচার শেষ হবে। এমন বিচার চাই না আমরা। এ দুর্ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই কঠোর শাস্তি হোক। এটাই চাওয়া আমাদের। এমন দুর্ঘটনা যেন আর কারও জীবনে না ঘটে, এটুকুই চাওয়া।’
রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি স্থাপনা প্রকল্পের একটি গার্ডারে চাপা পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী নিহত হন। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে কাওলা এলাকা থেকে বউভাত শেষে আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন গাড়ির আরোহীরা। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁরা। প্রাইভেটকারে আরোহী ছিলেন সাতজন। আরোহীদের মধ্যে ছিলেন নববিবাহিত রিয়া মনি ও তাঁর মা ফাহিমা (৪০), বর হৃদয় ও তাঁর বাবা রুবেল (৬০), কনে রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। শুধু বেঁচে আছেন নবদম্পতি।
নিহতদের চারজনের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা ও ইসলামপুর উপজেলায়। কনের খালা ঝরনা ও তাঁর দুই সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতুলের বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে আগ পয়লা গ্রামে। কনের মা ফাহিমার বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার ঢেংগারগড় এলাকায়।
নিহতদের মরদেহ তাঁদের নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে