প্রতিনিধি, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার খিচুড়ি ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল মান্নান সানা (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত মান্নান একই ইউনিয়নের আলী বক্স সানার ছেলে। পেশায় দিন মজুর কৃষক।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, দেয়াড়া কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আব্দুল গণির ছেলে মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে দেয়াড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান (২৫)।
জানা যায়, গত শনিবার ২১ আগস্ট উপলক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল মান্নান খিচুড়ি ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই আয়োজনে খিচুড়ি রান্নার পর ভাগাভাগিতে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় নেতা কর্মীদের মধ্যে। এরই জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে মান্নান ভুঁড়ি বেরিয়ে মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন খোরদো পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রইচ উদ্দীন।
দেয়াড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুর আলী সরদার মধু জানান, পিয়ারা তলা মোড়ে খিচুড়ি ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। খিচুড়ি রান্না শেষে ভাগাভাগির সময় কিছু নেতা কর্মীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা মীমাংসা হয়। কিন্তু ঘটনার দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে হানিফ ১৮ থেকে ২০ জন লোক নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে বাবলু শেখ ও ইয়াসিন গাজীর দোকানের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা আব্দুল মান্নানের পেটে চাকু মেরে হত্যা করে। এর আগে সন্ধ্যায় “কে মারবে তোকে” এই বলে নিহত মান্নানকে বাসা থেকে বাজারে ডেকে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী মৃত নুরআলী শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান। তবে এর সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাঁদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ইউপি সদস্য তিনি।
নিহত মান্নানের মেয়ে লিতুনজিরা জানান, খিচুড়ি ভাগাভাগি নিয়ে তাঁর বাবাকে বাড়ি থেকে লোক পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কাশিয়ডাঙ্গা বটতলা মোড়ে ইমাম হোসেনের সেলুন ঘর থেকে খুর নিয়ে তাঁর বাবাকে হত্যা করে। মাঠে কামলা দিয়ে অসুস্থ দাদা-দাদি, মা ও ছোট ভাই সহ ৯ জনের সংসার চালাতেন তাঁর বাবা। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ দাদু ছাড়া আয় করার মতো পরিবারে আর কেহ নেই তাঁদের। ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি জন্য জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি করেন নিহতের মেয়ে। পাশাপাশি অসহায় পরিবারের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেন এই পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের চাচাতো ভাই লিটন হোসেন বলেন, খিচুড়ি নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হানিফের নেতৃত্বে কেশবপুর বউবাজার থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে খুর দিয়ে মান্নানকে খুন করে। নিহত মান্নানের ভাইয়ের ছেলে বাবু সানা ও রবিউল শেখকেও পিঠে পায়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাস বাহিনী।
নিহত মান্নানের স্ত্রী সাজেদা খাতুন বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাঠের কাজ শেষ করে বাড়ি আসলে প্রতিবেশী হাফিজুর কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর স্বামীকে। এরপর তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। দুই সন্তান বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি ৮ সদস্য নিয়ে কীভাবে সংসার চলবে এই নিয়ে দিশেহারা তিনি।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত ওসি মীর খায়রুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার খিচুড়ি ভাগাভাগি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ছুরিকাঘাতে আব্দুল মান্নান সানা (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় হত্যার ঘটনাটি ঘটে। নিহত মান্নান একই ইউনিয়নের আলী বক্স সানার ছেলে। পেশায় দিন মজুর কৃষক।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, দেয়াড়া কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আব্দুল গণির ছেলে মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে দেয়াড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান (২৫)।
জানা যায়, গত শনিবার ২১ আগস্ট উপলক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল মান্নান খিচুড়ি ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই আয়োজনে খিচুড়ি রান্নার পর ভাগাভাগিতে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় নেতা কর্মীদের মধ্যে। এরই জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে এক পক্ষের ছুরিকাঘাতে মান্নান ভুঁড়ি বেরিয়ে মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন খোরদো পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রইচ উদ্দীন।
দেয়াড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুর আলী সরদার মধু জানান, পিয়ারা তলা মোড়ে খিচুড়ি ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। খিচুড়ি রান্না শেষে ভাগাভাগির সময় কিছু নেতা কর্মীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা মীমাংসা হয়। কিন্তু ঘটনার দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মুজিবুর রহমান ও তাঁর ছেলে হানিফ ১৮ থেকে ২০ জন লোক নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে বাবলু শেখ ও ইয়াসিন গাজীর দোকানের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা আব্দুল মান্নানের পেটে চাকু মেরে হত্যা করে। এর আগে সন্ধ্যায় “কে মারবে তোকে” এই বলে নিহত মান্নানকে বাসা থেকে বাজারে ডেকে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী মৃত নুরআলী শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান। তবে এর সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাঁদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ইউপি সদস্য তিনি।
নিহত মান্নানের মেয়ে লিতুনজিরা জানান, খিচুড়ি ভাগাভাগি নিয়ে তাঁর বাবাকে বাড়ি থেকে লোক পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কাশিয়ডাঙ্গা বটতলা মোড়ে ইমাম হোসেনের সেলুন ঘর থেকে খুর নিয়ে তাঁর বাবাকে হত্যা করে। মাঠে কামলা দিয়ে অসুস্থ দাদা-দাদি, মা ও ছোট ভাই সহ ৯ জনের সংসার চালাতেন তাঁর বাবা। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ দাদু ছাড়া আয় করার মতো পরিবারে আর কেহ নেই তাঁদের। ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি জন্য জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি করেন নিহতের মেয়ে। পাশাপাশি অসহায় পরিবারের প্রতি সহযোগিতা কামনা করেন এই পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের চাচাতো ভাই লিটন হোসেন বলেন, খিচুড়ি নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হানিফের নেতৃত্বে কেশবপুর বউবাজার থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে খুর দিয়ে মান্নানকে খুন করে। নিহত মান্নানের ভাইয়ের ছেলে বাবু সানা ও রবিউল শেখকেও পিঠে পায়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাস বাহিনী।
নিহত মান্নানের স্ত্রী সাজেদা খাতুন বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাঠের কাজ শেষ করে বাড়ি আসলে প্রতিবেশী হাফিজুর কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর স্বামীকে। এরপর তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। দুই সন্তান বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি ৮ সদস্য নিয়ে কীভাবে সংসার চলবে এই নিয়ে দিশেহারা তিনি।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত ওসি মীর খায়রুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে