কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের ৮ নম্বর কক্ষ। রোস্টার অনুযায়ী সেখানে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে চিকিৎসক ডা. ফারাজানা খাতুনের রোগী দেখার কথা। কিন্তু সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে গিয়েও চেম্বারে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর পাশের চেম্বারেই থাকার কথা ডা. সৈয়দা আফরিন কুসুমের। কিন্তু তাঁরও দেখা মিললো না তাঁর চেম্বারে। সেখানে মাহাফুজা নামের তাদের কর্মচারী বসে ছিল। তাঁর কাছে চিকিৎসকের কথা জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দিলেন।
এ দিকে বহির্বিভাগের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা মাহিলা এবং পুরুষদের টিকিট হাতে দীর্ঘ লাইনে বসে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৮টার পর থেকেই এখানে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। দূর দুরান্ত থেকে আসা এসব মানুষ সকাল সকাল ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন, সেই আসায় এসেছিলেন। কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে সবাই লাইন ঠিক রেখে যে যার মতো করে বসে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছেন। শুধু ৮ নম্বর কক্ষই নয়। একই অবস্থা হাসপাতালের সকল কক্ষের দায়িত্বে থাকা প্রায় চিকিৎসকের।
সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নিয়মানুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের রোস্টার অনুযায়ী রোগী দেখার কথা থাকলেও রোগী এবং এখানে সময় মতো ডাক্তার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। চিকিৎসকেরা তাঁদের ইচ্ছে মতো আসে আবার কিছুক্ষণ থেকে তাঁদের ইচ্ছে মতোই চলে যান। সরকারি এই হাসপাতালের চাইতে বিভিন্ন ক্লিনিকে তাঁদের ব্যক্তিগত চেম্বারের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। যার কারণে ভোগান্তির শিকার হন এখানে চিকিৎসা নিতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে।
এসব কক্ষের পাশেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের কক্ষ। সেখানে গিয়ে এসব চিকিৎসকদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা মিটিং এ থাকতে পারেন। তবে কোথায়, কোন বিষয়ে এবং কাদের সঙ্গে মিটিং এ আছেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি হাসপাতালের এই কর্মকর্তা।
পেটের সমস্যা নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবরবাড়ী এলাকা থেকে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন আবেদা খাতুন নামের ৫০ বছর বয়েসি এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়া আমাদের জন্য একটু কষ্টদায়ক। তাই সকাল বেলা করে সরকারি হাসপাতালে এসেছেন। ৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পর তাঁরা আমাকে ৮ নম্বর ঘরের সামনে আসতে বলল। কিন্তু দেড় ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু এখনো কোন ডাক্তার আসেনি। এখানে একটা মহিলা আছে তাঁর কাছে জানতে চাইলেও খারাপ ব্যবহার করছে। তাই বসে আছি।
মিরপুর উপজেলার চারমাইল এলাকা থেকে দাঁতের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন রহিমা খাতুন নামে ৪৫ বছর বয়েসি আরেক গৃহবধূ। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮ থেকে অপেক্ষা করছি। ১০টা বাজতে চলল কিন্তু কেউ আসেনি। তাই ডাক্তারের আসায় বসে আছি। কি করব দাঁতে ব্যথা উঠলে থাকা যায় না। তাই যত দেরি হোক না কেন দাঁত দেখিয়ে তারপর যাব।
সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) এর কুষ্টিয়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম টুকু বলেন, কিছু কিছু পেশা আছে সেটা শুধু পেশা নয়, দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব। তার মধ্যে অন্যতম পেশা চিকিৎসা সেবা। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ চিকিৎসক এই পেশাটাকে দায়িত্বের চাইতে ব্যবসায়িক দিকে নিয়ে গেছেন এবং তারা এই মহান পেশায় থেকেও অর্থলোভী হয়ে গেছে। যার ফলে তারা সরকারি হাসপাতালের চাইতে ব্যক্তিগত চেম্বারের দিকে বেশি আগ্রহী। যার ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগের মধ্যে। সরকারের উচিত আইন এমন ভাবে প্রয়োগ করা যাতে ডিউটি সময়ের এক মিনিট আগেও যেন চিকিৎসকেরা বাইরে রোগী দেখতে না পারে। এ ব্যাপারে সরকারকে কঠিন হস্তক্ষেপ করতে হবে। কারণ সরকারের কাছ থেকে বেতন নেবে আর ব্যক্তিগত চেম্বারের দিকে বেশি আগ্রহী হবে এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়ার মতো না।
চিকিৎসকদের সময় মতো চেম্বারে না আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের সমস্যা প্রতিটি দপ্তরেই আছে। সব জায়গাতেই কিছু মানুষ তাঁদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। তবে এই হাসপাতালে এই সমস্যা আরও বেশি ছিল। আমি যোগদানের পর অনেকটাই ঠিক করতে পেরেছি। তারপরেও কিছু চিকিৎসক এখনো সময় মতো কাজে আসছে না। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলোও ঠিক হয়ে যাবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের ৮ নম্বর কক্ষ। রোস্টার অনুযায়ী সেখানে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে চিকিৎসক ডা. ফারাজানা খাতুনের রোগী দেখার কথা। কিন্তু সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে গিয়েও চেম্বারে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর পাশের চেম্বারেই থাকার কথা ডা. সৈয়দা আফরিন কুসুমের। কিন্তু তাঁরও দেখা মিললো না তাঁর চেম্বারে। সেখানে মাহাফুজা নামের তাদের কর্মচারী বসে ছিল। তাঁর কাছে চিকিৎসকের কথা জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দিলেন।
এ দিকে বহির্বিভাগের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা মাহিলা এবং পুরুষদের টিকিট হাতে দীর্ঘ লাইনে বসে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৮টার পর থেকেই এখানে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। দূর দুরান্ত থেকে আসা এসব মানুষ সকাল সকাল ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন, সেই আসায় এসেছিলেন। কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে সবাই লাইন ঠিক রেখে যে যার মতো করে বসে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছেন। শুধু ৮ নম্বর কক্ষই নয়। একই অবস্থা হাসপাতালের সকল কক্ষের দায়িত্বে থাকা প্রায় চিকিৎসকের।
সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নিয়মানুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের রোস্টার অনুযায়ী রোগী দেখার কথা থাকলেও রোগী এবং এখানে সময় মতো ডাক্তার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। চিকিৎসকেরা তাঁদের ইচ্ছে মতো আসে আবার কিছুক্ষণ থেকে তাঁদের ইচ্ছে মতোই চলে যান। সরকারি এই হাসপাতালের চাইতে বিভিন্ন ক্লিনিকে তাঁদের ব্যক্তিগত চেম্বারের প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। যার কারণে ভোগান্তির শিকার হন এখানে চিকিৎসা নিতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে।
এসব কক্ষের পাশেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের কক্ষ। সেখানে গিয়ে এসব চিকিৎসকদের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা মিটিং এ থাকতে পারেন। তবে কোথায়, কোন বিষয়ে এবং কাদের সঙ্গে মিটিং এ আছেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি হাসপাতালের এই কর্মকর্তা।
পেটের সমস্যা নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবরবাড়ী এলাকা থেকে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন আবেদা খাতুন নামের ৫০ বছর বয়েসি এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়া আমাদের জন্য একটু কষ্টদায়ক। তাই সকাল বেলা করে সরকারি হাসপাতালে এসেছেন। ৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পর তাঁরা আমাকে ৮ নম্বর ঘরের সামনে আসতে বলল। কিন্তু দেড় ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু এখনো কোন ডাক্তার আসেনি। এখানে একটা মহিলা আছে তাঁর কাছে জানতে চাইলেও খারাপ ব্যবহার করছে। তাই বসে আছি।
মিরপুর উপজেলার চারমাইল এলাকা থেকে দাঁতের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন রহিমা খাতুন নামে ৪৫ বছর বয়েসি আরেক গৃহবধূ। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮ থেকে অপেক্ষা করছি। ১০টা বাজতে চলল কিন্তু কেউ আসেনি। তাই ডাক্তারের আসায় বসে আছি। কি করব দাঁতে ব্যথা উঠলে থাকা যায় না। তাই যত দেরি হোক না কেন দাঁত দেখিয়ে তারপর যাব।
সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) এর কুষ্টিয়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম টুকু বলেন, কিছু কিছু পেশা আছে সেটা শুধু পেশা নয়, দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব। তার মধ্যে অন্যতম পেশা চিকিৎসা সেবা। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ চিকিৎসক এই পেশাটাকে দায়িত্বের চাইতে ব্যবসায়িক দিকে নিয়ে গেছেন এবং তারা এই মহান পেশায় থেকেও অর্থলোভী হয়ে গেছে। যার ফলে তারা সরকারি হাসপাতালের চাইতে ব্যক্তিগত চেম্বারের দিকে বেশি আগ্রহী। যার ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগের মধ্যে। সরকারের উচিত আইন এমন ভাবে প্রয়োগ করা যাতে ডিউটি সময়ের এক মিনিট আগেও যেন চিকিৎসকেরা বাইরে রোগী দেখতে না পারে। এ ব্যাপারে সরকারকে কঠিন হস্তক্ষেপ করতে হবে। কারণ সরকারের কাছ থেকে বেতন নেবে আর ব্যক্তিগত চেম্বারের দিকে বেশি আগ্রহী হবে এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়ার মতো না।
চিকিৎসকদের সময় মতো চেম্বারে না আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের সমস্যা প্রতিটি দপ্তরেই আছে। সব জায়গাতেই কিছু মানুষ তাঁদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। তবে এই হাসপাতালে এই সমস্যা আরও বেশি ছিল। আমি যোগদানের পর অনেকটাই ঠিক করতে পেরেছি। তারপরেও কিছু চিকিৎসক এখনো সময় মতো কাজে আসছে না। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলোও ঠিক হয়ে যাবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (জাবি) আফসানা করিম রাচি নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ৮ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা...
৪ মিনিট আগেপাবনার সাঁথিয়ায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রিফিল করার সময় বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের এক গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে...
২২ মিনিট আগেব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা করিম নিহতের ঘটনায় এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপ-রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগেবিএনপিসমর্থিত কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদকে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
৯ ঘণ্টা আগে