ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ গ্যাস পাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসন।
নিহতরা হলেন—প্রাইভেটকার চালক সদর উপজেলার কিসমত গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের ছেলে হিমেল মুন্সী (২৭) ও রহমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৯)। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস মারা যান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক মো. শফিক উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘আড়াইটার দিকে একটি প্রাইভেটকার গ্যাস নিতে পাম্পে ঢুকে, এ সময় পাশেই একটি লড়ি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। সেখানের লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। পরে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রাইভেটকারের চালক বসা অবস্থায় মারা যায়। পাম্পে গ্যাস নিতে অপেক্ষারত তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়ে যায়, পরে পাম্পের পাশে তিনিটি দোকানে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৮—১০ জনকে প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধার করে আমরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।’
৭ গাড়িতে অগ্নিকাণ্ড
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাংক লড়ি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। পাশাপাশি একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে তিতাস গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৭টি গাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্য গাড়ি রয়েছে।
এ সময় ভস্মীভূত প্রাইভেটকার থেকে হিমেল নামের এক অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দগ্ধদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এর আগে চারটার দিকে আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
গ্যাস সরবরাহ শুরু
তিতাস গ্যাস ময়মনসিংহের উপমহাব্যবস্থাপক সুরঞ্জিত কুমার দে বলেন, ‘লড়ি থেকে এলপিজি আনলোড করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মেইন গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে দেই। আগুনে গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার দুটি ডিসপেনসার পুড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই এলাকায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা হয়।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম।
জেলা পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা কাজ করেছে। আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করেছি।’
কমিটি গঠন
জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা ওই প্রতিবেদনে জানা যাবে।
ময়মনসিংহ গ্যাস পাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত সাতজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসন।
নিহতরা হলেন—প্রাইভেটকার চালক সদর উপজেলার কিসমত গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের ছেলে হিমেল মুন্সী (২৭) ও রহমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৯)। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুস মারা যান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক মো. শফিক উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। আহত ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘আড়াইটার দিকে একটি প্রাইভেটকার গ্যাস নিতে পাম্পে ঢুকে, এ সময় পাশেই একটি লড়ি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। সেখানের লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। পরে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রাইভেটকারের চালক বসা অবস্থায় মারা যায়। পাম্পে গ্যাস নিতে অপেক্ষারত তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়ে যায়, পরে পাম্পের পাশে তিনিটি দোকানে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৮—১০ জনকে প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধার করে আমরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।’
৭ গাড়িতে অগ্নিকাণ্ড
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাংক লড়ি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। পাশাপাশি একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে তিতাস গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৭টি গাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্য গাড়ি রয়েছে।
এ সময় ভস্মীভূত প্রাইভেটকার থেকে হিমেল নামের এক অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দগ্ধদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এর আগে চারটার দিকে আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।
গ্যাস সরবরাহ শুরু
তিতাস গ্যাস ময়মনসিংহের উপমহাব্যবস্থাপক সুরঞ্জিত কুমার দে বলেন, ‘লড়ি থেকে এলপিজি আনলোড করার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মেইন গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে দেই। আগুনে গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার দুটি ডিসপেনসার পুড়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই এলাকায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা হয়।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম।
জেলা পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা কাজ করেছে। আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করেছি।’
কমিটি গঠন
জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা ওই প্রতিবেদনে জানা যাবে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
৪১ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে