ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
নির্বাচনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর এটি চান না। আগামী নির্বাচন আরও কঠিন হবে।
অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে এমন কথা বলেছেন জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নূর মোহাম্মদ।
সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘ভোট টেম্পারিংয়ের কারণে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী এখন আর চায় না। বরং আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নেক্সট পার্লামেন্ট নির্বাচন দেখবেন যে আরও কঠিন হবে এবং এটিই হওয়া উচিত। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নেতা হোক। যাই-তাই নির্বাচনে দাঁড়াব, জোড়াতালি দিয়ে পাস করে যাবে, পরবর্তী পর্যায়ে এগুলো হয় না।’
গতকাল শনিবার বিকেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি।
আসন্ন বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্তের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘যাই ভোটে নির্বাচিত হবে, তাঁকে দুটো কথা কয়ে আরাম পাবেন। উনিও কথা শুনে আরাম পাবে। আপনি দুটো গাল পারবেন যে আপনাকে ভোট দিয়েছি। আর এখন যদি কিছু কন, তবে তাঁরা বলবে, আপনার ভোটে তো আমি এমপি হইনি, চেয়ারম্যান হইনি। অনেক চেয়ারম্যান কথা শুনে না। কী জন্য কথা শুনে না। ভোট লাগে না।’
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি আমার দলের প্রার্থীকে জিতানির জন্য দুই নম্বরি চিন্তাভাবনা করব, ওটাও কিন্তু আমি করব না। আপনাদের সবার সামনে বললাম। ফেয়ার ভোটে জিতা লাগবে। ফেয়ার ভোটে জিততে হবে। যদি আপনারা সিঙ্গেল (একক প্রার্থী) হন, তারপরেও কিন্তু আমি আমার প্রার্থীকে জিতানির জন্য আমি আমার ভোট চামু।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মাঠে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যেহেতু এখানে আমার আসার নিয়ম নাই। আমি যেখানে থাকি, জামালপুর থাকি, ঢাকায় থাকি, ইন্ডিয়া যাইয়ে থাকি। সব জায়গায় তো ফোনের যোগাযোগ আছে। সবার কাছেই ফোন আছে। ফোনে আমার প্রার্থীকে জিতানোর চেষ্টা করব। যেহেতু এখানে এসে ওপেনলি নির্বাচন করতে পারব না। আমি যেই জায়গায় থাকি, ওই জায়গা থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জিতানোর জন্য চেষ্টা করব।’
পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। এ ছাড়া মেলান্দহেও দলের একক প্রার্থী করা হয়েছে। আপনারা মন খোলে আমাকে বললে এখানেও একক প্রার্থী করা সম্ভব।’
সংসদ সদস্য বলেন, ‘এখানে চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ তালুকদার। তিনি অবশ্যই শক্তিশালী প্রার্থী। আমিও একসময় তাঁকে সমর্থন দিয়েছি। তাঁকে এখানকার মানুষ বটগাছ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেন। কাজেই তাঁকে পরাস্ত করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকতে হবে। আপনারা যদি একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আমি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ তালুকদারকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেব। তাঁকে বসানোর শক্তি আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় দলের সাতজন নেতা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা হলেন সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নীলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এমদাদুল হক, সভাপতি শাহীনা বেগম, সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ফড়িং, সাবেক সহসভাপতি আবু জাফর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার সঞ্চালনা করেন।
বক্তারা বলেন, বিএনপি ছাড়া দীর্ঘ ৩৫ বছরেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয় হতে পারেনি। তাই এবার সব ভেদাভেদ ভুলে জনপ্রিয় নেতাকে একক প্রার্থী করতে চান তাঁরা। তা না হলে, দলীয় নেতা প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারবে না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। টানা চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিএনপি-সমর্থিত আব্দুর রৌফ তালুকদার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর এটি চান না। আগামী নির্বাচন আরও কঠিন হবে।
অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে এমন কথা বলেছেন জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নূর মোহাম্মদ।
সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘ভোট টেম্পারিংয়ের কারণে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রী এখন আর চায় না। বরং আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নেক্সট পার্লামেন্ট নির্বাচন দেখবেন যে আরও কঠিন হবে এবং এটিই হওয়া উচিত। জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নেতা হোক। যাই-তাই নির্বাচনে দাঁড়াব, জোড়াতালি দিয়ে পাস করে যাবে, পরবর্তী পর্যায়ে এগুলো হয় না।’
গতকাল শনিবার বিকেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি।
আসন্ন বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্তের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘যাই ভোটে নির্বাচিত হবে, তাঁকে দুটো কথা কয়ে আরাম পাবেন। উনিও কথা শুনে আরাম পাবে। আপনি দুটো গাল পারবেন যে আপনাকে ভোট দিয়েছি। আর এখন যদি কিছু কন, তবে তাঁরা বলবে, আপনার ভোটে তো আমি এমপি হইনি, চেয়ারম্যান হইনি। অনেক চেয়ারম্যান কথা শুনে না। কী জন্য কথা শুনে না। ভোট লাগে না।’
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি আমার দলের প্রার্থীকে জিতানির জন্য দুই নম্বরি চিন্তাভাবনা করব, ওটাও কিন্তু আমি করব না। আপনাদের সবার সামনে বললাম। ফেয়ার ভোটে জিতা লাগবে। ফেয়ার ভোটে জিততে হবে। যদি আপনারা সিঙ্গেল (একক প্রার্থী) হন, তারপরেও কিন্তু আমি আমার প্রার্থীকে জিতানির জন্য আমি আমার ভোট চামু।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ মাঠে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যেহেতু এখানে আমার আসার নিয়ম নাই। আমি যেখানে থাকি, জামালপুর থাকি, ঢাকায় থাকি, ইন্ডিয়া যাইয়ে থাকি। সব জায়গায় তো ফোনের যোগাযোগ আছে। সবার কাছেই ফোন আছে। ফোনে আমার প্রার্থীকে জিতানোর চেষ্টা করব। যেহেতু এখানে এসে ওপেনলি নির্বাচন করতে পারব না। আমি যেই জায়গায় থাকি, ওই জায়গা থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জিতানোর জন্য চেষ্টা করব।’
পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। এ ছাড়া মেলান্দহেও দলের একক প্রার্থী করা হয়েছে। আপনারা মন খোলে আমাকে বললে এখানেও একক প্রার্থী করা সম্ভব।’
সংসদ সদস্য বলেন, ‘এখানে চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ তালুকদার। তিনি অবশ্যই শক্তিশালী প্রার্থী। আমিও একসময় তাঁকে সমর্থন দিয়েছি। তাঁকে এখানকার মানুষ বটগাছ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেন। কাজেই তাঁকে পরাস্ত করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকতে হবে। আপনারা যদি একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আমি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ তালুকদারকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেব। তাঁকে বসানোর শক্তি আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছে।’
মতবিনিময় সভায় দলের সাতজন নেতা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা হলেন সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নীলাখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এমদাদুল হক, সভাপতি শাহীনা বেগম, সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ফড়িং, সাবেক সহসভাপতি আবু জাফর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় এবং সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার সঞ্চালনা করেন।
বক্তারা বলেন, বিএনপি ছাড়া দীর্ঘ ৩৫ বছরেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয় হতে পারেনি। তাই এবার সব ভেদাভেদ ভুলে জনপ্রিয় নেতাকে একক প্রার্থী করতে চান তাঁরা। তা না হলে, দলীয় নেতা প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারবে না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৯ সালে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। টানা চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বিএনপি-সমর্থিত আব্দুর রৌফ তালুকদার। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩৭ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে