শেরপুরে পারিবারিক কবরস্থানে জাবি শিক্ষার্থী আফসানার দাফন

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৩০
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৫১
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চকবরইগাছি গ্রামের একটি মসজিদ চত্বরে জাবি শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির জানাজা সম্পন্ন হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় নিহত জাবি শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচিকে (১৯) নিজ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে আফসানার দাফন সম্পন্ন করেন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। তাঁর দাফনের মধ্য দিয়ে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানের যাত্রা শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকার গ্রীন রোডে অনুষ্ঠিত হয় আফসানার প্রথম জানাজা। পরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স করে ওই দিন রাত ৭টা ২০ মিনিটের দিকে আফসানার মরদেহ নিয়ে আসা হয় শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চকবরইগাছি গ্রামের নিজ বাড়িতে। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মসজিদের চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় আফসানার দ্বিতীয় জানাজা। পরে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে।

আফসানার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর তাঁকে একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপড়শী। ক্যামেরার সামনে শোকাহত স্বজনদের কেউ কথা বলতে চাননি।

আফসানার জানাজায় উপস্থিত চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী জানান, আফসানার বাবা রেজাউল করিম বাদল পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার গ্রীন রোডে বাস করেন। চার ভাইয়ের মধ্যে রেজাউল করিম বাদল সবার বড়। এক মাস আগে তাঁরা চার ভাই মিলে ওই স্থানটি তাঁদের পারিবারিক কবরস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যেই আফসানা নিহত হলো। আফসানাকে দাফনের মধ্য দিয়ে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানের যাত্রা শুরু হলো।

রেজাউল করিমের ছোট তিন ভাই থাকেন গ্রামের বাড়িতে। গ্রামের জায়গাজমি দেখভাল করতে মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসেন রেজাউল করিম বাদল। বছরে দু-একবার পরিবারের অন্য সদস্যরাও গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দু বলেন, ‘জাবি শিক্ষার্থী আফসানার জন্ম একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার দাদা মরহুম ইলাম উদ্দিন ছিলেন পিটিআইয়ের ইনস্ট্রাক্টর। বাপ-চাচারা সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং সবাই স্ব–স্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। আফসানার মতো একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’

উল্লেখ্য, ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আফসানা। পরে শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ সেশন) শিক্ষার্থী আফসানা থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া আবাসিক হলে। আফসানা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত