নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বংশালের মালিটোলা এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাইদের বিরুদ্ধে একটি পরিবারের ওপর হামলা ও বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির দখল ছাড়তে না চাওয়ায় তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে জখম করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মারধরও করা হয়েছে।
পরিবারটির অভিযোগ, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে তা নথিভুক্ত হয়নি। এ নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার শিকার পাপিয়া সুলতানা টুম্পা লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
টুম্পা জানান, তাঁর বাবা আফজাল হোসেন নান্টু মোল্লা ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর বাবার দুই স্ত্রী ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম পারভিন বেগম। পারভিন বেগমের চার সন্তান হলেন—তাঁর বড় বোন সাজিয়া সুলতানা বিনু, বড় ভাই তুহিন হোসেন, ছোট ভাই পারভেজ আহমেদ রাজু ও তিনি। আর প্রথম স্ত্রী শাকিলা বেগমের দুই সন্তান। তাঁরা হলেন—সমসের সালাউদ্দিন হারুন ও বিলকিস সুলতানা মিনু। দুই পক্ষের স্ত্রীর সন্তানদেরই তাঁর বাবা ওয়ারিশ রেখে যান।
টুম্পা জানান, বাবার মৃত্যুর পরও তাঁরা চার ভাই-বোন এবং তাঁদের মা পারভিন বেগম মালিটোলার বাসায় বসবাস করে আসছেন। তাঁর বাবা মৃত্যুকালে ১৫টি বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যাংকে আনুমানিক ৫-৬ কোটি টাকা রেখে যান।
টুম্পা অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু বাবার মৃত্যুর সময় চাচা মোহাম্মদ আলী ময়না ও সৎভাই সমসের সালাউদ্দিন হারুন তাঁর মা পারভিন বেগমকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। তাঁরা তাঁর বাবার নামের সম্পত্তির কাগজপত্র, মায়ের কাবিননামা এবং বাবার ব্যাংকিং কাগজপত্র আলমারি ভেঙে চুরি করে নিয়ে যান। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে বিচার চাইলেও কোনো প্রকার বিচার পাননি তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ধরনা ধরেও কোনো সুরাহা হয়নি।
টুম্পা আরও বলেন, তাঁদের ১৫টি বাড়ি থেকে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টাকা ভাড়া তোলা হয়। ওই টাকা থেকে বাবার ম্যানেজার গোলাপ মিয়া তাঁদের পরিবারকে সংসার চালানো বাবদ যে টাকা প্রদান করেন, তা দিয়ে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। এ জন্য তাঁর চাচা ও সৎ ভাই-বোনকে তাদের ওয়ারিশান অংশ বণ্টন করে দিতে অনুরোধ করলে তাঁরা নানা টালবাহানা করতে থাকেন।
টুম্পার অভিযোগ, তাঁর বাবার ব্যাংকের টাকার জন্য মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে বৈধ ওয়ারিশের বিষয় প্রমাণিত হয়। কিন্তু চাচা আফজাল হোসেন নান্টু মোল্লা ওয়ারিশ অস্বীকার করেন। তাঁদের ওয়ারিশ না দেওয়ার জন্য ৯০ ও ৯৫ নম্বর বাড়ি দখল করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদকে ৯০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অফিস করে দেন।
ভুক্তভোগী টুম্পা বলেন, ‘২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবৈধভাবে ২০-২৫ জন লোক নিয়ে বাড়ির গেট, গ্রিল ভেঙে ফেলে। এ সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে তলপেটে লাথি মারে। একপর্যায়ে আমাকে দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং আমার দুই ভাইকে অস্ত্র দেখাইয়া গুলি করে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমার ভাই তুহিনকে রড দিয়ে আঘাত করে এবং আমার ভাবিকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয় ও শ্লীলতাহানি করে।
সর্বশেষ গত ৩১ মে বিকেলে চাচা ময়না ও তাঁর ছেলে এবং তাঁদের সহযোগীরা আমার ডান চোখে আঘাত করলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এর পরও তাঁরা আমার ডান হাত ভেঙে দেয় ও বাঁ হাতে কাচভাঙা ঢুকিয়ে দেয়। আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মাড়ির দাঁত ফেলে দেয়। এ বিষয়ে আমি বংশাল থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানায় মামলা না নিয়ে আমাকে বের করে দেয়। পরে আমি আদালতে মামলা করি।
সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী ময়না আগে থেকেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বাবার সম্পত্তির বৈধ ওয়ারিশ হওয়া সত্ত্বেও আমার সৎ ভাই-বোন, সন্ত্রাসী চাচা ও এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে আমরা বৈধ অধিকার আদায় করতে পারছি না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
রাজধানীর বংশালের মালিটোলা এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাইদের বিরুদ্ধে একটি পরিবারের ওপর হামলা ও বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির দখল ছাড়তে না চাওয়ায় তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে জখম করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মারধরও করা হয়েছে।
পরিবারটির অভিযোগ, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে তা নথিভুক্ত হয়নি। এ নিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার শিকার পাপিয়া সুলতানা টুম্পা লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
টুম্পা জানান, তাঁর বাবা আফজাল হোসেন নান্টু মোল্লা ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর বাবার দুই স্ত্রী ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম পারভিন বেগম। পারভিন বেগমের চার সন্তান হলেন—তাঁর বড় বোন সাজিয়া সুলতানা বিনু, বড় ভাই তুহিন হোসেন, ছোট ভাই পারভেজ আহমেদ রাজু ও তিনি। আর প্রথম স্ত্রী শাকিলা বেগমের দুই সন্তান। তাঁরা হলেন—সমসের সালাউদ্দিন হারুন ও বিলকিস সুলতানা মিনু। দুই পক্ষের স্ত্রীর সন্তানদেরই তাঁর বাবা ওয়ারিশ রেখে যান।
টুম্পা জানান, বাবার মৃত্যুর পরও তাঁরা চার ভাই-বোন এবং তাঁদের মা পারভিন বেগম মালিটোলার বাসায় বসবাস করে আসছেন। তাঁর বাবা মৃত্যুকালে ১৫টি বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যাংকে আনুমানিক ৫-৬ কোটি টাকা রেখে যান।
টুম্পা অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু বাবার মৃত্যুর সময় চাচা মোহাম্মদ আলী ময়না ও সৎভাই সমসের সালাউদ্দিন হারুন তাঁর মা পারভিন বেগমকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। তাঁরা তাঁর বাবার নামের সম্পত্তির কাগজপত্র, মায়ের কাবিননামা এবং বাবার ব্যাংকিং কাগজপত্র আলমারি ভেঙে চুরি করে নিয়ে যান। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে বিচার চাইলেও কোনো প্রকার বিচার পাননি তাঁরা। এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ধরনা ধরেও কোনো সুরাহা হয়নি।
টুম্পা আরও বলেন, তাঁদের ১৫টি বাড়ি থেকে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টাকা ভাড়া তোলা হয়। ওই টাকা থেকে বাবার ম্যানেজার গোলাপ মিয়া তাঁদের পরিবারকে সংসার চালানো বাবদ যে টাকা প্রদান করেন, তা দিয়ে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। এ জন্য তাঁর চাচা ও সৎ ভাই-বোনকে তাদের ওয়ারিশান অংশ বণ্টন করে দিতে অনুরোধ করলে তাঁরা নানা টালবাহানা করতে থাকেন।
টুম্পার অভিযোগ, তাঁর বাবার ব্যাংকের টাকার জন্য মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে বৈধ ওয়ারিশের বিষয় প্রমাণিত হয়। কিন্তু চাচা আফজাল হোসেন নান্টু মোল্লা ওয়ারিশ অস্বীকার করেন। তাঁদের ওয়ারিশ না দেওয়ার জন্য ৯০ ও ৯৫ নম্বর বাড়ি দখল করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদকে ৯০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অফিস করে দেন।
ভুক্তভোগী টুম্পা বলেন, ‘২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবৈধভাবে ২০-২৫ জন লোক নিয়ে বাড়ির গেট, গ্রিল ভেঙে ফেলে। এ সময় আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে তলপেটে লাথি মারে। একপর্যায়ে আমাকে দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং আমার দুই ভাইকে অস্ত্র দেখাইয়া গুলি করে পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমার ভাই তুহিনকে রড দিয়ে আঘাত করে এবং আমার ভাবিকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয় ও শ্লীলতাহানি করে।
সর্বশেষ গত ৩১ মে বিকেলে চাচা ময়না ও তাঁর ছেলে এবং তাঁদের সহযোগীরা আমার ডান চোখে আঘাত করলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এর পরও তাঁরা আমার ডান হাত ভেঙে দেয় ও বাঁ হাতে কাচভাঙা ঢুকিয়ে দেয়। আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মাড়ির দাঁত ফেলে দেয়। এ বিষয়ে আমি বংশাল থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানায় মামলা না নিয়ে আমাকে বের করে দেয়। পরে আমি আদালতে মামলা করি।
সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী ময়না আগে থেকেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বাবার সম্পত্তির বৈধ ওয়ারিশ হওয়া সত্ত্বেও আমার সৎ ভাই-বোন, সন্ত্রাসী চাচা ও এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে আমরা বৈধ অধিকার আদায় করতে পারছি না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে