কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ০৬

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দখল করে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। 

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  

আহতরা হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল কর্নেল, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রতন, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ, ছাত্রদল কর্মী পারভেজ। তাঁরা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সাব-রেজিস্ট্রার ও দালাল চক্রের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়। নামের ভুল থাকলে ঘুষ দিতে হয়। পরিচয়পত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করাতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি চাঁদাবাজি করে আসছিল। 

তাঁরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে যাওয়ার পরপরই বিএনপির একটা গ্রুপ সাব–রেজিস্ট্রার অফিস দখলে নেন এবং চাঁদাবাজি শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে সাব–রেজিস্ট্রার অফিস দখল করে চাঁদাবাজি, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির অপর একটা গ্রুপ তৈরি হয়। বিএনপির এই দুই গ্রুপের মধ্যে আজ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন।  

আহত কর্নেল, রতন, কৌশিক ও পারভেজ বলেন, ‘দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতি অনিয়মের ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নিয়ে গঠিত দালাল চক্র এই সাব–রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাঁদাবাজি করত। ৫ আগস্টের আওয়ামী লীগের সেসব নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যায়। এখন বিএনপির একটা পক্ষ চাঁদাবাজির করে আসছিল। আমরা প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছে।’ 

এ বিষয়ে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা দলীয় কোনো বিষয় না। তবে তারা সবাই বিএনপি করে।’ 

সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন মোবাইল ফোনে বলা সম্ভব না। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

অধিকৃত অঞ্চলে প্রাকৃতিক সম্পদের সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনিদের, জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

বিসিএস নিয়োগ: নিজেই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন অনেকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত