রাশেদ নিজাম, গাজীপুর থেকে
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে ভোটার প্রায় ১২ লাখ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই ভোটাররা আসতে থাকেন কেন্দ্রের দিকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোটারের সংখ্যাও।
সকাল থেকে নগরীর জয়দেবপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজী আজিম উদ্দিন কলেজসহ বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্টের দেখা মেলেনি। এসব কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই আজমত উল্লা খানের নৌকার সমর্থক ছিল চোখে পড়ার মতো। সরেজমিনে দেখা যায়, যারা নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে আছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট চাইছেন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ির জন্য।
বিষয়টি অনেকটা ওপরে নৌকা, ভেতরে ঘড়ির মতো। প্রতিবেদকের সঙ্গে অন্তত ১৫ জনের আলাপ হয় এ বিষয়ে। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, নিরাপত্তার কারণে নৌকার পক্ষে থাকতে হবে তাঁদের। কিন্তু ভেতরে তাঁরা টেবিল ঘড়ির জন্যই ভোট চাইছেন। পাশাপাশি অন্য মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না তাই এই পদ্ধতি।
গাজীপুরের মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশের বসবাস টঙ্গী এলাকায়। স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের জনপ্রিয়তা বেশি। এমনকি টঙ্গীতে আজমত উল্লার প্রভাব থাকলেও অনেকেই জাহাঙ্গীরের মাকে ভোট দিচ্ছেন।
এর একটা বড় কারণ হিসেবে ভোটাররা বলছেন, কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না থাকলেও সিসি ক্যামেরা একটা বড় ধরনের পরিবর্তন তৈরি করেছে। ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার ফলে ভোটাররা নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারছেন। তাই কে কাকে ভোট দিচ্ছেন সেটি বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
ভোটের প্রায় ৬ ঘণ্টার মাথায় শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায় টেবিল ঘড়ি মার্কার ব্যাজ গলায় ঝোলানো একজনের সঙ্গে। আশপাশে শত মানুষের ভিড়। একাই টেবিল ঘড়ির জন্য ভোট চাচ্ছিলেন তিনি। জিতবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নারীরা খালি ঘড়ি মারতাছে। সব জায়গায়ই এমন চলতাছে ভাই। আমগো এজেন্ট দরকার নাই। ভোট পাইলেই হইব। শুধু গোনাডা ঠিক কইরা করলে ঘড়ি জিতব।’
ওই কেন্দ্রেই পুলিশের এক সহকারী পুলিশ পরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে হতাশা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রের ভেতরে এত লোকের জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এএসআই বলেন, ‘সব নৌকার লোক ভাই, এদের বাইর করে কি চাকরি হারাব?’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে ভোটার প্রায় ১২ লাখ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই ভোটাররা আসতে থাকেন কেন্দ্রের দিকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোটারের সংখ্যাও।
সকাল থেকে নগরীর জয়দেবপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাজী আজিম উদ্দিন কলেজসহ বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্টের দেখা মেলেনি। এসব কেন্দ্রের প্রায় সবগুলোতেই আজমত উল্লা খানের নৌকার সমর্থক ছিল চোখে পড়ার মতো। সরেজমিনে দেখা যায়, যারা নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে আছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ভোট চাইছেন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ির জন্য।
বিষয়টি অনেকটা ওপরে নৌকা, ভেতরে ঘড়ির মতো। প্রতিবেদকের সঙ্গে অন্তত ১৫ জনের আলাপ হয় এ বিষয়ে। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, নিরাপত্তার কারণে নৌকার পক্ষে থাকতে হবে তাঁদের। কিন্তু ভেতরে তাঁরা টেবিল ঘড়ির জন্যই ভোট চাইছেন। পাশাপাশি অন্য মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না তাই এই পদ্ধতি।
গাজীপুরের মোট ভোটারের প্রায় ৩০ শতাংশের বসবাস টঙ্গী এলাকায়। স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের জনপ্রিয়তা বেশি। এমনকি টঙ্গীতে আজমত উল্লার প্রভাব থাকলেও অনেকেই জাহাঙ্গীরের মাকে ভোট দিচ্ছেন।
এর একটা বড় কারণ হিসেবে ভোটাররা বলছেন, কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট না থাকলেও সিসি ক্যামেরা একটা বড় ধরনের পরিবর্তন তৈরি করেছে। ভোট দেওয়ার গোপন কক্ষে কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার ফলে ভোটাররা নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারছেন। তাই কে কাকে ভোট দিচ্ছেন সেটি বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
ভোটের প্রায় ৬ ঘণ্টার মাথায় শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায় টেবিল ঘড়ি মার্কার ব্যাজ গলায় ঝোলানো একজনের সঙ্গে। আশপাশে শত মানুষের ভিড়। একাই টেবিল ঘড়ির জন্য ভোট চাচ্ছিলেন তিনি। জিতবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নারীরা খালি ঘড়ি মারতাছে। সব জায়গায়ই এমন চলতাছে ভাই। আমগো এজেন্ট দরকার নাই। ভোট পাইলেই হইব। শুধু গোনাডা ঠিক কইরা করলে ঘড়ি জিতব।’
ওই কেন্দ্রেই পুলিশের এক সহকারী পুলিশ পরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে হতাশা প্রকাশ করেন। কেন্দ্রের ভেতরে এত লোকের জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এএসআই বলেন, ‘সব নৌকার লোক ভাই, এদের বাইর করে কি চাকরি হারাব?’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে