গণতান্ত্রিক নাগরিক কমিটির সাংস্কৃতিক আয়োজনে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার ডাক

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ২৯
শহীদ মিনারে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ অনুষ্ঠানে এক শিল্পীর নাচ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যহীন কিংবা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে ও তার গুরুত্ব তুলে ধরতে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, মত, জাতিসত্তার মানুষ নিয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন করেছে গণতান্ত্রিক নাগরিক কমিটি। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার বিকেলে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তব্য দেন রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা প্রমুখ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে শুধু বাঙালি জাতির দেশ বললে ঠিক মনে করি না। এটা শুধু মুসলমানের দেশ বললে ভুল হবে। কারণ, এখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও আছে। আবার শুধু পুরুষের দেশ বললে ভুল হবে। এখানে নারীসহ অন্যান্য লিঙ্গের মানুষ আছে।  

বহু জাতি, বহু ধর্ম, বহু লিঙ্গের দেশ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাদের অস্বীকার করে, জীবিকা কেড়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ হতে পারে না। শ্রমিকদের সরকার কখনো আপন ভাবে না। রিকশা নিয়ে একটি অস্থিরতা দেখছি। এখানে লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা জড়িত। রিকশা চালানোর কষ্ট থেকে বাঁচিয়ে যাত্রীর যাত্রা আরামদায়ক করার এই রিকশায় ত্রুটি আছে। সরকার ত্রুটি দূর করার উদ্যোগ নেবে। কিন্তু তা না করে তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আমরা অটোরিকশা-গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আহ্বান জানাই।’

আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘২৪ জন রিকশাশ্রমিক আন্দোলনে মারা গেছেন। রোড পারমিট এবং লাইসেন্স না দিলে আমরা রাস্তা ছাড়মু না। সমন্বয়কেরা অটোরিকশার ব্যাপারে কিছু বলল না, এটা দুঃখজনক। সমাজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হইছে। একটা রিকশা আর প্রাইভেট কারের দিকে তাকালেই বোঝা যায় বৈষম্য। তিন দিনের ভেতর কেন উচ্ছেদ করে দেবেন? শ্রমিক না থাকলে আহতদের হাসপাতালে কে নিত?’

মাইকেল চাকমা বলেন, ‘আমরা চাই, বৈচিত্র্যের বাংলাদেশে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

বৈচিত্র্যের ডাক শীর্ষক ভিন্নধর্মী এ সাংস্কৃতিক সমাবেশ জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ম্রো গান পরিবেশন করেন মেনথাপ ম্রো; গান পরিবেশন করেন হরিজন পল্লি মিরঞ্জিল্লার শিল্পীরা; ‘আদিবাসী ব্যান্ড’ সংজোয়ার সংগীত পরিবেশন করে; জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে নাটক পরিবেশন করে বটতলা দল। এ ছাড়া কাওয়ালি, বাউলগান ও হিজড়া সম্প্রদায় গান ও নাটক পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠানে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত