সৈয়দ মো. মুঈনুল হক, ঢাকা
পূর্ব পাশে প্রমত্তা বলেশ্বর নদ। আর দক্ষিণে প্রশস্ত খাল। এর মধ্যে সবুজ গাছপালায় শোভিত শান্ত জনপদ ‘চাল-রায়েন্দা’। এটিই আমার গ্রাম। এটির অবস্থান বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সদর ইউনিয়নে।
আমাদের খাল পার হয়ে কিছু দূর গেলে সোনাতলা গ্রাম। এটি গিয়ে ঠেকেছে ভোলা নদীর তীরে। আর এই নদীর ওপারেই সুন্দরবন। যেটি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য শ্বাসমূলীয় বন।
গ্রামের মাঠে শৈশব-কৈশোরে কত না খেলায় মেতেছি! বর্ষাকালে ফুটবল খেলা হতো গ্রামের দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে। পুরস্কার হিসেবে থাকত দুটা কি চারটা কাচের গ্লাস। বড় খেলা হলে গ্লাসের সংখ্যা আটে ঠেকত।
আমাদের বাড়িতে কয়েকটা পুকুর আছে। এর মধ্যে বড় বাড়ির পুকুরের পাড়ে বর্ষাকালে খেলতাম হাডুডু। আর বাড়ির উঠানে শীতকালে বিকেল থেকে রাত অবধি চলত ব্যাডমিন্টন। ছোটরা খেলতাম বিকেলে আর সন্ধ্যা থেকে খেলতেন বড় ভাই ও চাচারা। পুকুরের পানিতে ডুবে ছোঁয়াছুঁয়ির একটা মজার খেলা হতো। কিন্তু সেটির নাম আজ আর মনে পড়ছে না।
এখনো ঈদে বাড়ি গেলে আমরা দ্বিতীয় প্রজন্মের ছেলেরা মিলে ফুটবল খেলার আয়োজন করি। কিন্তু আফসোস হয় আমাদের খেলার মাঠ আর আগের মতো নেই। মাঠের মাঝে মাঝেই ঘরবাড়ি উঠেছে। আজকের কিশোর-তরুণদের তেমন খেলতেও দেখা যায় না।
লেখাপড়া শুরুর প্রথম দিকের স্মৃতি আজও চোখে ভাসে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আগে আমার হাতেখড়ি হয়েছিল বাঁশের কঞ্চির কলম দিয়ে তালপাতায়। আরেকটু বড় হয়ে লিখেছি ঝরনা কলম দিয়ে।
ছোটবেলায় আমরা সকালে দল বেঁধে গল্প করতে করতে স্কুলে যেতাম। দুপুরে ছুটি হলে দলে দলে ফিরে গোসলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তাম পুকুরে। সন্ধ্যায় দুই ভাই মিলে পড়তে বসতাম। মা বলতেন এই জোরে জোরে পড়। আমরা আওয়াজ তুলে পড়তাম বন্দে আলী মিয়ার কবিতা: আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর, থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর। পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই, এক সাথে খেলি আর পাঠশালে যাই।
শিশুকালে এই গ্রামই ছিল আমার পৃথিবী। এটিই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। আজও এর সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ। এখনো এটি ঘনসবুজ। তাই নগর জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা সহকর্মী, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ গ্রামে নিমন্ত্রণ জানাই পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ভাষায়: তুমি যাবে ভাই– যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়, গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়।
এটি উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ। এখানে সরকার-প্রশাসন ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরাস্ত হয়। কিন্তু মাদকের কাছে যেন সবাই অসহায়। অর্থলোভী কিছু প্রভাবশালীর হাত হয়ে এ এলাকায় মাদক ঢুকেছে; যা এলাকাবাসীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক তরুণ নেশায় আসক্ত হয়ে বখে গেছে। নিঃস্ব হয়েছে কিছু পরিবার।
গ্রামের কথা মনে পড়লেই ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু জীবন বাস্তবতায় তা আর হয়ে ওঠে না। তবে জীবনের লেনদেন যখন ফুরাবে তখন নিশ্চয়ই যেতে পারব। চিরতরে ঘুমাব এই গ্রামের মাটিতেই।
পূর্ব পাশে প্রমত্তা বলেশ্বর নদ। আর দক্ষিণে প্রশস্ত খাল। এর মধ্যে সবুজ গাছপালায় শোভিত শান্ত জনপদ ‘চাল-রায়েন্দা’। এটিই আমার গ্রাম। এটির অবস্থান বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সদর ইউনিয়নে।
আমাদের খাল পার হয়ে কিছু দূর গেলে সোনাতলা গ্রাম। এটি গিয়ে ঠেকেছে ভোলা নদীর তীরে। আর এই নদীর ওপারেই সুন্দরবন। যেটি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য শ্বাসমূলীয় বন।
গ্রামের মাঠে শৈশব-কৈশোরে কত না খেলায় মেতেছি! বর্ষাকালে ফুটবল খেলা হতো গ্রামের দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে। পুরস্কার হিসেবে থাকত দুটা কি চারটা কাচের গ্লাস। বড় খেলা হলে গ্লাসের সংখ্যা আটে ঠেকত।
আমাদের বাড়িতে কয়েকটা পুকুর আছে। এর মধ্যে বড় বাড়ির পুকুরের পাড়ে বর্ষাকালে খেলতাম হাডুডু। আর বাড়ির উঠানে শীতকালে বিকেল থেকে রাত অবধি চলত ব্যাডমিন্টন। ছোটরা খেলতাম বিকেলে আর সন্ধ্যা থেকে খেলতেন বড় ভাই ও চাচারা। পুকুরের পানিতে ডুবে ছোঁয়াছুঁয়ির একটা মজার খেলা হতো। কিন্তু সেটির নাম আজ আর মনে পড়ছে না।
এখনো ঈদে বাড়ি গেলে আমরা দ্বিতীয় প্রজন্মের ছেলেরা মিলে ফুটবল খেলার আয়োজন করি। কিন্তু আফসোস হয় আমাদের খেলার মাঠ আর আগের মতো নেই। মাঠের মাঝে মাঝেই ঘরবাড়ি উঠেছে। আজকের কিশোর-তরুণদের তেমন খেলতেও দেখা যায় না।
লেখাপড়া শুরুর প্রথম দিকের স্মৃতি আজও চোখে ভাসে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আগে আমার হাতেখড়ি হয়েছিল বাঁশের কঞ্চির কলম দিয়ে তালপাতায়। আরেকটু বড় হয়ে লিখেছি ঝরনা কলম দিয়ে।
ছোটবেলায় আমরা সকালে দল বেঁধে গল্প করতে করতে স্কুলে যেতাম। দুপুরে ছুটি হলে দলে দলে ফিরে গোসলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তাম পুকুরে। সন্ধ্যায় দুই ভাই মিলে পড়তে বসতাম। মা বলতেন এই জোরে জোরে পড়। আমরা আওয়াজ তুলে পড়তাম বন্দে আলী মিয়ার কবিতা: আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর, থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর। পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই, এক সাথে খেলি আর পাঠশালে যাই।
শিশুকালে এই গ্রামই ছিল আমার পৃথিবী। এটিই ছিল আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। আজও এর সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ। এখনো এটি ঘনসবুজ। তাই নগর জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা সহকর্মী, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ গ্রামে নিমন্ত্রণ জানাই পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ভাষায়: তুমি যাবে ভাই– যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়, গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়।
এটি উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ। এখানে সরকার-প্রশাসন ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরাস্ত হয়। কিন্তু মাদকের কাছে যেন সবাই অসহায়। অর্থলোভী কিছু প্রভাবশালীর হাত হয়ে এ এলাকায় মাদক ঢুকেছে; যা এলাকাবাসীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক তরুণ নেশায় আসক্ত হয়ে বখে গেছে। নিঃস্ব হয়েছে কিছু পরিবার।
গ্রামের কথা মনে পড়লেই ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু জীবন বাস্তবতায় তা আর হয়ে ওঠে না। তবে জীবনের লেনদেন যখন ফুরাবে তখন নিশ্চয়ই যেতে পারব। চিরতরে ঘুমাব এই গ্রামের মাটিতেই।
রাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন দিয়ে এরশাদুল হক নামে এক যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। আজ শুক্রবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে ওই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে