ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আবুল কালাম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্র ‘জিলানী বাহিনী’-এর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীকে দুই সহযোগীসহ গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
গত রোববার উপজেলার খাগাটি গ্রামের জামতলি মোড়ে এ বাহিনীর অত্যাচারে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সহস্রাধিক এলাকাবাসী বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। আজকের পত্রিকা এ নিয়ে খবর প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার জিলানী বাহিনীর প্রধানসহ তিনজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রটি স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলামকে তারা হত্যা করে। এই হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা আবুল কালামকে হত্যা করে। এদের গ্রেপ্তারে বুধবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১৪-এর একটি দল। অভিযানে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আব্দুল কাদের জিলানী (৪৭), তাঁর ভাই লাল মিয়া ও জিলানীর ছেলে রাকিবুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল কাদের জিলানীর বাঁশঝাড় থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান জিলানীসহ অন্যরা। জিলানী ও রাকিব ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার কান্দানিয়া এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে গাজীপুর সদর থানার পিরোজালিতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। লাল মিয়া প্রথমে ভালুকায় আত্মগোপন করেন। পরে গাজীপুরের চান্দনা এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সর্বশেষ গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা আবুল কালামকে হত্যা করে।
গ্রেপ্তার হওয়া লাল মিয়া জিলানী বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীর বড় ভাই এবং তাঁর সব অপকর্মের অন্যতম প্রধান সহযোগী। রাকিবুল আবুল কালাম হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয় মোক্ষপুর, মঠবাড়ী ও আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
আবুল কালাম হত্যা মামলার বাদী মো. সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি এসেছে। তবে আমাদের দাবি থাকবে, তারা যেন শাস্তি নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত জামিনে বের হতে না পারে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করলে এলাকার মানুষ আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।’
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জামতলী গ্রামে গত ১৪ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবুল কালাম ও তাঁর দুই ভাতিজাকে বাড়ির সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আবুল কালাম (৫৮) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আবুল কালাম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্র ‘জিলানী বাহিনী’-এর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীকে দুই সহযোগীসহ গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
গত রোববার উপজেলার খাগাটি গ্রামের জামতলি মোড়ে এ বাহিনীর অত্যাচারে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সহস্রাধিক এলাকাবাসী বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। আজকের পত্রিকা এ নিয়ে খবর প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার জিলানী বাহিনীর প্রধানসহ তিনজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রটি স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলামকে তারা হত্যা করে। এই হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা আবুল কালামকে হত্যা করে। এদের গ্রেপ্তারে বুধবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১৪-এর একটি দল। অভিযানে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আব্দুল কাদের জিলানী (৪৭), তাঁর ভাই লাল মিয়া ও জিলানীর ছেলে রাকিবুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল কাদের জিলানীর বাঁশঝাড় থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান জিলানীসহ অন্যরা। জিলানী ও রাকিব ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার কান্দানিয়া এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে গাজীপুর সদর থানার পিরোজালিতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। লাল মিয়া প্রথমে ভালুকায় আত্মগোপন করেন। পরে গাজীপুরের চান্দনা এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সর্বশেষ গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা আবুল কালামকে হত্যা করে।
গ্রেপ্তার হওয়া লাল মিয়া জিলানী বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীর বড় ভাই এবং তাঁর সব অপকর্মের অন্যতম প্রধান সহযোগী। রাকিবুল আবুল কালাম হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় স্থানীয় মোক্ষপুর, মঠবাড়ী ও আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
আবুল কালাম হত্যা মামলার বাদী মো. সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি এসেছে। তবে আমাদের দাবি থাকবে, তারা যেন শাস্তি নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত জামিনে বের হতে না পারে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করলে এলাকার মানুষ আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।’
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জামতলী গ্রামে গত ১৪ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবুল কালাম ও তাঁর দুই ভাতিজাকে বাড়ির সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আবুল কালাম (৫৮) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৮ ঘণ্টা আগে