ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদ খননে ‘প্রহসনের’ নান্দনিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কাচারিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে গান-কবিতায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংস্কৃতিকর্মী শামীম আশরাফ ‘মৃতের চিৎকার’ নামে ব্রহ্মপুত্র নদ রক্ষার এই কর্মসূচির আয়োজন করেন। আয়োজনের পুরোটাজুড়ে চলে গান, কবিতা, ঝাঁপাঝাঁপি ও আহাজারি। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক নেতারা সংহতি জানিয়ে হাঁটুজলে নেমে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
নদের মাঝে একটি চেয়ারের সামনে টেবিলে সব ধরনের খাবার সাজানো থাকলেও শুধু পানি ছিল না। ব্রহ্মপুত্রের চারদিকে সবকিছু আছে, শুধু পানির অভাবে যেন সে কাতর। সেখানে আর্তনাদমুখর নানা প্ল্যাকার্ড স্থান পায়।
কর্মসূচির আয়োজক শামীম আশরাফ বলেন, ‘শিল্পের মানুষের চিন্তা নিয়ে সমন্বিতভাবে “মৃতের চিৎকার” আয়োজন করা হয়েছে। এই চিৎকার অনেকের কাছে হয়তো পৌঁছাবে না। কিন্তু কিছু মানুষ তবু আমরা প্রতিবাদে দাঁড়াতে চাই। আগেও আমরা নদ রক্ষায় কর্মসূচি পালন করেছি। এই নদ যত দিন পর্যন্ত প্রাণ না ফিরে পাবে, তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জেলা জন-উদ্যোগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষদিকে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ)।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর থাকার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশিত খনন হয়নি। যে নদ দিয়ে এই সময়ে লঞ্চ-স্টিমার চলার কথা, সে নদ মানুষ হেঁটে পার হচ্ছে।
‘পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের প্রথম দুই বছর নদের ড্রেজিং এবং পরবর্তী তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার কথা ছিল। চলতি বছরের জুন-জুলাই থেকে ঢাকা পর্যন্ত জাহাজ চলার কথা ছিল। গত বছর ময়মনসিংহে এক সভায় এমন কথা জানিয়েছিলেন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের প্রধান প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রকৌশলী খন্দকার রাকিবুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, জুলাই মাসে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত জাহাজ চলবে। উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রীর শিডিউল চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের টাকা ছাড় না হওয়ায় খননকাজ ধীর গতিতে চলছে। ঊর্ধ্বমুখের অংশে কাজই শুরু করা যায়নি।
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদ খননে ‘প্রহসনের’ নান্দনিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কাচারিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে গান-কবিতায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংস্কৃতিকর্মী শামীম আশরাফ ‘মৃতের চিৎকার’ নামে ব্রহ্মপুত্র নদ রক্ষার এই কর্মসূচির আয়োজন করেন। আয়োজনের পুরোটাজুড়ে চলে গান, কবিতা, ঝাঁপাঝাঁপি ও আহাজারি। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক নেতারা সংহতি জানিয়ে হাঁটুজলে নেমে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
নদের মাঝে একটি চেয়ারের সামনে টেবিলে সব ধরনের খাবার সাজানো থাকলেও শুধু পানি ছিল না। ব্রহ্মপুত্রের চারদিকে সবকিছু আছে, শুধু পানির অভাবে যেন সে কাতর। সেখানে আর্তনাদমুখর নানা প্ল্যাকার্ড স্থান পায়।
কর্মসূচির আয়োজক শামীম আশরাফ বলেন, ‘শিল্পের মানুষের চিন্তা নিয়ে সমন্বিতভাবে “মৃতের চিৎকার” আয়োজন করা হয়েছে। এই চিৎকার অনেকের কাছে হয়তো পৌঁছাবে না। কিন্তু কিছু মানুষ তবু আমরা প্রতিবাদে দাঁড়াতে চাই। আগেও আমরা নদ রক্ষায় কর্মসূচি পালন করেছি। এই নদ যত দিন পর্যন্ত প্রাণ না ফিরে পাবে, তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জেলা জন-উদ্যোগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, দখল, দূষণ আর পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৯ সালের শেষদিকে খননকাজ শুরু হয়। প্রায় ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নদের ২২৭ কিলোমিটার খনন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ)।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, খননের পর যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের সংযোগস্থল জামালপুরের কুলকান্দি থেকে কিশোরগঞ্জের টোক পর্যন্ত নদটি ৩০০ ফুট প্রশস্ত ও শুষ্ক মৌসুমে ১০ ফুট গভীর থাকার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশিত খনন হয়নি। যে নদ দিয়ে এই সময়ে লঞ্চ-স্টিমার চলার কথা, সে নদ মানুষ হেঁটে পার হচ্ছে।
‘পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের প্রথম দুই বছর নদের ড্রেজিং এবং পরবর্তী তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার কথা ছিল। চলতি বছরের জুন-জুলাই থেকে ঢাকা পর্যন্ত জাহাজ চলার কথা ছিল। গত বছর ময়মনসিংহে এক সভায় এমন কথা জানিয়েছিলেন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের প্রধান প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রকৌশলী খন্দকার রাকিবুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাকিবুল ইসলাম বলেন, জুলাই মাসে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত জাহাজ চলবে। উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রীর শিডিউল চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের টাকা ছাড় না হওয়ায় খননকাজ ধীর গতিতে চলছে। ঊর্ধ্বমুখের অংশে কাজই শুরু করা যায়নি।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
২ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
২ ঘণ্টা আগে