জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিভিন্ন দাবিতে মশাল মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার রাত আটটার দিকে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বটতলা, পরিবহন চত্বর, চৌরঙ্গী ঘুরে উপাচার্য ভবনের সামনে শেষ হয়।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করাসহ র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার বিচার হয়নি ৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন হাতে হাত রেখে হাঁটছে ৷ রাষ্ট্রের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো জাকসু নির্বাচন হয়নি, নিপীড়ন ও অপকর্মের মতো নানা ঘটনার বিচার হয়নি।’
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবের তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় মাদক বাণিজ্যের জায়গায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ষণের মত একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। অতীতে সংগঠিত ঘটনাগুলোর বিচারহীনতার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় আজকে এই পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের পেছনে গণরুম দায়ী। গণরুমে থেকে মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত হয়।’
এদিকে বিকেল পাঁচটা থেকে সংহতি সমাবেশ করেছে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ নামক একটি প্ল্যাটফর্ম।
এ সময় তারা কয়েকটি দাবি জানায়। এসবের মধ্যে আছে ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে, মীর মশাররফ হোসেন হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট এবং হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা অভিযুক্তদের পলায়নে সাহায্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, সকল আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের তাড়াতে হবে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।
সংহতি সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা জামান।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা ছিল সাংস্কৃতিক মঞ্চ, গাছগাছালি ও অতিথি পাখির অভয়ারণ্য। কিন্তু হয়েছে মাদকের অভয়ারণ্য। প্রক্টর দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে আছেন। তারপরও তিনি জানেন না ছিনতাই কোথায় হয়, মাদকের সিন্ডিকেট কারা চালায়। তিনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে সেটা তার ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা নিয়ে কীভাবে দায়িত্বরত থাকেন? প্রক্টর তার দায়িত্বপালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন। প্রক্টরের পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাঙ্গণে গণধর্ষণের ঘটনায় মানববন্ধন করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
এ সময় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন এমন অবস্থায় পরিণত হয়েছে যে ছাত্রলীগের সিটমন্ত্রীরা ঊনিশটি হল নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিটমন্ত্রীদের কারণেই মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপকর্ম চলছে। তাদের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্ব নেই। তারা কীভাবে হলে অবস্থান করে! প্রশাসন কী করছে? কেন জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে সিট সংকট চালু হলো, গণরুম কালচার শুরু হলো? একটার কারণ প্রশাসনের ব্যর্থতা।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিভিন্ন দাবিতে মশাল মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার রাত আটটার দিকে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বটতলা, পরিবহন চত্বর, চৌরঙ্গী ঘুরে উপাচার্য ভবনের সামনে শেষ হয়।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করাসহ র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার বিচার হয়নি ৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসন হাতে হাত রেখে হাঁটছে ৷ রাষ্ট্রের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো জাকসু নির্বাচন হয়নি, নিপীড়ন ও অপকর্মের মতো নানা ঘটনার বিচার হয়নি।’
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবের তথ্য অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় মাদক বাণিজ্যের জায়গায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ধর্ষণের মত একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। অতীতে সংগঠিত ঘটনাগুলোর বিচারহীনতার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় আজকে এই পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের পেছনে গণরুম দায়ী। গণরুমে থেকে মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত হয়।’
এদিকে বিকেল পাঁচটা থেকে সংহতি সমাবেশ করেছে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ নামক একটি প্ল্যাটফর্ম।
এ সময় তারা কয়েকটি দাবি জানায়। এসবের মধ্যে আছে ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে, মীর মশাররফ হোসেন হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট এবং হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা অভিযুক্তদের পলায়নে সাহায্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, সকল আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের তাড়াতে হবে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।
সংহতি সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা জামান।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা ছিল সাংস্কৃতিক মঞ্চ, গাছগাছালি ও অতিথি পাখির অভয়ারণ্য। কিন্তু হয়েছে মাদকের অভয়ারণ্য। প্রক্টর দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে আছেন। তারপরও তিনি জানেন না ছিনতাই কোথায় হয়, মাদকের সিন্ডিকেট কারা চালায়। তিনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে সেটা তার ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা নিয়ে কীভাবে দায়িত্বরত থাকেন? প্রক্টর তার দায়িত্বপালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন। প্রক্টরের পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাঙ্গণে গণধর্ষণের ঘটনায় মানববন্ধন করেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
এ সময় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন এমন অবস্থায় পরিণত হয়েছে যে ছাত্রলীগের সিটমন্ত্রীরা ঊনিশটি হল নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিটমন্ত্রীদের কারণেই মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে সকল ধরনের অপকর্ম চলছে। তাদের বেশিরভাগেরই ছাত্রত্ব নেই। তারা কীভাবে হলে অবস্থান করে! প্রশাসন কী করছে? কেন জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে সিট সংকট চালু হলো, গণরুম কালচার শুরু হলো? একটার কারণ প্রশাসনের ব্যর্থতা।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে