প্রতিনিধি, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে ৩৪ পরিবারকে কোরবানির গোশত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরিরত ওই গ্রামের কয়েকজন তরুণ যুবকদের পক্ষ থেকে একটি গরু কিনে সেটির গোশত ওই পরিবারগুলোর মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গোশত না পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ পেশায় ভ্যানচালক, কেউ কৃষক, আবার কেউবা দিনমজুর। ঈদের দিন মসজিদ কমিটির এক সিদ্ধান্তে কোরবানি দাতা নন এমন ৩৪ পরিবারে কোনো গোশত পৌঁছায়নি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকার চারপাশের শোরগোল পড়েছে।
স্থানীয় মৃত আদর আলীর পুত্র এমাদুল, মৃত তারেকের পুত্র খাইরুল, মৃত আদির আলীর পুত্র আকবর আলী, গোলামের পুত্র শফিক, আবদারের পুত্র একরাম, মৃত রমজানের পুত্র মিজানুর, কানাই গাজির পুত্র ভ্যানচালক জামশেদ গাজী, মহব্বত গাজীর পুত্র আলু ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন গাজী, কেরামত গাজীর পুত্র ভাজা বিক্রেতা একরাম গাজী, রমজান সরদারের পুত্র মমিনুর সরদার, জবেদ মোল্যার পুত্র প্যারালাইসিস রোগী মালেক মোল্যা, জবেদ মোল্যার পুত্র ভ্যানচালক আইয়ুব মোল্যা জানান, প্রচলিত ধর্মীয় রীতি মোতাবেক সামর্থ্যবান প্রত্যেকের কোরবানিকৃত পশুর গোশত থেকে লিল্লাহ ভাগের গোশত একত্রিত করে গ্রামের যেসব পরিবার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কোরবানি করতে পারেনি তাদের মধ্যে সেসব গোশত জনপ্রতি হারে বিতরণ করে ধনী-গরিব সবাই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারাই কোরবানির ময়দানে গোশত নিতে আসবেন প্রত্যেককে গোশত দেওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে অনেক স্থানে। অথচ গেল কোরবানির ঈদের দিন চন্ডীপুর জামে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে গোশত বণ্টনের লিস্ট থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হয় প্রায় ৩৪টি পরিবারকে। এসব পরিবারের মধ্যে অনেকেই গোশত আনতে কোরবানির ময়দানে গিয়ে দিন শেষে অপমান-অপদস্থ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের মধ্যে অধিকাংশরাই ভ্যান চালিয়ে, কৃষিকাজ করে বা দিনমজুরি করে সংসার চালাই। নেই তেমন কোনো অর্থ-সম্পদ। তা ছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আমরা আরও অসহায় হয়ে পড়েছি। ঈদের দুদিন আগে গোশত বণ্টনের লিস্টে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সর্বশেষ ঈদের আগের দিন ভোরে মসজিদ কমিটির কয়েকজন এবং কয়েকজন কোরবানিদাতা মিলে মসজিদে মিটিংয়ে বসেন। তাদের ধারণা, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কোরবানি করছি না, তাই তারা আমাদের নাম গোশত বণ্টনের লিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গোশত না দেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে আমাদের জানিয়ে দিলে ঈদের দিন অন্তত পরিবার পরিজনের মুখে ফার্মের মুরগির এক টুকরো গোশত তুলে দিতে পারতাম। তা না করে কোরবানির ময়দান থেকে অপমানজনক ভাবে আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে মসজিদ কমিটির লোকজন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চন্ডীপুর আহছানিয়া মিশনের সভাপতি মুজিবর মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে অনেক ভ্যান চালক, দিনমজুর ও কৃষকেরাও অর্থসম্পদের মালিক। তাই মসজিদ কমিটি ও কোরবানি দাতাদের সিদ্ধান্তে যারা কোরবানি করেনি অথচ সামর্থ্যবান বলে মনে হয়েছে তাদের নাম গোশত বণ্টনের লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরিরত ওই গ্রামের কয়েকজন তরুণ যুবকদের পক্ষ থেকে ঈদের দিন বঞ্চিত পরিবারগুলোকে গোশত দেওয়ার জন্য নতুন করে একটি গরু কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে ৩৪ পরিবারকে কোরবানির গোশত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরিরত ওই গ্রামের কয়েকজন তরুণ যুবকদের পক্ষ থেকে একটি গরু কিনে সেটির গোশত ওই পরিবারগুলোর মধ্যে বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গোশত না পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ পেশায় ভ্যানচালক, কেউ কৃষক, আবার কেউবা দিনমজুর। ঈদের দিন মসজিদ কমিটির এক সিদ্ধান্তে কোরবানি দাতা নন এমন ৩৪ পরিবারে কোনো গোশত পৌঁছায়নি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে এলাকার চারপাশের শোরগোল পড়েছে।
স্থানীয় মৃত আদর আলীর পুত্র এমাদুল, মৃত তারেকের পুত্র খাইরুল, মৃত আদির আলীর পুত্র আকবর আলী, গোলামের পুত্র শফিক, আবদারের পুত্র একরাম, মৃত রমজানের পুত্র মিজানুর, কানাই গাজির পুত্র ভ্যানচালক জামশেদ গাজী, মহব্বত গাজীর পুত্র আলু ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন গাজী, কেরামত গাজীর পুত্র ভাজা বিক্রেতা একরাম গাজী, রমজান সরদারের পুত্র মমিনুর সরদার, জবেদ মোল্যার পুত্র প্যারালাইসিস রোগী মালেক মোল্যা, জবেদ মোল্যার পুত্র ভ্যানচালক আইয়ুব মোল্যা জানান, প্রচলিত ধর্মীয় রীতি মোতাবেক সামর্থ্যবান প্রত্যেকের কোরবানিকৃত পশুর গোশত থেকে লিল্লাহ ভাগের গোশত একত্রিত করে গ্রামের যেসব পরিবার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কোরবানি করতে পারেনি তাদের মধ্যে সেসব গোশত জনপ্রতি হারে বিতরণ করে ধনী-গরিব সবাই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারাই কোরবানির ময়দানে গোশত নিতে আসবেন প্রত্যেককে গোশত দেওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে অনেক স্থানে। অথচ গেল কোরবানির ঈদের দিন চন্ডীপুর জামে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে গোশত বণ্টনের লিস্ট থেকে নাম কেটে বাদ দেওয়া হয় প্রায় ৩৪টি পরিবারকে। এসব পরিবারের মধ্যে অনেকেই গোশত আনতে কোরবানির ময়দানে গিয়ে দিন শেষে অপমান-অপদস্থ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের মধ্যে অধিকাংশরাই ভ্যান চালিয়ে, কৃষিকাজ করে বা দিনমজুরি করে সংসার চালাই। নেই তেমন কোনো অর্থ-সম্পদ। তা ছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আমরা আরও অসহায় হয়ে পড়েছি। ঈদের দুদিন আগে গোশত বণ্টনের লিস্টে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সর্বশেষ ঈদের আগের দিন ভোরে মসজিদ কমিটির কয়েকজন এবং কয়েকজন কোরবানিদাতা মিলে মসজিদে মিটিংয়ে বসেন। তাদের ধারণা, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কোরবানি করছি না, তাই তারা আমাদের নাম গোশত বণ্টনের লিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গোশত না দেওয়ার বিষয়টি আগে থেকে আমাদের জানিয়ে দিলে ঈদের দিন অন্তত পরিবার পরিজনের মুখে ফার্মের মুরগির এক টুকরো গোশত তুলে দিতে পারতাম। তা না করে কোরবানির ময়দান থেকে অপমানজনক ভাবে আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে মসজিদ কমিটির লোকজন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চন্ডীপুর আহছানিয়া মিশনের সভাপতি মুজিবর মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে অনেক ভ্যান চালক, দিনমজুর ও কৃষকেরাও অর্থসম্পদের মালিক। তাই মসজিদ কমিটি ও কোরবানি দাতাদের সিদ্ধান্তে যারা কোরবানি করেনি অথচ সামর্থ্যবান বলে মনে হয়েছে তাদের নাম গোশত বণ্টনের লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাকরিরত ওই গ্রামের কয়েকজন তরুণ যুবকদের পক্ষ থেকে ঈদের দিন বঞ্চিত পরিবারগুলোকে গোশত দেওয়ার জন্য নতুন করে একটি গরু কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে