নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ থেকে
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে অস্থায়ী তোরণ নির্মাণ করেছে জাতীয় সংসদের বিরোধ দল জাতীয় পার্টি। স্থানীয় নেতারা বলছেন, বিকেলে শেখ হাসিনার সমাবেশে থাকবেন জাতীয় পার্টির কর্মীরাও। এ বিষয়ে দলের ভেতরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জাপার স্থানীয় নেতারা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। স্থানীয় নেতারা তোরণ লাগিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গেছেন দলীয় সভায়। আমরা তো বিরোধী দল, আমাদের তো এ রকম তোরণ লাগানোর কথা নয়। স্থানীয়ভাবে কেন এগুলো লাগানো হয়েছে তা আমরা দেখব।’
এ দিকে প্রায় সাড়ে চার বছর পর আজ শনিবার ময়মনসিংহে আসছেন শেখ হাসিনা। আজ বেলা ৩টা থেকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠের দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা ও নগরীর বিভিন্ন সড়কে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লক্ষাধিক ব্যানার, পোস্টার, তোরণ লাগিয়েছেন। জনসমাবেশস্থল ও শহরের প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন সড়কে জাতীয় পার্টির কয়েকটি তোরণ দেখা গেছে।
বিরোধী দলের তোরণ নির্মাণের বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও দলটির মহাসচিবের মতো বক্তব্য দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা তো আওয়ামী লীগের মিটিং। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। কারা, কোন গ্রুপ এই তোরণ নির্মাণ করেছে সেটাও জানি না।’
নগরীর কাচারি রোডে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি সুন্দর মহল। এই বাড়ির সামনেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের ছবি দিয়ে ওই তোরণে লেখা রয়েছে—‘ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে, তিলোত্তমা নগরী আমার প্রাণের শহর ময়মনসিংহে আপনার আগমনে আমি উচ্ছ্বসিত।’ এতে আরও লেখা রয়েছে—‘ব্রহ্মপুত্রের তীরে আপনাকে স্বাগতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’
এসব তোরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জেলার নেতাদের ছবি রয়েছে। কাচারি রোড ছাড়াও টাউন হল মোড় গাঙিনার পাড়সহ বেশ কয়েকটি সড়কে তোরণ নির্মাণ করেছে জাতীয় পার্টি।
ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আবদুল আউয়াল সেলিম বলেন, ‘ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য হচ্ছেন রওশন এরশাদ। এখানকার উন্নয়নের দাবিদার হচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই দাবিগুলো পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে আমাদের নেত্রী মনে করেন এই অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী। তাই ওনাকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিরোধীদলীয় নেতা। সে কারণে তাঁর নির্দেশে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তোরণসহ বিলবোর্ড স্থাপন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানোর জন্যই তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান জাপার এই নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীরাও জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানান সেলিম। ২০০৮ সাল থেকেই ময়মনসিংহ-৪ আসন তথা সদরের সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ। এখানে তাঁকে ঘিরেই জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ-৪ আসনে অবস্থিত সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এই আসনটি বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আমাদের সবার প্রধানমন্ত্রী। এ কারণে বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর শহরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ স্বাগতম জানিয়েছেন।’
কাজী মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের তোরণের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনীতিতে একটি উদাহরণ তৈরি করেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে ময়মনসিংহে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।’
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে অস্থায়ী তোরণ নির্মাণ করেছে জাতীয় সংসদের বিরোধ দল জাতীয় পার্টি। স্থানীয় নেতারা বলছেন, বিকেলে শেখ হাসিনার সমাবেশে থাকবেন জাতীয় পার্টির কর্মীরাও। এ বিষয়ে দলের ভেতরে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জাপার স্থানীয় নেতারা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। স্থানীয় নেতারা তোরণ লাগিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গেছেন দলীয় সভায়। আমরা তো বিরোধী দল, আমাদের তো এ রকম তোরণ লাগানোর কথা নয়। স্থানীয়ভাবে কেন এগুলো লাগানো হয়েছে তা আমরা দেখব।’
এ দিকে প্রায় সাড়ে চার বছর পর আজ শনিবার ময়মনসিংহে আসছেন শেখ হাসিনা। আজ বেলা ৩টা থেকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠের দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনে শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা ও নগরীর বিভিন্ন সড়কে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লক্ষাধিক ব্যানার, পোস্টার, তোরণ লাগিয়েছেন। জনসমাবেশস্থল ও শহরের প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন সড়কে জাতীয় পার্টির কয়েকটি তোরণ দেখা গেছে।
বিরোধী দলের তোরণ নির্মাণের বিষয়ে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামও দলটির মহাসচিবের মতো বক্তব্য দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা তো আওয়ামী লীগের মিটিং। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। কারা, কোন গ্রুপ এই তোরণ নির্মাণ করেছে সেটাও জানি না।’
নগরীর কাচারি রোডে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি সুন্দর মহল। এই বাড়ির সামনেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের ছবি দিয়ে ওই তোরণে লেখা রয়েছে—‘ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে, তিলোত্তমা নগরী আমার প্রাণের শহর ময়মনসিংহে আপনার আগমনে আমি উচ্ছ্বসিত।’ এতে আরও লেখা রয়েছে—‘ব্রহ্মপুত্রের তীরে আপনাকে স্বাগতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’
এসব তোরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ জেলার নেতাদের ছবি রয়েছে। কাচারি রোড ছাড়াও টাউন হল মোড় গাঙিনার পাড়সহ বেশ কয়েকটি সড়কে তোরণ নির্মাণ করেছে জাতীয় পার্টি।
ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আবদুল আউয়াল সেলিম বলেন, ‘ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য হচ্ছেন রওশন এরশাদ। এখানকার উন্নয়নের দাবিদার হচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই দাবিগুলো পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে আমাদের নেত্রী মনে করেন এই অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী। তাই ওনাকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বিরোধীদলীয় নেতা। সে কারণে তাঁর নির্দেশে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তোরণসহ বিলবোর্ড স্থাপন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানানোর জন্যই তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান জাপার এই নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীরাও জনসভায় যোগ দেবেন বলে জানান সেলিম। ২০০৮ সাল থেকেই ময়মনসিংহ-৪ আসন তথা সদরের সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ। এখানে তাঁকে ঘিরেই জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ-৪ আসনে অবস্থিত সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। এই আসনটি বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আমাদের সবার প্রধানমন্ত্রী। এ কারণে বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর শহরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ স্বাগতম জানিয়েছেন।’
কাজী মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের তোরণের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনীতিতে একটি উদাহরণ তৈরি করেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে ময়মনসিংহে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।’
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৭ ঘণ্টা আগেউত্তরবঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশের পর এবার রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের ছাত্র-জনতা। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া না হলে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা
৮ ঘণ্টা আগেপাবনা শহরে রাতের আঁধারে তুষার হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের খেয়াঘাট রোডে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেটঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত কার্যবিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে