মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া)
গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙির নিরাপদ সবজি গ্রামের। উপজেলায় গ্রামটি নিরাপদ সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম নামে পরিচিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এখানকার পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তাঁরা সবজি চাষ করছেন। এ বছর এ গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সবজি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের কৃষকেরা ব্যস্ত সবজিখেতে। কেউ সবজি খেতে গোড়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ চাষের জমি তৈরি করছেন, কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। যা গ্রামটির নামের সঙ্গে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কোনো কোনো মাঠে দেখা যায়, কৃষকেরা সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈবসার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।
এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত বছর সেচ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।
পাতেলডাঙি গ্রামে সবজি চাষি হাতেম খাঁ (৬০) এ বছর ২ বিঘা ৮ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় গ্রামটি ধান চাষের ওপর নির্ভর ছিল। কিন্তু ধান চাষে লোকসান দেখে পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকই এখন সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখছেন। সবজিগুলো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই গ্রামের সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করে দেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকা করে হাজিরা পান। তাঁরা বলেন, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষ বেছে নিয়েছেন। কৃষকেরা এখন সবজি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ গ্রামের বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও নতুন নতুন সবজির প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
গ্রামের পিচঢালা সরু রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যতই গ্রামের ভেতরে এগোনো যায় দেখা মেলে দুই পাশে জন্মানো শুধু সবজি আর সবজি। নানা জাতের সবজিতে ভরে আছে পুরো গ্রাম। শুধু জমিতেই নয়, গ্রামের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায়, ঘরের চালে, গাছে গাছে ঝুলে আছে নানা জাতের সবজি। এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পাতেলডাঙির নিরাপদ সবজি গ্রামের। উপজেলায় গ্রামটি নিরাপদ সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাতেলডাঙি গ্রামটি নিরাপদ সবজি গ্রাম নামে পরিচিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড থেকে এ গ্রামের দূরত্ব ১ কিলোমিটার। এখানকার পরিবারগুলো সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল। বংশ পরম্পরায় ১৫ বছর ধরে তাঁরা সবজি চাষ করছেন। এ বছর এ গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সবজি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের কৃষকেরা ব্যস্ত সবজিখেতে। কেউ সবজি খেতে গোড়ায় নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ চাষের জমি তৈরি করছেন, কেউবা জমিতে সেচ দিচ্ছেন। যা গ্রামটির নামের সঙ্গে চমৎকার মিল পাওয়া যায়। কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। কোনো কোনো মাঠে দেখা যায়, কৃষকেরা সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গাড়িবোঝাই করে সবজি কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কৃষক অতুল পরামানিক (৬৫) বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য এখন আমরা জমিতে জৈবসার, গোবর, বিষটোপ, জৈব কীটনাশক, হলুদ ট্র্যাপ, সেক্স ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার করছি। আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতাম।
এবার আড়াই বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করছেন চৈতন্য মোদক (৬৫)। ৪০ বছর যাবৎ সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত বছর সেচ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬০০ টাকা। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। এমনিভাবে গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ দিতে বিঘা প্রতি খরচ হতো ৬০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু সে তুলনায় সবজির দাম বাড়েনি। এ জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।
পাতেলডাঙি গ্রামে সবজি চাষি হাতেম খাঁ (৬০) এ বছর ২ বিঘা ৮ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় গ্রামটি ধান চাষের ওপর নির্ভর ছিল। কিন্তু ধান চাষে লোকসান দেখে পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বিষমুক্ত সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। গ্রামের বেশির ভাগ কৃষকই এখন সবজি চাষ করেন। সবজি চাষ করে অধিকাংশ চাষি লাভের মুখ দেখছেন। সবজিগুলো বিষমুক্ত হওয়ার কারণে এই গ্রামের সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
পাতেলডাঙি গ্রামের সুকুমার মণ্ডল ও মিঠুন শেখ অন্যের জমিতে কাজ করে দেন। প্রতিদিন তাঁরা ৩০০ টাকা করে হাজিরা পান। তাঁরা বলেন, ধান, পাট, গমে লোকসান গুনতে গুনতে কৃষক যখন দিশেহারা তখন বিকল্প উপায়ে সবজি চাষ বেছে নিয়েছেন। কৃষকেরা এখন সবজি চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ গ্রামের বিষমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, পাতেলডাঙি গ্রামে কৃষকেরা ১৫ বছর ধরে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। এ বছর এই গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ জন কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন। নিরাপদ সবজি চাষের জন্য কৃষকদের পরিবেশবান্ধব কৌশল শিখিয়ে দিতে গ্রামে একটি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ খোলা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এ গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও নতুন নতুন সবজির প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, পটল, টমেটো, পালং শাক, মরিচ, শিম, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
রাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২১ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
২৩ মিনিট আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
২৩ মিনিট আগেশেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন দিয়ে এরশাদুল হক নামে এক যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। আজ শুক্রবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে ওই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
২৫ মিনিট আগে