চলছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা সপ্তম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো আজও দূরপাল্লার অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। মহাসড়কে রয়েছে যাত্রীর চাপ। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত তারা। 

আজ রোববার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। 

শিমরাইল মোড়ে ইসরাফিল হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়িক কাজে বের হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম অবরোধে বাস পেতে সমস্যা হবে। বের হয়ে দেখি দূরপাল্লার সব বাস চলাচল করছে।’ 

মতিউর রহমান নামে অপর একজন যাত্রী বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে প্রথমদিকে সড়কে ঠিকমতো গাড়ি পাওয়া যেতো না। তবে এখন সহজেই যে কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সহজেই এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে পারছি।’ 

নাফ পরিবহনের বাসচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন আর আগের মত হরতাল অবরোধ নাই। সকাল থেকে গাড়ি চালাইতাছি। রাস্তায় আগের তুলনায় এখন যাত্রীর চাপও বাড়ছে। রাস্তায় অনেক পুলিশ থাকে সে জন্য ভয়ও কম।’ 

আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি সামাদ ব্যাপারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন আছে আমাদের নিরাপত্তার জন্য। এখন গাড়ি চালাতে আমাদের আর কোনো সমস্যা নাই।’ 

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সড়কে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি। যে কোনো অরাজকতা ঠেকাতে মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’