ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রীর তিনজন ১৪ দিনেও কারণ দর্শানোর জবাব দেয়নি। জবাব না দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ে জবাব দিয়েছেন দুজন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মাওয়াবিয়া জাহান।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা আবেদনে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি চেয়েছেন।
তাদের দাবি, ‘আমরা ১৫ দিন আগে আবেদন দিলেও এখনো প্রশাসন আমাদের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো করণীয় জানায়নি। তাই আমরা কারণ দর্শানো জবাব দিতে পারছি না। আমরা সুনির্দিষ্ট জবাব পেলে, পরবর্তীতে জবাব দেব।’
এর আগে ৪ মার্চ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব দিলেও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি জবাব না দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।
আবেদনের পর এ সংক্রান্ত একটি ফাইল রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা হয়। নিয়মানুযায়ী ফাইল চলে যায় একাডেমি শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানের কাছে। তিনি ফাইলটি দেখে পাঠিয়ে দেন রেজিস্ট্রার দপ্তরে। রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে মতামতের জন্য ফাইল গত ১৪ মার্চ আইন প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইন প্রশাসক সিদ্ধান্ত দিলে ফাইলটি আসবে উপাচার্যের কার্যালয়ে। ওখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে উপাচার্যের কার্যালয় ঘুরে ফাইল আসবে একাডেমি শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানের কাছে। তবে ১৪ দিনেও ফাইলটি সচল না হওয়াকে একধরনের প্রশাসনিক হয়রানি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনিক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখনই অভিযুক্তরা আবেদন দেয়, তখনই ১৫ মার্চের মধ্যে প্রশাসনের জবাব দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে ওরা নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ওদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারত।’
সাময়িক বহিষ্কৃত আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত ১৩ মার্চ প্রশাসনের কাছে রিট পিটিশন, শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কাগজপত্র ও সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাকে ১৫ দিনেও কোনো কিছু জানায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাইলটি এত দিন আইন প্রশাসকের দপ্তরে আটকে ছিল। আজকে আমার কাছে এসেছে। আমি উপাচার্যর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গত ১ মার্চ সানজিদা অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার, হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও তার পছন্দের হলে ওঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশে সেদিনই হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন। এ ছাড়া গত ৪ মার্চ পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাঁদের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রীর তিনজন ১৪ দিনেও কারণ দর্শানোর জবাব দেয়নি। জবাব না দেওয়ার কারণ হিসেবে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ে জবাব দিয়েছেন দুজন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মাওয়াবিয়া জাহান।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা আবেদনে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি চেয়েছেন।
তাদের দাবি, ‘আমরা ১৫ দিন আগে আবেদন দিলেও এখনো প্রশাসন আমাদের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো করণীয় জানায়নি। তাই আমরা কারণ দর্শানো জবাব দিতে পারছি না। আমরা সুনির্দিষ্ট জবাব পেলে, পরবর্তীতে জবাব দেব।’
এর আগে ৪ মার্চ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব দিলেও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি জবাব না দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।
আবেদনের পর এ সংক্রান্ত একটি ফাইল রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা হয়। নিয়মানুযায়ী ফাইল চলে যায় একাডেমি শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানের কাছে। তিনি ফাইলটি দেখে পাঠিয়ে দেন রেজিস্ট্রার দপ্তরে। রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে মতামতের জন্য ফাইল গত ১৪ মার্চ আইন প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইন প্রশাসক সিদ্ধান্ত দিলে ফাইলটি আসবে উপাচার্যের কার্যালয়ে। ওখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে উপাচার্যের কার্যালয় ঘুরে ফাইল আসবে একাডেমি শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানের কাছে। তবে ১৪ দিনেও ফাইলটি সচল না হওয়াকে একধরনের প্রশাসনিক হয়রানি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনিক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখনই অভিযুক্তরা আবেদন দেয়, তখনই ১৫ মার্চের মধ্যে প্রশাসনের জবাব দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে ওরা নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ওদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারত।’
সাময়িক বহিষ্কৃত আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত ১৩ মার্চ প্রশাসনের কাছে রিট পিটিশন, শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কাগজপত্র ও সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাকে ১৫ দিনেও কোনো কিছু জানায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাইলটি এত দিন আইন প্রশাসকের দপ্তরে আটকে ছিল। আজকে আমার কাছে এসেছে। আমি উপাচার্যর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গত ১ মার্চ সানজিদা অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার, হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা ও তার পছন্দের হলে ওঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশে সেদিনই হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন। এ ছাড়া গত ৪ মার্চ পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাঁদের হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২ ঘণ্টা আগে