নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বাউসা উচ্চবিদ্যালয়ের চার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে গিয়ে চাকরির আবেদনপত্র জমা দিলে তা প্রধান শিক্ষক নিচ্ছেন না বলে জানান কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তাঁরা উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত রোববার এই অভিযোগপত্রটি দেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
চাকরি প্রত্যাশীদের আবেদনপত্র না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘আবেদন অফিশিয়ালি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।’ তবে, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, ‘আবেদন অফিশিয়ালি নেওয়ায় হলো নিয়ম।’
নিয়োগ সংশ্লিষ্ট লোকজন জানান, বাউসা উচ্চবিদ্যালয়ের জন্য ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে চারজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ২৮ মার্চ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এক হাজার টাকার পোস্টাল অর্ডারসহ প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদনপত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক তা না অফিসে ফেলে রেখে যেতে বলেন। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চাকরি প্রত্যাশীরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরিপ্রত্যাশী মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান গ্রামের মিয়া বলেন, ‘৫ এপ্রিল বিদ্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে যাই। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবেদনপত্র জমা নেওয়া কপিতে সই দেবেন না বলে জানান। এ কারণে আবেদনপত্র জমা দিতে ভরসা পাইনি। তাই জমা দিইনি। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম অন্য একজনের আবেদনপত্রে তারিখসহ রিসিভ করা হয়েছে। হয়তো পছন্দের কাউকে নিয়োগ দিতেই প্রধান শিক্ষক এমনটা করছেন।’
মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নিরাপত্তাকর্মী পদের আবেদনকারী নুর মোহাম্মদ ও এনায়েত কবিরের বক্তব্যও মিয়ার মতো। তাঁদের অভিযোগ, ‘এক হাজার টাকার পোস্টাল অর্ডারসহ সব মিলিয়ে একটা আবেদন করতে প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু অফিশিয়ালি সেটা রিসিভ না করলে আমরা কোনো ভরসায় জমা দেব? গরিব বলেই তো ছোট পদে চাকরি করতে চাইছি। এখন টাকা খরচ করেও আমার আবেদন জমা দিতে পারিনি। আমরা এর বিচার চাই।’
আটপাড়া উপজেলার নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদনকারী মনির হোসেন বলেন, ‘প্রথমে আমি আরও কয়েকজনের সঙ্গে আবেদনপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম তখন রিসিভ করেননি। পরে আমি একা গিয়েছি তারপর রিসিভ কপিতে সই করে জমা রেখেছেন। স্থানীয় হিসেবে আমার সঙ্গে কোনো ঝামেলা করেননি।’
এ বিষয়ে বাউসা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘রিসিভ কপিতে সই করে আবেদনপত্র জমা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই তাঁদের এভাবেই জমা করে রেখে যেতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘রিসিভ করে আবেদনপত্র জমা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে প্রধান শিক্ষক ভালো মানুষ রিসিভ ছাড়া এমনিতে জমা দিলেও কোনো সমস্যা হবে না।’
বিষয়টি অবহিত করা হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন সরাসরি বিদ্যালয়ে জমা দিলে অবশ্যই রিসিভ কপিতে সিল-স্বাক্ষর দিয়ে জমা রাখতে হবে। এটাই নিয়ম। আমি এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে বলেছি রিসিভ কপিতে সই দিয়ে আবেদনপত্র জমা রাখতে।’
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বাউসা উচ্চবিদ্যালয়ের চার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে গিয়ে চাকরির আবেদনপত্র জমা দিলে তা প্রধান শিক্ষক নিচ্ছেন না বলে জানান কয়েকজন চাকরিপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তাঁরা উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত রোববার এই অভিযোগপত্রটি দেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
চাকরি প্রত্যাশীদের আবেদনপত্র না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘আবেদন অফিশিয়ালি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।’ তবে, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, ‘আবেদন অফিশিয়ালি নেওয়ায় হলো নিয়ম।’
নিয়োগ সংশ্লিষ্ট লোকজন জানান, বাউসা উচ্চবিদ্যালয়ের জন্য ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে চারজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত ২৮ মার্চ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এক হাজার টাকার পোস্টাল অর্ডারসহ প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদনপত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক তা না অফিসে ফেলে রেখে যেতে বলেন। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চাকরি প্রত্যাশীরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরিপ্রত্যাশী মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান গ্রামের মিয়া বলেন, ‘৫ এপ্রিল বিদ্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে যাই। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবেদনপত্র জমা নেওয়া কপিতে সই দেবেন না বলে জানান। এ কারণে আবেদনপত্র জমা দিতে ভরসা পাইনি। তাই জমা দিইনি। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম অন্য একজনের আবেদনপত্রে তারিখসহ রিসিভ করা হয়েছে। হয়তো পছন্দের কাউকে নিয়োগ দিতেই প্রধান শিক্ষক এমনটা করছেন।’
মোহনগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নিরাপত্তাকর্মী পদের আবেদনকারী নুর মোহাম্মদ ও এনায়েত কবিরের বক্তব্যও মিয়ার মতো। তাঁদের অভিযোগ, ‘এক হাজার টাকার পোস্টাল অর্ডারসহ সব মিলিয়ে একটা আবেদন করতে প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু অফিশিয়ালি সেটা রিসিভ না করলে আমরা কোনো ভরসায় জমা দেব? গরিব বলেই তো ছোট পদে চাকরি করতে চাইছি। এখন টাকা খরচ করেও আমার আবেদন জমা দিতে পারিনি। আমরা এর বিচার চাই।’
আটপাড়া উপজেলার নিরাপত্তাকর্মী পদে আবেদনকারী মনির হোসেন বলেন, ‘প্রথমে আমি আরও কয়েকজনের সঙ্গে আবেদনপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম তখন রিসিভ করেননি। পরে আমি একা গিয়েছি তারপর রিসিভ কপিতে সই করে জমা রেখেছেন। স্থানীয় হিসেবে আমার সঙ্গে কোনো ঝামেলা করেননি।’
এ বিষয়ে বাউসা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘রিসিভ কপিতে সই করে আবেদনপত্র জমা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই তাঁদের এভাবেই জমা করে রেখে যেতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ‘রিসিভ করে আবেদনপত্র জমা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে প্রধান শিক্ষক ভালো মানুষ রিসিভ ছাড়া এমনিতে জমা দিলেও কোনো সমস্যা হবে না।’
বিষয়টি অবহিত করা হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন সরাসরি বিদ্যালয়ে জমা দিলে অবশ্যই রিসিভ কপিতে সিল-স্বাক্ষর দিয়ে জমা রাখতে হবে। এটাই নিয়ম। আমি এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে বলেছি রিসিভ কপিতে সই দিয়ে আবেদনপত্র জমা রাখতে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরের রাজাপুরে যাচ্ছিলেন ফরিদুল ইসলাম (৩৪)। রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্ত্রীর সঙ্গে তিনিও লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
১২ মিনিট আগে৩০ বছর ধরে যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমানের দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর মৌজার ওই জমি দখলমুক্ত করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নতুন আলু তোলা শুরু হয়েছে। খেত থেকেই নতুন এই আলু বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আগামা জাতের এই আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
৪০ মিনিট আগে