সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আগামী ২৯ ডিসেম্বর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম ভেঙে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেন মুসার পক্ষে সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গণি সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রচারণার জন্য সভাস্থলে আসা-যাওয়া করার সময় তিনি তাঁর সরকারি গাড়িটি ব্যবহার করেন এবং পৌর মেয়র ইয়ারপুরের বটতলা এলাকায় নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোশারফ হোসেন মুসার একটি নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন ও বক্তব্য রাখেন বলে জানা গেছে। 

ইয়ারপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহাম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি না মেনে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন কাজ আশা করা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, বিষয়গুলো যেন তাঁরা নজরে নেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’ 

অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী আকবর হোসেন মৃধা বলেন, ‘পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ হয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন মেয়র। ওনার ছেলে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনিও প্রচারণা করছেন নৌকার পক্ষে। আবার সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে বাবার (মেয়র আব্দুল গণি) প্রচারণায় নামার তো দরকার পড়ে না।’ 

স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়রের এমন আচরণবিধি লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গণি বলেন, ‘ওই দিক দিয়ে গেসিলাম এক কাজে, ঘুরান দিয়ে আইছি আরকি। নির্বাচনের কোনো প্রচারণায় যাইনি। একজনের সঙ্গে দেখা করতে গোড়াট গেসিলাম। ওই রাস্তা দিয়ে আইসি আরকি। ওই দিক দিয়া আসার সময় ওইখানে একটা মসজিদ আছে নামাজ পড়সি। আইন আমার জানা আছে। আমি যখন নির্বাচনী প্রচারণায় যাব, তখন আমার গাড়ি যাবে না।’ 

ইয়ারপুর ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তাঁরা এই কাজে তাঁদের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। আমি মেয়র সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আসলে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বলেছেন, তিনি সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রচারণায় যাননি এবং ভবিষ্যতেও যাবেন না।’ 

উল্লেখ্য, আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মদ ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে উপনির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে নৌকাসহ সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।