মো. জাহিদ হাসান, যশোর
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েক দিনে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুরগির দাম। পাশাপাশি অন্য মাংসের দামও বেড়েছে। মাংসের দাম ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত স্তরের ভোক্তার খাবার টেবিলে মাংস অনেকটা দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে মাংস বিক্রি কমে যাওয়া লসে পড়ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার যশোরের বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, মাংসের অধিক দামের কারণে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, খাসি এক হাজার, দেশি মুরগি ৬৫০, সোনালি মুরগি ৩৫০, ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় চরম ভোগান্তিতে ক্রেতারা।
সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু পবিত্র রমজান মাস। রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। চড়া দামের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আমিষের চাহিদা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুপুরে শহরের চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ড বাজারে কথা হয় একটি এনজিওতে চাকরি করা নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে একই বেতনে চাকরি করছি। প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কিন্তু বেতন তো আর বাড়ছে না। আগে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন মাংস খেতাম। এখন এক দিন খাওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে। সপ্তাহে এক দিন কিনলেও আগের পরিমাণের অর্ধেক কিনতে হয়।’
বাজার করতে আসা একটি ছাত্রাবাসের দুজন শিক্ষার্থী মাহতামিম সাকিব ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘মেসে তিন দিন পরপর বাজার হয়। সেই বাজারে মাংস থাকে। সব মিলে মাসে আট থেকে নয় দিন মাংস খেতাম। সেটা সোনালি বা ব্রয়লার মুরগি। এখন দাম বৃদ্ধিতে মাংস কমায়ে দিয়ে অন্য তরকারিতে ঝুঁকেছি। মাঝেমধ্যে মাংস খেলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়।’
মুরগির দাম ও বিক্রির বিষয়ে বিক্রেতা রিপন হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১০০টির ওপরে মুরগি বিক্রি করতাম। এখন দাম বাড়ার কারণে ৩০টির বেশি হয় না। অবিক্রীত মুরগি আড়তে রাখার কারণে দিনের পর দিন খাবার খাওয়াতে যেয়ে আরও লস হচ্ছে।’
রিপন আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের জরিমানা দিতে হচ্ছে। আমাদের জেল-জরিমানা করে কী লাভ। প্রশাসন তো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে না। সিন্ডিকেটেই এই মুরগির বাজার আগুন লাগিয়েছে।’
সুমন ধর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হিন্দু ছাত্রাবাসে তো মুরগি আর খাসি ছাড়া চলে না। খাসির মাংসের যে দাম, সেটা গত দুই মাসে খাইনি। মুরগি দিয়েই মাঝেমধ্যে মাংসের চাহিদা পূরণ করছি। তবে সেটার দাম বাড়াতে অনেকটা না খাওয়ার মতো অবস্থা।’ খড়কি ড্রিম হাউস নামে এক ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগে মাসে চার-পাঁচ দিন গরুর মাংস খেতাম। এখন মাসে একবার খাচ্ছি। এ ছাড়া অন্য জিনিসপত্রেও দাম বেশি। চড়া দামের কারণে আমিষের চাহিদা পূরণ না হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।’
চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডের মাংস ব্যবসায়ী কায়েম আলী মোল্লা। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে মাংস বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘এত দাম বাড়লি কেউ খায় গোশত। বয়লারও খেতে পারছে না। তালি গরু-খাসি খাবে কীরাম করে। ব্যাচাকিনা ভালো না।’
তাঁর কথামতে, আগে দু-তিন মণ পর্যন্ত প্রতিদিন মাংস বিক্রি করতেন। এখন দাম বাড়ার কারণে ২৫ কেজির ওপরে যাচ্ছে না। আগে যারা কয়েক কেজি করে কিনতেন, তাঁরাই এখন নামমাত্র মাংস কিনছেন। অনুষ্ঠান ছাড়া তেমন কোনো মাংস বিক্রি নেই বাজারে।
বাবুল হোসেন নামে এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘মাংসের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় বিক্রিতে ধস নামার উপক্রম। খুব কমসংখ্যক মানুষই মাংস কিনছেন। ফলে আগের তুলনায় বিক্রি কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। মুরগি ও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে হাতে গোনা কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি। তারা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিচ্ছে দাম। বেশি দামে কিনে আমরা সীমিত লাভ রেখেই বিক্রি করছি।’
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।’
