বেনাপোল প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ খাতের সরঞ্জাম নিয়ে ভারত থেকে আসা ৫০টিরও বেশি ট্রাক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকেরা। বেনাপোল বন্দরে আধুনিক ক্রেন আর জায়গার অভাবে এসব পণ্য ট্রাক থেকে খালাসের অপেক্ষা দুই মাসের অধিক সময় ধরে আটকা পড়েছে বন্দরে। বন্দরে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মিলছে না। এতে আমদানি খরচ বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ জানান, মাসের পর মাস দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি বাড়ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের যেসব সেক্টরে উন্নয়নের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, তার মধ্যে বিদ্যুৎ খাত একটি। আর এই বিদ্যুৎ সরঞ্জামের বড় একটি অংশ আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। তবে বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি আর ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বন্দরে জায়গার অভাবে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এসব পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকেছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। পরে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে মাসের অধিক সময় ধরে আটকে আছে আধুনিক ক্রেনের অভাবে। ফলে উন্নয়নকাজে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি বাড়ছে আমদানি খরচ। বন্দর বা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ দিয়েও সমাধান মিলছে না।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দরে বর্তমানে ২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি পণ্য রয়েছে। তবে বন্দরে পণ্যের ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। বেনাপোল বন্দরে জায়গার অভাবে ভারতের বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে মাসের অধিক সময় ধরে। এসব ট্রাকপ্রতি দিনে ২ হাজার রুপি অর্থদণ্ড দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন বৈঠকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও গরজ নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। এতে বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর।
বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে যে ক্রেন আছে তা দিয়ে ২৫ টনের বেশি ওজনের পণ্য তোলা ও নামানো যায় না। আধুনিক ক্রেন ও ফর্ক ক্লিপ এবং নিরাপদে আমদানি পণ্য বন্দরে রাখার জায়গা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেও লাভ হচ্ছে না। এখন ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে অসহায় হয়ে আছি।’
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বন্দরের ক্রেন, ফর্ক ক্লিপের করুন অবস্থা। বেনাপোল বন্দরের অধিকাংশ ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ অচল। বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকে। পণ্য নামাতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন। বন্দর আর ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় নিরাপদ বাণিজ্য আজ হুমকির মুখে পড়েছে।
বন্দরের পণ্য খালাসকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গ্রেড বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মিল্টন দাস জানান, সাত বছর আগে তাদের সঙ্গে যখন বন্দরের চুক্তি হয়, তখন বন্দরে মাসে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য খালাস হতো। বর্তমানে মাসে খালাসের চাহিদা রয়েছে দেড় লাখ টন। বর্তমানে তাদের ক্রেন, ফর্ক ক্লিপের চাহিদা রয়েছে ৩০টির, কিন্তু আছে ১৭টি। নতুন করে বন্দর চুক্তি না করলে বাড়তি ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ কেনা সম্ভব নয়। বিষয়টি বন্দরকে জানানো হলেও তারা আমলে নিচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ক্রেন ও ফর্ক ক্লিপ বাড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বন্দরের পণ্য রাখার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতের সরঞ্জাম নিয়ে ভারত থেকে আসা ৫০টিরও বেশি ট্রাক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকেরা। বেনাপোল বন্দরে আধুনিক ক্রেন আর জায়গার অভাবে এসব পণ্য ট্রাক থেকে খালাসের অপেক্ষা দুই মাসের অধিক সময় ধরে আটকা পড়েছে বন্দরে। বন্দরে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মিলছে না। এতে আমদানি খরচ বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেরুল্লাহ জানান, মাসের পর মাস দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি বাড়ছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের যেসব সেক্টরে উন্নয়নের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, তার মধ্যে বিদ্যুৎ খাত একটি। আর এই বিদ্যুৎ সরঞ্জামের বড় একটি অংশ আমদানি হচ্ছে ভারত থেকে। তবে বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি আর ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বন্দরে জায়গার অভাবে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে এসব পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকেছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। পরে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে মাসের অধিক সময় ধরে আটকে আছে আধুনিক ক্রেনের অভাবে। ফলে উন্নয়নকাজে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি বাড়ছে আমদানি খরচ। বন্দর বা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ দিয়েও সমাধান মিলছে না।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দরে বর্তমানে ২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি পণ্য রয়েছে। তবে বন্দরে পণ্যের ধারণক্ষমতা মাত্র ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। বেনাপোল বন্দরে জায়গার অভাবে ভারতের বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে ৭ থেকে ৮ হাজার ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে মাসের অধিক সময় ধরে। এসব ট্রাকপ্রতি দিনে ২ হাজার রুপি অর্থদণ্ড দিতে হচ্ছে। বিভিন্ন বৈঠকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও গরজ নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। এতে বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়ছে বাজারে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর।
বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে যে ক্রেন আছে তা দিয়ে ২৫ টনের বেশি ওজনের পণ্য তোলা ও নামানো যায় না। আধুনিক ক্রেন ও ফর্ক ক্লিপ এবং নিরাপদে আমদানি পণ্য বন্দরে রাখার জায়গা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেও লাভ হচ্ছে না। এখন ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে অসহায় হয়ে আছি।’
ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বন্দরের ক্রেন, ফর্ক ক্লিপের করুন অবস্থা। বেনাপোল বন্দরের অধিকাংশ ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ অচল। বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকে। পণ্য নামাতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ জানিয়েছেন। বন্দর আর ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনায় নিরাপদ বাণিজ্য আজ হুমকির মুখে পড়েছে।
বন্দরের পণ্য খালাসকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গ্রেড বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মিল্টন দাস জানান, সাত বছর আগে তাদের সঙ্গে যখন বন্দরের চুক্তি হয়, তখন বন্দরে মাসে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য খালাস হতো। বর্তমানে মাসে খালাসের চাহিদা রয়েছে দেড় লাখ টন। বর্তমানে তাদের ক্রেন, ফর্ক ক্লিপের চাহিদা রয়েছে ৩০টির, কিন্তু আছে ১৭টি। নতুন করে বন্দর চুক্তি না করলে বাড়তি ক্রেন, ফর্ক ক্লিপ কেনা সম্ভব নয়। বিষয়টি বন্দরকে জানানো হলেও তারা আমলে নিচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ক্রেন ও ফর্ক ক্লিপ বাড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বন্দরের পণ্য রাখার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৬ ঘণ্টা আগেউত্তরবঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশের পর এবার রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রংপুরের ছাত্র-জনতা। আগামী তিন দিনের মধ্যে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া না হলে এ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা
৭ ঘণ্টা আগেপাবনা শহরে রাতের আঁধারে তুষার হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে শহরের খেয়াঘাট রোডে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেটঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করবেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত কার্যবিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে