খুলনা প্রতিনিধি
ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে খুলনা শহরে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে হিন্দুধর্মাবলম্বী এক তরুণকে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই তরুণকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে সশস্ত্র বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতেই ‘সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে’ ওই তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু গণমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ করা হয়।
তবে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি আশঙ্কা মুক্ত।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই সময় মসজিদের মাইকেও ‘যুবক নিহত হওয়ার সংবাদ’ প্রচার করে উত্তেজিত জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
তাজুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এখন পুলিশও বলছে, ওই যুবক জীবিত ও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন ওই তরুণকে ধরে নিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শত শত লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে।
ঘটনার বিষয়ে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায়’ স্থানীয় জনগণ জনৈক তরুণকে (২২) আটক করে বুধবার খুলনা মহানগর দক্ষিণের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং উক্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে শাস্তি প্রদান করার জন্য আন্দোলন’ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত প্রদানের কারণে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তার সুস্থতা সাপেক্ষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু–সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে খুলনা শহরে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে হিন্দুধর্মাবলম্বী এক তরুণকে গণপিটুনি দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই তরুণকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে সশস্ত্র বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতেই ‘সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে’ ওই তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু গণমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ করা হয়।
তবে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি আশঙ্কা মুক্ত।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই সময় মসজিদের মাইকেও ‘যুবক নিহত হওয়ার সংবাদ’ প্রচার করে উত্তেজিত জনতাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
তাজুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এখন পুলিশও বলছে, ওই যুবক জীবিত ও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন ওই তরুণকে ধরে নিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে শত শত লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও এবং বিক্ষোভ শুরু করে।
ঘটনার বিষয়ে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায়’ স্থানীয় জনগণ জনৈক তরুণকে (২২) আটক করে বুধবার খুলনা মহানগর দক্ষিণের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং উক্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে শাস্তি প্রদান করার জন্য আন্দোলন’ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত প্রদানের কারণে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তার সুস্থতা সাপেক্ষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু–সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
২ ঘণ্টা আগে