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েক দিনে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুরগির দাম। পাশাপাশি অন্য মাংসের দামও বেড়েছে। মাংসের দাম ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত স্তরের ভোক্তার খাবার টেবিলে মাংস অনেকটা দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে মাংস বিক্রি কমে যাওয়া লসে পড়ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার যশোরের বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, মাংসের অধিক দামের কারণে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, খাসি এক হাজার, দেশি মুরগি ৬৫০, সোনালি মুরগি ৩৫০, ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ায় চরম ভোগান্তিতে ক্রেতারা।
সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু পবিত্র রমজান মাস। রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। চড়া দামের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আমিষের চাহিদা পূরণ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুপুরে শহরের চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ড বাজারে কথা হয় একটি এনজিওতে চাকরি করা নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে একই বেতনে চাকরি করছি। প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কিন্তু বেতন তো আর বাড়ছে না। আগে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন মাংস খেতাম। এখন এক দিন খাওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে। সপ্তাহে এক দিন কিনলেও আগের পরিমাণের অর্ধেক কিনতে হয়।’
বাজার করতে আসা একটি ছাত্রাবাসের দুজন শিক্ষার্থী মাহতামিম সাকিব ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘মেসে তিন দিন পরপর বাজার হয়। সেই বাজারে মাংস থাকে। সব মিলে মাসে আট থেকে নয় দিন মাংস খেতাম। সেটা সোনালি বা ব্রয়লার মুরগি। এখন দাম বৃদ্ধিতে মাংস কমায়ে দিয়ে অন্য তরকারিতে ঝুঁকেছি। মাঝেমধ্যে মাংস খেলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়।’
মুরগির দাম ও বিক্রির বিষয়ে বিক্রেতা রিপন হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১০০টির ওপরে মুরগি বিক্রি করতাম। এখন দাম বাড়ার কারণে ৩০টির বেশি হয় না। অবিক্রীত মুরগি আড়তে রাখার কারণে দিনের পর দিন খাবার খাওয়াতে যেয়ে আরও লস হচ্ছে।’
রিপন আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের জরিমানা দিতে হচ্ছে। আমাদের জেল-জরিমানা করে কী লাভ। প্রশাসন তো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে না। সিন্ডিকেটেই এই মুরগির বাজার আগুন লাগিয়েছে।’
সুমন ধর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হিন্দু ছাত্রাবাসে তো মুরগি আর খাসি ছাড়া চলে না। খাসির মাংসের যে দাম, সেটা গত দুই মাসে খাইনি। মুরগি দিয়েই মাঝেমধ্যে মাংসের চাহিদা পূরণ করছি। তবে সেটার দাম বাড়াতে অনেকটা না খাওয়ার মতো অবস্থা।’ খড়কি ড্রিম হাউস নামে এক ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগে মাসে চার-পাঁচ দিন গরুর মাংস খেতাম। এখন মাসে একবার খাচ্ছি। এ ছাড়া অন্য জিনিসপত্রেও দাম বেশি। চড়া দামের কারণে আমিষের চাহিদা পূরণ না হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।’
চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডের মাংস ব্যবসায়ী কায়েম আলী মোল্লা। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে মাংস বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘এত দাম বাড়লি কেউ খায় গোশত। বয়লারও খেতে পারছে না। তালি গরু-খাসি খাবে কীরাম করে। ব্যাচাকিনা ভালো না।’
তাঁর কথামতে, আগে দু-তিন মণ পর্যন্ত প্রতিদিন মাংস বিক্রি করতেন। এখন দাম বাড়ার কারণে ২৫ কেজির ওপরে যাচ্ছে না। আগে যারা কয়েক কেজি করে কিনতেন, তাঁরাই এখন নামমাত্র মাংস কিনছেন। অনুষ্ঠান ছাড়া তেমন কোনো মাংস বিক্রি নেই বাজারে।
বাবুল হোসেন নামে এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘মাংসের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় বিক্রিতে ধস নামার উপক্রম। খুব কমসংখ্যক মানুষই মাংস কিনছেন। ফলে আগের তুলনায় বিক্রি কমেছে এক-তৃতীয়াংশ। মুরগি ও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে হাতে গোনা কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি। তারা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিচ্ছে দাম। বেশি দামে কিনে আমরা সীমিত লাভ রেখেই বিক্রি করছি।’
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ছাড়া নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৬ ঘণ্টা আগে