আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
যশোরের মনিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী গ্রাহকদের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে বিতরণের জন্য ৭০০ টন চালের বরাদ্দ এসেছে গত আগস্ট মাসে। চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে চাল তুলে বিতরণের জন্য পরিবেশকদের নির্দেশনা দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পরিবেশক ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চাল উত্তোলন করেননি বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে বাড়ানো হয়েছে চাল উত্তোলনের সময়।
কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার ১৯৫ জন উপকারভোগী রয়েছেন। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে উপকারভোগীদের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির জন্য পরিবেশক রয়েছেন ৪৬ জন, যাঁদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব পরিবেশকের অধিকাংশের কাছ থেকে জোর করে ডিলারশিপ প্রত্যাহারের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে কাগজে । বিষয়টি তাঁরা তাৎক্ষণিক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরিবেশক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই পাঁচ মাস কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসের চাল বিতরণের জন্য গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার খাদ্য অফিস থেকে আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হয়েছে, আমরা চাল উত্তোলন করব কি না। তাঁরা ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ জবাব চেয়েছেন। পরে আমরা পরিবেশকেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদে চাল তুলে বিতরণ করতে পারব কি না, বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। এ জন্য কেউ চাল তুলতে ব্যাংকে টাকা জমা দেননি।
নাম প্রকাশ না করে এক পরিবেশক বলেছেন, ‘রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর থেকে চালের ডিলারশিপ ছেড়ে দিতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। অবশেষে ২০-২৫ জন স্থানীয় প্রভাবশালী আমাকে মাঠের মধ্যে কাজ করা অবস্থায় সেখানে ধরে জোর করে ডিলারশিপ প্রত্যাহার কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। লোকজন সরে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি উপজেলা কমিটিকে ফোনে জানিয়েছি।’
অপর এক পরিবেশক জানিয়েছেন, অনেক লোক এসে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছে। পরিস্থিতি দেখে কথা বলতে সাহস পাননি তিনি।
আরও এক পরিবেশক বলছেন, ‘আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়েছিল। আমি বলেছি, ইউএনও দপ্তর থেকে চিঠির মাধ্যমে ডিলারি ছেড়ে দিতে বলুক, আমি ছেড়ে দেব। বিষয়টি সেইভাবে আছে। নিরাপত্তা পেলে আমি চাল তুলে বিতরণ করতে প্রস্তুত আছি।’
উপজেলা খাদ্য অফিসসহ একাধিক পরিবেশক বলছেন, সরকার ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে ভর্তুকি দিয়ে ১৩ টাকায় পরিবেশকদের চাল দিচ্ছেন। সেই হিসাবে প্রতি পরিবেশককে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার চাল দেওয়া হয়। এই চাল উত্তোলন করে পরিবেশকের ঘরে নেওয়ার পথে যদি বেহাত হয়ে যায় এবং সঠিকভাবে বিতরণ করা না যায়, তখন তার দায় সংশ্লিষ্ট পরিবেশকের ওপর বর্তাবে। তাঁকে বাড়তি জরিমানা গুনতে হবে।
পরিবেশকেরা বলছেন, উপকারভোগীদের কাছে ১৫ টাকায় চাল বিক্রি করে তাদের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। চাল বেহাত হলে তখন লাখ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। এই ভয়ে চাল নিতে সাহস পাচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসের চালের বরাদ্দের চিঠি এসেছে ১৯ আগস্ট। চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে চাল উত্তোলনের জন্য পরিবেশকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কোনো পরিবেশক এখন পর্যন্ত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চাল তোলেননি।’
ইন্দ্রোজিৎ সাহা আরও বলেন, ‘কয়েকজন পরিবেশক আমাদের জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা চাল বিতরণের জন্য উত্তোলন করতে নিরাপদ মনে করছেন না। অনেক পরিবেশক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রণালয় থেকে চাল উত্তোলনের সময় বাড়িয়ে ২২ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।’
এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডিলারশিপ প্রত্যাহারের জন্য যেসব পরিবেশককে চাপ দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, সেসব কাগজপত্র ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা পড়েছে। কারও ডিলারশিপ এখনো বাতিল করা হয়নি। বর্তমান পরিবেশকেরা চাল না তুললে নতুন পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপকারভোগীদের হাতে সেপ্টেম্বরের চাল পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভাপতি ইউএনও জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দেখি কী হয়।’
যশোরের মনিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী গ্রাহকদের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে বিতরণের জন্য ৭০০ টন চালের বরাদ্দ এসেছে গত আগস্ট মাসে। চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে চাল তুলে বিতরণের জন্য পরিবেশকদের নির্দেশনা দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পরিবেশক ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চাল উত্তোলন করেননি বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে বাড়ানো হয়েছে চাল উত্তোলনের সময়।
কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার ১৯৫ জন উপকারভোগী রয়েছেন। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে উপকারভোগীদের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির জন্য পরিবেশক রয়েছেন ৪৬ জন, যাঁদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব পরিবেশকের অধিকাংশের কাছ থেকে জোর করে ডিলারশিপ প্রত্যাহারের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে কাগজে । বিষয়টি তাঁরা তাৎক্ষণিক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েও প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পরিবেশক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরের মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই পাঁচ মাস কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসের চাল বিতরণের জন্য গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার খাদ্য অফিস থেকে আমাদের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হয়েছে, আমরা চাল উত্তোলন করব কি না। তাঁরা ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ জবাব চেয়েছেন। পরে আমরা পরিবেশকেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদে চাল তুলে বিতরণ করতে পারব কি না, বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। এ জন্য কেউ চাল তুলতে ব্যাংকে টাকা জমা দেননি।
নাম প্রকাশ না করে এক পরিবেশক বলেছেন, ‘রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর থেকে চালের ডিলারশিপ ছেড়ে দিতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। অবশেষে ২০-২৫ জন স্থানীয় প্রভাবশালী আমাকে মাঠের মধ্যে কাজ করা অবস্থায় সেখানে ধরে জোর করে ডিলারশিপ প্রত্যাহার কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। লোকজন সরে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি উপজেলা কমিটিকে ফোনে জানিয়েছি।’
অপর এক পরিবেশক জানিয়েছেন, অনেক লোক এসে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছে। পরিস্থিতি দেখে কথা বলতে সাহস পাননি তিনি।
আরও এক পরিবেশক বলছেন, ‘আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়েছিল। আমি বলেছি, ইউএনও দপ্তর থেকে চিঠির মাধ্যমে ডিলারি ছেড়ে দিতে বলুক, আমি ছেড়ে দেব। বিষয়টি সেইভাবে আছে। নিরাপত্তা পেলে আমি চাল তুলে বিতরণ করতে প্রস্তুত আছি।’
উপজেলা খাদ্য অফিসসহ একাধিক পরিবেশক বলছেন, সরকার ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে ভর্তুকি দিয়ে ১৩ টাকায় পরিবেশকদের চাল দিচ্ছেন। সেই হিসাবে প্রতি পরিবেশককে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার চাল দেওয়া হয়। এই চাল উত্তোলন করে পরিবেশকের ঘরে নেওয়ার পথে যদি বেহাত হয়ে যায় এবং সঠিকভাবে বিতরণ করা না যায়, তখন তার দায় সংশ্লিষ্ট পরিবেশকের ওপর বর্তাবে। তাঁকে বাড়তি জরিমানা গুনতে হবে।
পরিবেশকেরা বলছেন, উপকারভোগীদের কাছে ১৫ টাকায় চাল বিক্রি করে তাদের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। চাল বেহাত হলে তখন লাখ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। এই ভয়ে চাল নিতে সাহস পাচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসের চালের বরাদ্দের চিঠি এসেছে ১৯ আগস্ট। চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে চাল উত্তোলনের জন্য পরিবেশকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কোনো পরিবেশক এখন পর্যন্ত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চাল তোলেননি।’
ইন্দ্রোজিৎ সাহা আরও বলেন, ‘কয়েকজন পরিবেশক আমাদের জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা চাল বিতরণের জন্য উত্তোলন করতে নিরাপদ মনে করছেন না। অনেক পরিবেশক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রণালয় থেকে চাল উত্তোলনের সময় বাড়িয়ে ২২ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে।’
এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডিলারশিপ প্রত্যাহারের জন্য যেসব পরিবেশককে চাপ দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, সেসব কাগজপত্র ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা পড়েছে। কারও ডিলারশিপ এখনো বাতিল করা হয়নি। বর্তমান পরিবেশকেরা চাল না তুললে নতুন পরিবেশক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপকারভোগীদের হাতে সেপ্টেম্বরের চাল পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভাপতি ইউএনও জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দেখি কী হয়।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে