নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে। সেখানে গিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাসপোর্ট। এভাবে ভারতের দিল্লিতে জিম্মি করে ফেলা হয়। পরে টাকার লোভসহ ভিন্ন কৌশলে চাকরিপ্রত্যাশীদের কিডনি হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এখন পর্যন্ত দেশ থেকে ১০ জনকে ভারতে নিয়ে তাঁদের কিডনি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে রবিন নামের এক ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ধানমন্ডি থানার পুলিশ এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ১১ ও ১২ মে ধানমন্ডি ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে ও বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. রাজু হাওলাদার, শাহেদ উদ্দীন ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন মো.মাছুম, শাহীন ও সাগর ওরফে মোস্তফাসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন।
ধানমন্ডি থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চক্রটি সংঘবদ্ধ। তারা দেশের দরিদ্র মানুষকে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে নানা কৌশলে তাঁদের কিডনি হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী রবিনকে ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয়। পরে তাঁকে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য রাজি করায়। চুক্তি অনুযায়ী চক্রটি তাঁকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বললেও দেয় ৩ লাখ টাকা।
আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক তারিখে মিরপুর-১০ নম্বর শাহ আলী মার্কেটের পেছনে চায়ের দোকানে রবিন তার এক বন্ধুর সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন এবং সংসারের অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন। এই কথাবার্তা চলাকালীন পাশে বসা অভিযুক্ত পলাতক আসামি মাছুমও চা পান করছিলেন। এসব কথা শুনে মাছুম নিজে থেকেই ভিকটিমকে বলেন, ভারতে তাঁর ব্যবসা আছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি রবিনকে চাকরি দিতে পারবেন। তারপর মাছুমের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন রবিন। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। একপর্যায়ে ভারতে গিয়ে চাকরির বিষয়ে রাজি হন রবিন।
খ. মহিদ উদ্দিন জানান, পরবর্তীতে সময়ে মাছুম ভিকটিম রবিনকে বলেন ভারতে তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য যেতে হলে ডাক্তারি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভিকটিমকে নিয়ে যান মাছুম। সেখানে ভিকটিমের সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামি মো. রাজু হাওলাদারের পরিচয় হয়। সেখানে আসামিরা রবিনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে নেন ভারতের ভিসার জন্য।
ভিসা পাওয়ার পর রবিনকে মাছুম ও মো. রাজু হাওলাদার গ্রেপ্তার আসামি শাহেদ উদ্দিন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁরা একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনার এবং বাংলাদেশ ও ভারতে তাঁরা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন বলে জানান। পরে ভিকটিমকে ভারতের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে রিসিভ করেন পলাতক আসামি শাহীন (৩৫) ও সাগর। তাঁরা রবিনকে রিসিভ করে তাঁর পাসপোর্ট হাতিয়ে নেন। পরে দিল্লি থেকে ভিকটিমকে ফরিদাবাদ নামে একটি এলাকার রাখা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ফরিদাবাদে ভিকটিমকে আটক রাখা অবস্থায় সেখানে মাছুম ও সাগর যান। মাছুমকে পেয়ে ভিকটিম তাঁর চাকরির কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিভিন্ন রকম টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিমের আর্থিক অনটন, সাংসারিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে একটি কিডনি দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখান যে, পাসপোর্ট ছাড়া তিনি দেশেও ফিরতে পারবেন না। পরে ভিকটিমকে নয়াদিল্লির এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিছুদিন পর ভারতের গুজরাটে নিয়ে যান এবং মুক্তিনগর এলাকায় দোতলা একটি বাসায় রাখেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৪ মার্চ ভারতের গুজরাটে কিডনি অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ভিকটিমের একটি কিডনি নিয়ে নেন। অপারেশন শেষে হাসপাতাল থেকে চার দিন পরে ছাড়া পান ভিকটিম। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আসামিরা ভারতের অজ্ঞাত স্থানে প্রায় ১০-১১ দিন আটকে রাখেন তাঁকে। এদিকে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিম জানতে পারেন যে, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। একপর্যায়ে দালাল চক্র ভিকটিমকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলে। বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের স্ত্রী ইশরাত জাহানের বিকাশ নম্বরে ৩ লাখ টাকা দেন। পরে এভাবে দেশে এসে ভিকটিম বুঝতে পারেন যে তিনি বড় দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে নিজের কিডনি হারিয়েছেন।
এক প্রশ্নে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তাদের টার্গেট যাদের আর্থিক চাহিদা আছে। রবিনের ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে। তাঁকে কিন্তু খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চক্রটি এসব কিডনি আরও চড়া দামে বিক্রি করে আসছে। চক্রটি বাংলাদেশ থেকে শুরু করে কলকাতা ও গুজরাটেও কাজ করে আসছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এ পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি চক্রটি এখন পর্যন্ত ভারতে নিয়ে ১০ ব্যক্তির কিডনি হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া তাদের পাইপলাইনে আরও পাঁচ থেকে ছয়জন ছিল বলে জানতে পেরেছি।’
অপর এক প্রশ্নে খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, চক্রটি রবিনকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল কিডনির বিনিময়ে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা দেয় রবিনকে। বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাদের কিডনি নেওয়া হচ্ছে, এসব কিডনির গ্রহীতারাও বাংলাদেশি।
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতে। সেখানে গিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাসপোর্ট। এভাবে ভারতের দিল্লিতে জিম্মি করে ফেলা হয়। পরে টাকার লোভসহ ভিন্ন কৌশলে চাকরিপ্রত্যাশীদের কিডনি হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এখন পর্যন্ত দেশ থেকে ১০ জনকে ভারতে নিয়ে তাঁদের কিডনি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে রবিন নামের এক ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ধানমন্ডি থানার পুলিশ এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ১১ ও ১২ মে ধানমন্ডি ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে ও বাগেরহাটে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. রাজু হাওলাদার, শাহেদ উদ্দীন ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন মো.মাছুম, শাহীন ও সাগর ওরফে মোস্তফাসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন।
ধানমন্ডি থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চক্রটি সংঘবদ্ধ। তারা দেশের দরিদ্র মানুষকে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে নানা কৌশলে তাঁদের কিডনি হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী রবিনকে ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয়। পরে তাঁকে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য রাজি করায়। চুক্তি অনুযায়ী চক্রটি তাঁকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বললেও দেয় ৩ লাখ টাকা।
আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক তারিখে মিরপুর-১০ নম্বর শাহ আলী মার্কেটের পেছনে চায়ের দোকানে রবিন তার এক বন্ধুর সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন এবং সংসারের অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন। এই কথাবার্তা চলাকালীন পাশে বসা অভিযুক্ত পলাতক আসামি মাছুমও চা পান করছিলেন। এসব কথা শুনে মাছুম নিজে থেকেই ভিকটিমকে বলেন, ভারতে তাঁর ব্যবসা আছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি রবিনকে চাকরি দিতে পারবেন। তারপর মাছুমের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন রবিন। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। একপর্যায়ে ভারতে গিয়ে চাকরির বিষয়ে রাজি হন রবিন।
খ. মহিদ উদ্দিন জানান, পরবর্তীতে সময়ে মাছুম ভিকটিম রবিনকে বলেন ভারতে তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য যেতে হলে ডাক্তারি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভিকটিমকে নিয়ে যান মাছুম। সেখানে ভিকটিমের সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামি মো. রাজু হাওলাদারের পরিচয় হয়। সেখানে আসামিরা রবিনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে নেন ভারতের ভিসার জন্য।
ভিসা পাওয়ার পর রবিনকে মাছুম ও মো. রাজু হাওলাদার গ্রেপ্তার আসামি শাহেদ উদ্দিন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁরা একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনার এবং বাংলাদেশ ও ভারতে তাঁরা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন বলে জানান। পরে ভিকটিমকে ভারতের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে রিসিভ করেন পলাতক আসামি শাহীন (৩৫) ও সাগর। তাঁরা রবিনকে রিসিভ করে তাঁর পাসপোর্ট হাতিয়ে নেন। পরে দিল্লি থেকে ভিকটিমকে ফরিদাবাদ নামে একটি এলাকার রাখা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ফরিদাবাদে ভিকটিমকে আটক রাখা অবস্থায় সেখানে মাছুম ও সাগর যান। মাছুমকে পেয়ে ভিকটিম তাঁর চাকরির কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিভিন্ন রকম টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিমের আর্থিক অনটন, সাংসারিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে একটি কিডনি দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখান যে, পাসপোর্ট ছাড়া তিনি দেশেও ফিরতে পারবেন না। পরে ভিকটিমকে নয়াদিল্লির এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিছুদিন পর ভারতের গুজরাটে নিয়ে যান এবং মুক্তিনগর এলাকায় দোতলা একটি বাসায় রাখেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ৪ মার্চ ভারতের গুজরাটে কিডনি অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ভিকটিমের একটি কিডনি নিয়ে নেন। অপারেশন শেষে হাসপাতাল থেকে চার দিন পরে ছাড়া পান ভিকটিম। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আসামিরা ভারতের অজ্ঞাত স্থানে প্রায় ১০-১১ দিন আটকে রাখেন তাঁকে। এদিকে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিম জানতে পারেন যে, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। একপর্যায়ে দালাল চক্র ভিকটিমকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলে। বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের স্ত্রী ইশরাত জাহানের বিকাশ নম্বরে ৩ লাখ টাকা দেন। পরে এভাবে দেশে এসে ভিকটিম বুঝতে পারেন যে তিনি বড় দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে নিজের কিডনি হারিয়েছেন।
এক প্রশ্নে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তাদের টার্গেট যাদের আর্থিক চাহিদা আছে। রবিনের ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে। তাঁকে কিন্তু খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চক্রটি এসব কিডনি আরও চড়া দামে বিক্রি করে আসছে। চক্রটি বাংলাদেশ থেকে শুরু করে কলকাতা ও গুজরাটেও কাজ করে আসছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এ পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি চক্রটি এখন পর্যন্ত ভারতে নিয়ে ১০ ব্যক্তির কিডনি হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া তাদের পাইপলাইনে আরও পাঁচ থেকে ছয়জন ছিল বলে জানতে পেরেছি।’
অপর এক প্রশ্নে খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, চক্রটি রবিনকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল কিডনির বিনিময়ে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা দেয় রবিনকে। বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাদের কিডনি নেওয়া হচ্ছে, এসব কিডনির গ্রহীতারাও বাংলাদেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে