নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ তরুণ শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্সের ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে প্রকল্প পরিচালক মোদশমিক আলমগীর হোসেন জানান, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল অপরিবর্তিত রয়েছে। গত বছর এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর, যা এই বছরও অপরিবর্তিত রয়েছে। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ ছাড়া, দেশে নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর এবং নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লিতে আগমনের হার ২০ দশমিক ৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ জন। আগমন/বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২ দশমিক ৯৭ থেকে কমে হয়েছে ২ দশমিক ৩৭ জন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ সালের ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন। যেখানে নারী ৮৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন এবং পুরুষ ৮৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন। পাশাপাশি জনশুমারি ও গৃহগণনার ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন। যেখানে নারী ৮৭ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন এবং পুরুষ ৮৪ দশমিক ২০ মিলিয়ন। বর্তমানে দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ১৭১ জন জনসংখ্যা বসবাস করে।
প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ।
এ ছাড়া, প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা:
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩ দশমিক ৩ %) তুলনায় কিছুটা কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬ দশমিক ৬২ %) তুলনায় কমে ২০২৩ সালে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে।
খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪ দশমিক ২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০২৩ কমে হয়েছে ৮১ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে। সাত বছর ও তদূর্ধর বয়সী জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৪ দশমিক ৪) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে, ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩ দশমিক ৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ ৷ ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০ দশমিক ১ শতাংশ।
রেমিট্যান্স যোদ্ধার সংখ্যা বেড়েছে
মোদশমিক আলমগীর হোসেন আরও জানান, ২০২৩ সালে বিদেশে যাওয়া অথবা আন্তর্জাতিক অভিগমনের হার ৮ দশমিক ৭৮ জন। যা ২০২২ সালে ছিল ৬ দশমিক ৬১ জন। এর মধ্যে ২০২৩ সালে পুরুষদের বিদেশ যাওয়ার হার ১৬ দশমিক ৩৯ জন এবং ২০২২ সালে ১২ দশমিক ১৭ জন।
অন্যদিকে, নারীদের বিদেশে যাওয়ার হার ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৪৪ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ১৮ জন। এছাড়া, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের হার কমেছে ০ দশমিক ৬০ জনে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে পুরুষদের আগমনের হার ৪ দশমিক ৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫৫ জন। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আগমনে নারীর হার ২০২২ সালের তুলনায় বাড়েনি আবার কমেওনি। বাংলাদেশে নারীর আগমনের হার ০ দশমিক ৪৬ জন।
বিবিএস জানায়, এক বছরের তুলনায় প্রবাসে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ জন। বিদেশে যাওয়ার এই হার ২০২১ সালে ছিল ৩ দশমিক ০৪ জন, ২০২০ সালে ছিল ১ দশমিক ৫৯ জন এবং ২০১৯ সালে ছিল ২ দশমিক ৯৪ জন। ২০১৯ সালের পর থেকে কোভিডকালীন সময়ে কমলেও এরপর প্রবাসে যাওয়ার হার প্রতি বছরেই বেড়েছে।
কখনো বিয়ে হয়নি ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষের
বর্তমানে প্রাপ্তবয়ষ্ক হলেও এখনো ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ অবিবাহিত রয়েছেন, যাদের কখনো বিয়ে হয়নি। ২০২২ সালেও এই চিত্র একই ছিল। অন্যদিকে বর্তমানে কখনো বিয়ে হয়নি এমন নারীর হার ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ বিবাহের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। ২০২২ সালে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ নারী কখনো বিয়ে করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীর থেকে পুরুষের মৃত্যুহার বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে পুরুষের মৃত্যু হার ৬ দশমিক ১ জন সেখানে নারীর ৫ দশমিক ৫ জন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ডদশমিক শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ তরুণ শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্সের ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে প্রকল্প পরিচালক মোদশমিক আলমগীর হোসেন জানান, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল অপরিবর্তিত রয়েছে। গত বছর এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর, যা এই বছরও অপরিবর্তিত রয়েছে। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ ছাড়া, দেশে নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪ দশমিক ২ বছর এবং নারীদের ১৮ দশমিক ৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লিতে আগমনের হার ২০ দশমিক ৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩ দশমিক ৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ জন। আগমন/বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২ দশমিক ৯৭ থেকে কমে হয়েছে ২ দশমিক ৩৭ জন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ সালের ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন। যেখানে নারী ৮৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন এবং পুরুষ ৮৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন। পাশাপাশি জনশুমারি ও গৃহগণনার ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন। যেখানে নারী ৮৭ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন এবং পুরুষ ৮৪ দশমিক ২০ মিলিয়ন। বর্তমানে দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার ১৭১ জন জনসংখ্যা বসবাস করে।
প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ।
এ ছাড়া, প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা:
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩ দশমিক ৩ %) তুলনায় কিছুটা কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬ দশমিক ৬২ %) তুলনায় কমে ২০২৩ সালে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে।
খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪ দশমিক ২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০২৩ কমে হয়েছে ৮১ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে। সাত বছর ও তদূর্ধর বয়সী জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৪ দশমিক ৪) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে, ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩ দশমিক ৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ ৷ ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০ দশমিক ১ শতাংশ।
রেমিট্যান্স যোদ্ধার সংখ্যা বেড়েছে
মোদশমিক আলমগীর হোসেন আরও জানান, ২০২৩ সালে বিদেশে যাওয়া অথবা আন্তর্জাতিক অভিগমনের হার ৮ দশমিক ৭৮ জন। যা ২০২২ সালে ছিল ৬ দশমিক ৬১ জন। এর মধ্যে ২০২৩ সালে পুরুষদের বিদেশ যাওয়ার হার ১৬ দশমিক ৩৯ জন এবং ২০২২ সালে ১২ দশমিক ১৭ জন।
অন্যদিকে, নারীদের বিদেশে যাওয়ার হার ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৪৪ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ১৮ জন। এছাড়া, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের হার কমেছে ০ দশমিক ৬০ জনে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে পুরুষদের আগমনের হার ৪ দশমিক ৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫৫ জন। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আগমনে নারীর হার ২০২২ সালের তুলনায় বাড়েনি আবার কমেওনি। বাংলাদেশে নারীর আগমনের হার ০ দশমিক ৪৬ জন।
বিবিএস জানায়, এক বছরের তুলনায় প্রবাসে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ জন। বিদেশে যাওয়ার এই হার ২০২১ সালে ছিল ৩ দশমিক ০৪ জন, ২০২০ সালে ছিল ১ দশমিক ৫৯ জন এবং ২০১৯ সালে ছিল ২ দশমিক ৯৪ জন। ২০১৯ সালের পর থেকে কোভিডকালীন সময়ে কমলেও এরপর প্রবাসে যাওয়ার হার প্রতি বছরেই বেড়েছে।
কখনো বিয়ে হয়নি ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষের
বর্তমানে প্রাপ্তবয়ষ্ক হলেও এখনো ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ অবিবাহিত রয়েছেন, যাদের কখনো বিয়ে হয়নি। ২০২২ সালেও এই চিত্র একই ছিল। অন্যদিকে বর্তমানে কখনো বিয়ে হয়নি এমন নারীর হার ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ বিবাহের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। ২০২২ সালে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ নারী কখনো বিয়ে করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীর থেকে পুরুষের মৃত্যুহার বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে পুরুষের মৃত্যু হার ৬ দশমিক ১ জন সেখানে নারীর ৫ দশমিক ৫ জন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ডদশমিক শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে