গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে দিনমজুরের বাড়িতে আশ্রয় পাওয়া বাকপ্রতিবন্ধী প্রসূতির পরিচয় এখনো মেলেনি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই তরুণীর পরিবারের সন্ধান না পাওয়া গেলে, নবজাতকসহ তাঁকে কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘নতুন ঠিকানায়’ পাঠানো হবে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই তরুণী ও তাঁর নবজাতককে দেখতে মোহাসিন আলীর বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। অন্যদিকে এ খবরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে আশ্রয়দাতা পরিবার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রশেদ আলী, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, ইউপি সদস্য মো. হীরক আলী।
ইউএনও সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী ও তাঁর কন্যা সন্তানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা, পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মা-মেয়েকে কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহা. আরশেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যে দিন-তারিখ ঠিক করে, কুষ্টিয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘নতুন ঠিকানায়’ পাঠানো হবে।
এ দিকে ওই তরুণীর পরিবারের খোঁজ-খবরের বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটির ছবি আমরা বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছি এবং খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরাও চাই সে তাঁর পরিবারকে ফিরে পাক। তবে এখনো কোনো সন্ধান পাইনি।’
এ দিকে ওই তরুণী ও নবজাতককে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেওয়া হবে জেনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন আশ্রয়দাতা মোহাসিন আলী ও তাঁর স্ত্রী জোছনা খাতুন।
মোহাসিন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবার ছাড়া যে মানুষ কত অসহায় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। যখন শুনলাম ওদের এখান থেকে নিয়ে যাবে, তখন থেকে বুক ফেটে কান্না বের হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ওই মেয়ে ও তার কন্যা ফাতেমার প্রতি আমরা এক অন্যরকম মায়ায় জড়িয়ে গেছি। ওদের ভুলে থাকতে আমাদের কষ্ট হবে। তারপরও চাইব ওরা ঠিকানা খুঁজে পাক। তারা দুজনেই সারা জীবন আমার এ হৃদয়ের স্মৃতিতে রয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান প্রসবের পর থেকে মেয়েটির মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, এই সন্তানের অছিলায় সে তাঁর স্মৃতিশক্তি ফিরে পাক।’
মোহাসিন আলীর স্ত্রী জোছনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অল্প দিনের মধ্যে ওদের নিয়ে যাবে শুনে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। কারণ আমিও একজন মা। এই এক সপ্তাহে আমি ওদের পরম মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছি। কিছুদিনের মধ্যে আমার ‘ফাতেমা’ চলে যাবে নতুন ঠিকানায়। যত দিন বাঁচব আমি কোনো দিনও তাদের ভুলতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করছি তার (তরুণীর) মুখ থেকে কথা বের করার। কিন্তু এখন তার নাম “শরিফা” ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছে না। লোকজন আসলে ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকছে।’
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার এক অন্তঃসত্ত্বা বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে রাস্তা থেকে নিয়ে বাড়িতে আশ্রয় দেন মোহাসিন আলী নামের এক দিনমজুর। পরে একদিন শনিবার ওই তরুণীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্থানীয় ধাত্রী ও ওই পরিবারের নারীদের সহযোগিতায় কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন নবজাতকের নাম রাখেন ‘ফাতেমা’। মা ও শিশু শারীরিকভাবে ওই বাড়িতে সুস্থ রয়েছেন।
শুক্রবার সকালেই বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করা হলে, প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর পরিবারের সন্ধানে কাজ শুরু করে তারা। তবে এখনো কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।
মেহেরপুরের গাংনীতে দিনমজুরের বাড়িতে আশ্রয় পাওয়া বাকপ্রতিবন্ধী প্রসূতির পরিচয় এখনো মেলেনি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই তরুণীর পরিবারের সন্ধান না পাওয়া গেলে, নবজাতকসহ তাঁকে কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘নতুন ঠিকানায়’ পাঠানো হবে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই তরুণী ও তাঁর নবজাতককে দেখতে মোহাসিন আলীর বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। অন্যদিকে এ খবরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে আশ্রয়দাতা পরিবার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রশেদ আলী, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল, ইউপি সদস্য মো. হীরক আলী।
ইউএনও সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী ও তাঁর কন্যা সন্তানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা, পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মা-মেয়েকে কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহা. আরশেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যে দিন-তারিখ ঠিক করে, কুষ্টিয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধী নারীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘নতুন ঠিকানায়’ পাঠানো হবে।
এ দিকে ওই তরুণীর পরিবারের খোঁজ-খবরের বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটির ছবি আমরা বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছি এবং খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরাও চাই সে তাঁর পরিবারকে ফিরে পাক। তবে এখনো কোনো সন্ধান পাইনি।’
এ দিকে ওই তরুণী ও নবজাতককে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেওয়া হবে জেনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন আশ্রয়দাতা মোহাসিন আলী ও তাঁর স্ত্রী জোছনা খাতুন।
মোহাসিন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিবার ছাড়া যে মানুষ কত অসহায় তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। যখন শুনলাম ওদের এখান থেকে নিয়ে যাবে, তখন থেকে বুক ফেটে কান্না বের হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ওই মেয়ে ও তার কন্যা ফাতেমার প্রতি আমরা এক অন্যরকম মায়ায় জড়িয়ে গেছি। ওদের ভুলে থাকতে আমাদের কষ্ট হবে। তারপরও চাইব ওরা ঠিকানা খুঁজে পাক। তারা দুজনেই সারা জীবন আমার এ হৃদয়ের স্মৃতিতে রয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্তান প্রসবের পর থেকে মেয়েটির মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, এই সন্তানের অছিলায় সে তাঁর স্মৃতিশক্তি ফিরে পাক।’
মোহাসিন আলীর স্ত্রী জোছনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অল্প দিনের মধ্যে ওদের নিয়ে যাবে শুনে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। কারণ আমিও একজন মা। এই এক সপ্তাহে আমি ওদের পরম মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছি। কিছুদিনের মধ্যে আমার ‘ফাতেমা’ চলে যাবে নতুন ঠিকানায়। যত দিন বাঁচব আমি কোনো দিনও তাদের ভুলতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করছি তার (তরুণীর) মুখ থেকে কথা বের করার। কিন্তু এখন তার নাম “শরিফা” ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছে না। লোকজন আসলে ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকছে।’
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার এক অন্তঃসত্ত্বা বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে রাস্তা থেকে নিয়ে বাড়িতে আশ্রয় দেন মোহাসিন আলী নামের এক দিনমজুর। পরে একদিন শনিবার ওই তরুণীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্থানীয় ধাত্রী ও ওই পরিবারের নারীদের সহযোগিতায় কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন নবজাতকের নাম রাখেন ‘ফাতেমা’। মা ও শিশু শারীরিকভাবে ওই বাড়িতে সুস্থ রয়েছেন।
শুক্রবার সকালেই বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করা হলে, প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর পরিবারের সন্ধানে কাজ শুরু করে তারা। তবে এখনো কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে