গাজীপুর প্রতিনিধি
ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। রাত পোহালে ঈদ উল আজহা। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ সময় নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে। গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি।
গেল তিন দিনে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, শনিবার বেশির ভাগ প্রায় ৬০ ভাগ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে শনিবার বিকেলে দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় যানবাহন খুবই অপ্রতুল। ফলে এ সুযোগে অনেক যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।
তবে, মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্তারা।
পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী প্রায় সব যানবাহন যাত্রীভর্তি করে ঢাকা থেকে যাত্রা করে। এ কারণে যানবাহন থাকলেও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় বাসস্ট্যান্ড যাত্রীরা বাসে ওঠার সুযোগ পান না। ফলে যাত্রীরা সড়কে অপেক্ষা করতে করতে তাঁরা সড়কের মাঝখানে চলে আসে। এতে যানবাহনের চলাচলের জায়গা কমে যায়, আবার অনেকে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার জন্য গতি কম করে। এসব কারণে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের ধীর গতি রয়েছে। এখানে টঙ্গী থেকে আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি, সাভারের দিক থেকে আসা গাড়ি ও গাজীপুর থেকে আসা গাড়ি একসঙ্গে চন্দ্রা মোড় অতিক্রম করায় সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। এতে চাপ বেড়ে যায়।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুই মহাসড়কের বাস স্টেশনগুলোতে যানবাহন ও যাত্রীদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলে যাত্রীর চাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভোগড়া থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত গাজীপুরের মহাসড়কগুলোতে যাত্রীর প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম। স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ যাত্রীর প্রচণ্ড ভিড় ও গাড়ির জটলা রয়েছে। এ কারণে স্টেশন এলাকাগুলোতে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে। যাত্রীর বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেক গাড়িতে বেশি ভাড়া হাঁকা হচ্ছে। ঘরমুখো মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গাড়ি না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক এবং টেম্পোসহ অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে যাত্রা করেছেন।
অপরদিকে, জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনেও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার সময়েই আসন পূর্ণ করে আসে। ফলে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের কোনো যাত্রীই আসন পান না। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে শত শত যাত্রী দায়িত্বরত রেল পুলিশ ও আসনার সদস্যদের লাঠির আঘাত সহ্য করে ও বাধা উপেক্ষা করে ট্রেনের ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করেছেন। ট্রেনের ছাদেও একটু জায়গা খালি নেই।
চন্দ্রায় বাসের জন্য প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার কারখানা ছুটি হওয়ার পর প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প যানবাহনে বাড়ি যাব।’
অপর যাত্রী নওগার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সড়কে প্রচুর গাড়ি আছে, কিন্তু গাড়িতে সিট নাই। গাড়ির চেয়ে মানুষের সংখ্যা বেশি। এ কারণে যাত্রীর চাপ বাড়ছে।’
অপরদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও একই অবস্থা। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের স্বল্পতার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পেলেও ভাড়া নিচ্ছে বেশি।
ময়মনসিংহের মেয়ে পোশাক কর্মী নাজমা বলেন, ‘বাড়িতে গেলে বাসে আগে দেড় শ টেহা লাগত, এহন ৩০০-৪০০ টেহা কইরা একেক জনা।’ নেত্রকোনার জসিম বলেন, ‘৩-৪ ঘণ্টা ধরে দাঁড়াইয়া আছি। গাড়ি পাই না। গাড়িতে ভাড়া বেশি চায়। সড়কে অনেক যাত্রী, আর জ্যাম।’
শেরপুরের যাত্রী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধইরা দাঁড়াইয়া আছি। শেরপুরের কোনো গাড়ি পাই না। যাও দুই একটা গাড়ি আহে, ভাড়া অনেক বেশি। আগে তো আমরা যাইতাম তিনশ টেহা কইরা, এহন চাইতাছে ৬০০ টেহা কইরা। একেবারে ডাবল।’
ময়মনসিংহগামী একটি বাসের চালক দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া বেশি নেই না। আগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া নিতাম ৩২০ টাকা। আর চৌরাস্তা থেকে ২০০ টাকা। এনতে ২০০ টাকা নেই, আবার আসতে হইব খালি। যাত্রীদের জিজ্ঞেস করেন, আমরা ভাড়া বেশি নেই না।’
অপর এক চালক বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস ছুটি দিছে। তাই বিভিন্ন স্থানে পোশাক শ্রমিকেরা সড়কে নেমেছে। এ কারণে যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম। অনেক জায়গায় যাত্রীরা সড়কে দাঁড়ানোর কারণে গাড়ি চলে আস্তে আস্তে। এ কারণে সড়কে গাড়ির গতি কম।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন কারখানা ছুটি শুরু হয়েছে। শনিবার গাজীপুরের প্রায় ৬০ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। এ কারণে সড়কে বিকেলের দিকে একটু বেশি চাপ তৈরি হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাপ কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, কোনো কারখানায় যে বেতন নিয়ে ঝামেলা না হয়। এ বছর বেতন নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও এগুলো সমাধান করা হয়েছে। আশা করা যায়, সকলের ঈদ সুন্দর হবে।’
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘শনিবার অনেকগুলো কারখানা একযোগে ছুটি হওয়ায় বিকেলে সড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। অনেক স্থানে যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম ছিল। এ কারণে যাত্রীদের কোথাও কোথাও দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসব কারণে কোথাও সাময়িক গাড়ির গতি কম থাকলেও যান চলাচলে কোথাও যানজট হয়নি। সবকিছু ঠিক থাকলে মানুষ এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘গাজীপুরের শিল্পকারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন আছে। যে কোনো পরিস্থিতি যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। রাত পোহালে ঈদ উল আজহা। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে শেষ সময় নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে গাজীপুরের দুই মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে। গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি।
গেল তিন দিনে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, শনিবার বেশির ভাগ প্রায় ৬০ ভাগ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে শনিবার বিকেলে দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়েছে। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় যানবাহন খুবই অপ্রতুল। ফলে এ সুযোগে অনেক যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।
তবে, মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্তারা।
পুলিশ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী প্রায় সব যানবাহন যাত্রীভর্তি করে ঢাকা থেকে যাত্রা করে। এ কারণে যানবাহন থাকলেও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় বাসস্ট্যান্ড যাত্রীরা বাসে ওঠার সুযোগ পান না। ফলে যাত্রীরা সড়কে অপেক্ষা করতে করতে তাঁরা সড়কের মাঝখানে চলে আসে। এতে যানবাহনের চলাচলের জায়গা কমে যায়, আবার অনেকে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার জন্য গতি কম করে। এসব কারণে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের ধীর গতি রয়েছে। এখানে টঙ্গী থেকে আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি, সাভারের দিক থেকে আসা গাড়ি ও গাজীপুর থেকে আসা গাড়ি একসঙ্গে চন্দ্রা মোড় অতিক্রম করায় সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। এতে চাপ বেড়ে যায়।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুই মহাসড়কের বাস স্টেশনগুলোতে যানবাহন ও যাত্রীদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলে যাত্রীর চাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভোগড়া থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত গাজীপুরের মহাসড়কগুলোতে যাত্রীর প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়। কিন্তু যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম। স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ যাত্রীর প্রচণ্ড ভিড় ও গাড়ির জটলা রয়েছে। এ কারণে স্টেশন এলাকাগুলোতে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে। যাত্রীর বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেক গাড়িতে বেশি ভাড়া হাঁকা হচ্ছে। ঘরমুখো মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে গাড়ি না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক এবং টেম্পোসহ অন্যান্য বিকল্প যানবাহনে যাত্রা করেছেন।
অপরদিকে, জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনেও যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার সময়েই আসন পূর্ণ করে আসে। ফলে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ট্রেনের কোনো যাত্রীই আসন পান না। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে শত শত যাত্রী দায়িত্বরত রেল পুলিশ ও আসনার সদস্যদের লাঠির আঘাত সহ্য করে ও বাধা উপেক্ষা করে ট্রেনের ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করেছেন। ট্রেনের ছাদেও একটু জায়গা খালি নেই।
চন্দ্রায় বাসের জন্য প্রায় ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত শুক্রবার কারখানা ছুটি হওয়ার পর প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প যানবাহনে বাড়ি যাব।’
অপর যাত্রী নওগার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সড়কে প্রচুর গাড়ি আছে, কিন্তু গাড়িতে সিট নাই। গাড়ির চেয়ে মানুষের সংখ্যা বেশি। এ কারণে যাত্রীর চাপ বাড়ছে।’
অপরদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও একই অবস্থা। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের স্বল্পতার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পেলেও ভাড়া নিচ্ছে বেশি।
ময়মনসিংহের মেয়ে পোশাক কর্মী নাজমা বলেন, ‘বাড়িতে গেলে বাসে আগে দেড় শ টেহা লাগত, এহন ৩০০-৪০০ টেহা কইরা একেক জনা।’ নেত্রকোনার জসিম বলেন, ‘৩-৪ ঘণ্টা ধরে দাঁড়াইয়া আছি। গাড়ি পাই না। গাড়িতে ভাড়া বেশি চায়। সড়কে অনেক যাত্রী, আর জ্যাম।’
শেরপুরের যাত্রী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধইরা দাঁড়াইয়া আছি। শেরপুরের কোনো গাড়ি পাই না। যাও দুই একটা গাড়ি আহে, ভাড়া অনেক বেশি। আগে তো আমরা যাইতাম তিনশ টেহা কইরা, এহন চাইতাছে ৬০০ টেহা কইরা। একেবারে ডাবল।’
ময়মনসিংহগামী একটি বাসের চালক দাবি করেন, ‘আমরা ভাড়া বেশি নেই না। আগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ভাড়া নিতাম ৩২০ টাকা। আর চৌরাস্তা থেকে ২০০ টাকা। এনতে ২০০ টাকা নেই, আবার আসতে হইব খালি। যাত্রীদের জিজ্ঞেস করেন, আমরা ভাড়া বেশি নেই না।’
অপর এক চালক বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস ছুটি দিছে। তাই বিভিন্ন স্থানে পোশাক শ্রমিকেরা সড়কে নেমেছে। এ কারণে যাত্রীর তুলনায় গাড়ি কম। অনেক জায়গায় যাত্রীরা সড়কে দাঁড়ানোর কারণে গাড়ি চলে আস্তে আস্তে। এ কারণে সড়কে গাড়ির গতি কম।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন কারখানা ছুটি শুরু হয়েছে। শনিবার গাজীপুরের প্রায় ৬০ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। এ কারণে সড়কে বিকেলের দিকে একটু বেশি চাপ তৈরি হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাপ কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, কোনো কারখানায় যে বেতন নিয়ে ঝামেলা না হয়। এ বছর বেতন নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও এগুলো সমাধান করা হয়েছে। আশা করা যায়, সকলের ঈদ সুন্দর হবে।’
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, ‘শনিবার অনেকগুলো কারখানা একযোগে ছুটি হওয়ায় বিকেলে সড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। অনেক স্থানে যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কম ছিল। এ কারণে যাত্রীদের কোথাও কোথাও দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এসব কারণে কোথাও সাময়িক গাড়ির গতি কম থাকলেও যান চলাচলে কোথাও যানজট হয়নি। সবকিছু ঠিক থাকলে মানুষ এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘গাজীপুরের শিল্পকারখানাগুলো ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন আছে। যে কোনো পরিস্থিতি যাতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
৯ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
৩ ঘণ্টা আগে