যশোরের ঝিকরগাছায় সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবুল ইসলাম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলার বাঁকড়া জে কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘গণপরিষদ সদস্য আবুল ইসলাম ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক’ স্মরণসভাটির আয়োজন করে আবুল ইসলাম ফাউন্ডেশন। 

সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। 

প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সরকার শুধু শহরে না গ্রামেও উন্নয়ন করেছে। স্কুল–কলেজসহ গ্রামীণ সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।’ বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে কনুই মেরে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে। এখন আওয়ামী লীগ তো দূরে থাক; নিজেই পড়ে গেছেন। আওয়ামী লীগ এমন দল না যে; ধর বললেই সরে যাবে। আওয়ামী লীগ তৃণমূলের দল।’ 

আবুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আবুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিক। তিনি সারা জীবন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তরুণ প্রজন্ম আজ তাঁর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হতে দেরি হবে না।’ 

এদিকে সভায় আশপাশের অত্যন্ত পাঁচ ইউনিয়ন থেকে পায়ে হেঁটে, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে করে খণ্ড খণ্ড বহর নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্যের অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় তাঁরা আগামী সংসদ নির্বাচনে মনিরুল ইসলামকে দল থেকে মনোনয়ন দিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। 

 এর বিষয়ে স্থানীয় বাঁকড়া ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুল রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন বেশি দূরে না। স্মরণসভাকে ঘিরে প্রচুর লোক এসেছে। যার গরজে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে করে যোগ দেন। মনোনয়ন দেবেন দলের সভানেত্রী। তবে মনিরুল সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন, এবারও হতে চান। তাই তিনি আগে থেকে এই পন্থা অবলম্বন করেছেন। তবে প্রতিবছর তিনি স্মরণসভা করলেও এবারের মতো বড় স্মরণ হয়নি কখনো।’ 

সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতি বছরই গণপরিষদের প্রয়াত সদস্য আবুল ইসলামের স্মরণসভা করা হয়। এ বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরে পড়েছে দিনটি। যে কারণে নির্বাচনী মহড়ায় পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া নির্বাচন ছাড়াও নিয়মিত আমার দুটি উপজেলায় নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।’