কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানি করতে হবে। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।’

মঙ্গলবার অনলাইনে ‘পশুরহাট, কোরবানি ও পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি পর্যালোচনার দ্বিতীয় আন্তমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদে পশু কোরবানি নিয়ে মানুষের আবেগকে গুরুত্বহীন মনে করার কোন সুযোগ নেই। এ বছর সংক্রমণের হার গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তাই আমরা অনলাইনে পশু কেনাকে উৎসাহিত করছি। মানুষ তবুও পশুর হাট বসানোর পক্ষে। তারা হাটে গিয়েই পশু কিনতে আগ্রহী। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে নির্বিঘ্নে পশুর হাট করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করেছি। হাটে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে হবে। কীভাবে পশুর হাট করা হবে, কীভাবে জবাই করা হবে সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনা তৈরি করেছি। আমাদের নির্দেশনা যদি না মানা হয় তাহলে চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।’

অনলাইন এই সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রংপুর, গাজিপুর, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের অধিকাংশ সিটি করপোরেশনের মেয়রেরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসিতে পশু জবাইয়ের জন্য ২৭০ স্থান নির্ধারণ
কোরবানির ঈদে পশু জবাইয়ের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২৭০টি স্থান নির্ধারণের কথা জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এবার ৫৪টি ওয়ার্ডে ২৭০টি স্থান পশু কোরবানির জন্য ঠিক করেছি। ৭০০ জন ইমাম ও এক হাজার জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ছয় লাখ পলি ব্যাগ বিতরণ করব। গত পরশু দিন খামারিদের ডেকেছি। আমরা বলেছি ছয় ফুট পর পর গরু বাঁধতে হবে। মাস্ক নিয়ে হাটে হাটে ক্যাম্পিং করব। নয়টি হাটে দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবকে যুক্ত করেছি। প্রতি হাটে আটজন করে কাউন্সিলরকে যুক্ত করেছি হাট মনিটরিং করার জন্য।’

বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসি দেবে এক লাখ ৩০ হাজার থলে
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বাসা বাড়িতে এক লাখ থলে বিতরণ করার কথা জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘কোরবানের ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিশাল কর্মযজ্ঞ হয়। আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে গত বছর ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করেছি, এবারও করব। এই জন্য বাসা বাড়িতে এক লাখ ৩০ হাজার থলে দেব, যাতে পশুর বর্জ্য রাখতে পারে। পশু জবাইয়ের স্থান পরিচ্ছন্ন রাখতে ৬০ টন ব্লিচিং পাউডার সংগ্রহে রেখেছি, এর মধ্যে ৩০ টন ব্যবহার হবে। জীবাণু নাশক স্যাভলন রেখেছি ১৮শ লিটার। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এলাকা ভিত্তিক নির্দিষ্ট স্থানে জবাইয়ের স্থানও নির্ধারণ করেছি। সামগ্রিক ভাবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’