শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি উল্টে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ১০ জন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মামদামারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়া কাজীরচর ইউনিয়নের খরিয়া গ্রামের মো. আবু তালেবের ছেলে মো. ইসমাইল (১৭) ও মো. সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সাইদুল মিয়া (১৭)।

আহতদের মধ্যে একই এলাকার মো. সাগর (২০), মো. মামুন (১৮), মো. লোকমান (১৭), মো. আরিফ (১৬), মো. রাশেদ আলী (১৭), মো. হাফিজুর (১৮) ও মো. সাকিল (২২) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া আরও দুজন শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি এবং মো. জুয়েল মিয়া (১৪) নামে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও হতাহতদের স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার সকালে পিকআপ ভ্যানে প্রায় ৩০ জন কিশোর ও তরুণ পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশে বনভোজনে যায়। বনভোজন থেকে সন্ধ্যায় এলাকায় ফিরে ভাড়ায় আনা সাউন্ডবক্স ফেরত দিতে পিকআপভ্যানে করে শ্রীবরদী বাজারে যায় ১৪ জন কিশোর। সেখানে বক্স নামিয়ে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামদামারী এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলিটি পাশের খাদে উল্টে পড়ে যায়।

এ সময় ট্রলিতে থাকা দুজন লাফ দিয়ে নেমে গেলেও বাকিরা গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ১০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকেরা। সেখানে ইসমাইল ও সাইদুলকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, ১০ জনের মধ্যে দুজনকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকি সাতজনের চিকিৎসা চলছে।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।