বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।
নিহতের নাম শাহিন (২৬)। তিনি বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের সামসুর রহমানের ছেলে। গত শনিবার ভারতের বনগাঁর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে নিহতের স্বজন, বিএসএফ, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের স্বজনেরা জানান, শাহিন ভারতে যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে গত ১০ ডিসেম্বর সীমান্ত অতিক্রম করে। এ সময় বিএসএফ তাঁকে ধরে শারীরিক নির্যাতন করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ভারতের ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর মারা যান শাহিন। পরে মরদেহ ফেরত চেয়ে পরিবার আবেদন করলে তাঁকে ফেরত দেয় পুলিশ। এ দিকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত শাহিনের বাবা সামসুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফ ধরে যদি জেলে দিত, একদিন ছেলেকে ফিরে পেতাম। কিন্তু তারা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করল। আমার ছেলের কোমরের নিচে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া বলেন, ‘পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলেসন্তানকে নিয়ে বাকি জীবন কীভাবে কাটাব! সন্তান আর বাবা ডাকতে পারবে না।’
এ ঘটনায় বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার সরদার বলেন, ‘তাঁকে (শাহিন) ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠায় বিএসএফ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিনের মৃত্যু হয়। এমন ঘটনার নিন্দা জানাই।’
বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিবি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দেশের প্রশাসন ও হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে শাহিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তার তথ্য আমাদের জানা নেই। মরদেহটি পোর্ট থানার পুলিশ গ্রহণ শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।’
প্রসঙ্গত, যশোরের বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে গত এক বছরে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বারবার সীমান্ত বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও থামছে না হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। হত্যার ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবার বিএসএফকে দায়ী করলেও হত্যার দায় তারা স্বীকার করেনি। এসব হত্যার কোনো রহস্যও উদ্ঘাটন হয়নি।
যশোরের বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।
নিহতের নাম শাহিন (২৬)। তিনি বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের সামসুর রহমানের ছেলে। গত শনিবার ভারতের বনগাঁর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে নিহতের স্বজন, বিএসএফ, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের স্বজনেরা জানান, শাহিন ভারতে যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে গত ১০ ডিসেম্বর সীমান্ত অতিক্রম করে। এ সময় বিএসএফ তাঁকে ধরে শারীরিক নির্যাতন করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ভারতের ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর মারা যান শাহিন। পরে মরদেহ ফেরত চেয়ে পরিবার আবেদন করলে তাঁকে ফেরত দেয় পুলিশ। এ দিকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত শাহিনের বাবা সামসুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফ ধরে যদি জেলে দিত, একদিন ছেলেকে ফিরে পেতাম। কিন্তু তারা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করল। আমার ছেলের কোমরের নিচে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া বলেন, ‘পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলেসন্তানকে নিয়ে বাকি জীবন কীভাবে কাটাব! সন্তান আর বাবা ডাকতে পারবে না।’
এ ঘটনায় বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার সরদার বলেন, ‘তাঁকে (শাহিন) ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠায় বিএসএফ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিনের মৃত্যু হয়। এমন ঘটনার নিন্দা জানাই।’
বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিবি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দেশের প্রশাসন ও হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে শাহিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তার তথ্য আমাদের জানা নেই। মরদেহটি পোর্ট থানার পুলিশ গ্রহণ শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।’
প্রসঙ্গত, যশোরের বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে গত এক বছরে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বারবার সীমান্ত বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিয়েও থামছে না হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। হত্যার ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবার বিএসএফকে দায়ী করলেও হত্যার দায় তারা স্বীকার করেনি। এসব হত্যার কোনো রহস্যও উদ্ঘাটন হয়নি।
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
৩৩ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে