শম্পা বিশ্বাস, ঢাকা
মশা মারতে প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়ে, কিন্তু সেই অনুযায়ী কমে না এডিসের বিস্তার। দুই সিটি মশা মারার জন্য চলতি অর্থবছরেও প্রায় দেড় শ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। তার পরও প্রত্যাশা অনুযায়ী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না কমায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কীটনাশকের কম কার্যকারিতা ও প্রয়োগে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করা এবং প্রয়োগকারীদের অদক্ষতার কারণেই মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ ক্রয় না করে শুধু ফগার মেশিননির্ভর কর্মসূচিতে বাজেট অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ সিটি করপোরেশন। তাদের দাবি, বিভিন্ন কীটতত্ত্ববিদের সঙ্গে কথা বলেই ফগার মেশিন ও ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মিলে মোট বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে ১৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিএনসিসির বরাদ্দ ১১০ কোটি টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সাড়ে নয় গুণেরও বেশি।
অন্যদিকে ডিএসসিসির বরাদ্দ ৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৬০। অথচ চলতি বছর এ পর্যন্ত এই সংখ্যা ১৮ হাজারেরও বেশি, যা ২০১৬ সালের তিন গুণ।
চলতি অর্থবছর ডিএনসিসি মশার ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি, ফগার ও স্প্রে মেশিন পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ, চিরুনি অভিযানে ৪ কোটি, ফগার ও স্প্রে মেশিন পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৭৫ লাখ এবং মশার যন্ত্রপাতি কেনায় ৯ কোটি টাকাসহ এ-সংক্রান্ত নানা ক্ষেত্রে বরাদ্দ দিয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মশা দমনে ফগিং হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল অকার্যকর উপায়। অথচ সিটি করপোরেশন বারবার এই মেশিন কেনে। মশা দমনে কার্যকর উপায় হচ্ছে আলট্রা লো ভলিউম (ইউএলভি) কীটনাশক মেশিন। অথচ সিটি করপোরেশন এসব নিয়ে ভাবছে না।
মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘ইউএলভি দ্বারা অল্প পরিমাণ কীটনাশক দিয়ে একটা বিরাট এলাকা মশামুক্ত করা যায়। তা ছাড়া, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা মারার জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি এবং মশার লার্ভা মারার জন্য টেমিফস ওষুধ ব্যবহার করে। ফলে ম্যালাথিয়ন দেওয়ার পর ৩০ ফুট দূরে মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ মশা মরে। বাকি ৭০ শতাংশই মরে না।
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলেই ম্যালাথিয়ন ও টেমিফস ওষুধ ঠিক করেছি। ২০১৯ সাল থেকে এটা ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি দরকার হয়, আলোচনা করে অন্য কীটনাশক নিয়ে ভাবা যায়। আবার এটাও ঠিক, অনেক কীটতত্ত্ববিদ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে পণ্য প্রমোটের জন্য অন্য কীটনাশকের কথা বলেন।’
মশা মারতে প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়ে, কিন্তু সেই অনুযায়ী কমে না এডিসের বিস্তার। দুই সিটি মশা মারার জন্য চলতি অর্থবছরেও প্রায় দেড় শ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। তার পরও প্রত্যাশা অনুযায়ী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না কমায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কীটনাশকের কম কার্যকারিতা ও প্রয়োগে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করা এবং প্রয়োগকারীদের অদক্ষতার কারণেই মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ ক্রয় না করে শুধু ফগার মেশিননির্ভর কর্মসূচিতে বাজেট অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ সিটি করপোরেশন। তাদের দাবি, বিভিন্ন কীটতত্ত্ববিদের সঙ্গে কথা বলেই ফগার মেশিন ও ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।
দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মিলে মোট বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে ১৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিএনসিসির বরাদ্দ ১১০ কোটি টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সাড়ে নয় গুণেরও বেশি।
অন্যদিকে ডিএসসিসির বরাদ্দ ৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৬০। অথচ চলতি বছর এ পর্যন্ত এই সংখ্যা ১৮ হাজারেরও বেশি, যা ২০১৬ সালের তিন গুণ।
চলতি অর্থবছর ডিএনসিসি মশার ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি, ফগার ও স্প্রে মেশিন পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ, চিরুনি অভিযানে ৪ কোটি, ফগার ও স্প্রে মেশিন পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৭৫ লাখ এবং মশার যন্ত্রপাতি কেনায় ৯ কোটি টাকাসহ এ-সংক্রান্ত নানা ক্ষেত্রে বরাদ্দ দিয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মশা দমনে ফগিং হচ্ছে সবচেয়ে ব্যয়বহুল অকার্যকর উপায়। অথচ সিটি করপোরেশন বারবার এই মেশিন কেনে। মশা দমনে কার্যকর উপায় হচ্ছে আলট্রা লো ভলিউম (ইউএলভি) কীটনাশক মেশিন। অথচ সিটি করপোরেশন এসব নিয়ে ভাবছে না।
মঞ্জুর আহমেদ বলেন, ‘ইউএলভি দ্বারা অল্প পরিমাণ কীটনাশক দিয়ে একটা বিরাট এলাকা মশামুক্ত করা যায়। তা ছাড়া, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা মারার জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি এবং মশার লার্ভা মারার জন্য টেমিফস ওষুধ ব্যবহার করে। ফলে ম্যালাথিয়ন দেওয়ার পর ৩০ ফুট দূরে মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ মশা মরে। বাকি ৭০ শতাংশই মরে না।
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলেই ম্যালাথিয়ন ও টেমিফস ওষুধ ঠিক করেছি। ২০১৯ সাল থেকে এটা ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি দরকার হয়, আলোচনা করে অন্য কীটনাশক নিয়ে ভাবা যায়। আবার এটাও ঠিক, অনেক কীটতত্ত্ববিদ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে পণ্য প্রমোটের জন্য অন্য কীটনাশকের কথা বলেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর এত ভরসা করত, কিন্তু তাদের খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম
২ মিনিট আগেতিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগে