ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতী নদীর ভাঙনে মাত্র ২০ মিনিটে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তিন একর ফসলি জমি। সেই সঙ্গে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ২৮০টি ঘর। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাসুর এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকায় হঠাৎ আগ্রাসী রূপ ধারণ করে মধুমতী নদী। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই বিলীন হয়ে যায় তিন একর ফসলি জমি। এর পর থেকে দফায় দফায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার কাতলাসুর এলাকায় অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু সেই কৃষিজমি এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব জমিতে ধান, পাট ও ভুট্টা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন এলাকার কৃষকেরা। একমাত্র আয়ের উৎস ফসলি জমি হারিয়ে এখানকার কৃষকেরা দিশেহারা বলে জানান, স্থানীয়রা।
বাপ-দাদার ফসলি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন কাতলাসুর গ্রামের টুকু মোল্যা। নদীগর্ভে তাদের তিন বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে টুকু মোল্যা বলেন, ‘কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। কিন্তু মুহূর্তেই আমার সব জমি নদীর পেটে চলে গেছে। এখন চাষাবাদ করার কোনো জমি আর থাকল না।’
একই এলাকার ফান্টু খাঁ জানান, হঠাৎ নদীতে তাঁর কমপক্ষে দুই বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। অপর কৃষক জিন্নাহ মিয়া জানান, তাঁর এক বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া গতকাল রোববারও কয়েক দফায় মৃদুভাবে ওই এলাকায় ভাঙন হয়। আফজাল মোল্যা নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘নদী থেকে ১০০ মিটার দূরে আমার বাড়ি। যেভাবে নদী ভাঙছে, জানি না কী হবে। বাড়ির এই জমিটুকু ছাড়া আমার থাকার জন্য আর কোনো জমি নেই।’
এদিকে এই ভাঙনের মাত্র ৩০০ মিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প স্বপ্ননগর এলাকা। ৫৩ একর জমির ওপর ‘স্বপ্ননগর’ নামে আবাসন এলাকা নির্মাণ করা হয়। যাদের জমি নেই, ঘর নেই; এমন ২৮৬ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে এই স্বপ্ননগরে। ঘর নির্মাণের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে মসজিদ, মন্দির, বিদ্যালয়, হাট, খেলার মাঠ, ঈদগাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক ও সামাজিক বনায়ন। এ ছাড়া উপকারভোগীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর। চার বছর না যেতেই এসব ঘরের বাসিন্দারা এখন নদীভাঙনে ঘর হারানো আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া স্বপ্ননগর আবাসন এলাকা ব্যতীতও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের কয়েক শতাধিক পরিবার, মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম শরীফ, হুরি বেগম বলেন, ‘আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে স্বপ্ননগরে একটু আশ্রয় পেয়েছিলাম। এখন এই আশ্রয় হারালে আমাদের আবার পথে পথেই থাকতে হবে।’
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে। এরপর তাঁদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষিসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে তাঁদের সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘ফসলি জমি বিলীনের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে আপত্কালীন জিও ব্যাগ ফেলানো হবে। ভবিষ্যতের জন্য নদীর স্রোত ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতী নদীর ভাঙনে মাত্র ২০ মিনিটে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তিন একর ফসলি জমি। সেই সঙ্গে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ২৮০টি ঘর। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাসুর এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকায় হঠাৎ আগ্রাসী রূপ ধারণ করে মধুমতী নদী। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই বিলীন হয়ে যায় তিন একর ফসলি জমি। এর পর থেকে দফায় দফায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার কাতলাসুর এলাকায় অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু সেই কৃষিজমি এখন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব জমিতে ধান, পাট ও ভুট্টা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন এলাকার কৃষকেরা। একমাত্র আয়ের উৎস ফসলি জমি হারিয়ে এখানকার কৃষকেরা দিশেহারা বলে জানান, স্থানীয়রা।
বাপ-দাদার ফসলি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন কাতলাসুর গ্রামের টুকু মোল্যা। নদীগর্ভে তাদের তিন বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে টুকু মোল্যা বলেন, ‘কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। কিন্তু মুহূর্তেই আমার সব জমি নদীর পেটে চলে গেছে। এখন চাষাবাদ করার কোনো জমি আর থাকল না।’
একই এলাকার ফান্টু খাঁ জানান, হঠাৎ নদীতে তাঁর কমপক্ষে দুই বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। অপর কৃষক জিন্নাহ মিয়া জানান, তাঁর এক বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া গতকাল রোববারও কয়েক দফায় মৃদুভাবে ওই এলাকায় ভাঙন হয়। আফজাল মোল্যা নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘নদী থেকে ১০০ মিটার দূরে আমার বাড়ি। যেভাবে নদী ভাঙছে, জানি না কী হবে। বাড়ির এই জমিটুকু ছাড়া আমার থাকার জন্য আর কোনো জমি নেই।’
এদিকে এই ভাঙনের মাত্র ৩০০ মিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প স্বপ্ননগর এলাকা। ৫৩ একর জমির ওপর ‘স্বপ্ননগর’ নামে আবাসন এলাকা নির্মাণ করা হয়। যাদের জমি নেই, ঘর নেই; এমন ২৮৬ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে এই স্বপ্ননগরে। ঘর নির্মাণের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে মসজিদ, মন্দির, বিদ্যালয়, হাট, খেলার মাঠ, ঈদগাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক ও সামাজিক বনায়ন। এ ছাড়া উপকারভোগীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর। চার বছর না যেতেই এসব ঘরের বাসিন্দারা এখন নদীভাঙনে ঘর হারানো আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া স্বপ্ননগর আবাসন এলাকা ব্যতীতও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আশপাশের কয়েক শতাধিক পরিবার, মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম শরীফ, হুরি বেগম বলেন, ‘আমরা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে স্বপ্ননগরে একটু আশ্রয় পেয়েছিলাম। এখন এই আশ্রয় হারালে আমাদের আবার পথে পথেই থাকতে হবে।’
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে। এরপর তাঁদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষিসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে তাঁদের সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘ফসলি জমি বিলীনের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে আপত্কালীন জিও ব্যাগ ফেলানো হবে। ভবিষ্যতের জন্য নদীর স্রোত ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে