বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন ইতালি প্রবাসী

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০: ০০
রাজৈর উপজেলার ঘোষালকান্দি গ্রামে বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন ইতালিপ্রবাসী লালচান শেখ। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট সংলগ্ন ঘোষালকান্দি গ্রামে বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন ইতালিপ্রবাসী লালচান শেখ। আজ রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়িতে এলে গ্রামবাসী একনজর দেখতে ভিড় করেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট সংলগ্ন ঘোষালকান্দি গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে ইতালিপ্রবাসী লালচাঁন শেখের সঙ্গে একই উপজেলার গাংকান্দি শাখারপাড় গ্রামের আলী সরদারের মেয়ে শারমিন খাতুনের বিয়ে ঠিক হয়। বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে বর লালচান শেখ হেলিকপ্টার ভাড়া করেন। রোববার দুপুরে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট শহীদ কবির মাঠ থেকে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়েন লালচাঁন। পরে পাশের গ্রাম গাংকান্দি শাখারপাড় মাঠে গিয়ে নামেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে কনেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা বর-কনে ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করেন।

বর লালচাঁন শেখ বলেন, ‘আমরা চার ভাই। আমি ভাইদের মধ্যে বড়। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য ভাইয়েরা মিলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ২ ঘণ্টার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। বাবা-মাকে খুশি করতে পেরে আমরাও অনেক খুশি।’

রাজৈর উপজেলার ঘোষালকান্দি গ্রামে বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন ইতালিপ্রবাসী লালচান শেখ। ছবি: সংগৃহীত
রাজৈর উপজেলার ঘোষালকান্দি গ্রামে বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন ইতালিপ্রবাসী লালচান শেখ। ছবি: সংগৃহীত

বর লালচাঁন শেখের বাবা ইউনুস শেখ বলেন, ‘আমার চার ছেলে ইতালিপ্রবাসী। আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে ওরা চার ভাই মিলে এই হেলিকপ্টার ভাড়া করেছে। ভবিষ্যতে আমার বাকি তিন ছেলেকেও এভাবে বিয়ে করাব।’

কনের বাবা আলী সরদার বলেন, ‘আমার জামাই তার বাবা-মায়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের বাড়ি এসেছে। এই আয়োজনে আমরা খুব খুশি।’

হেলিকপ্টার দেখতে আসা লাকি খানম বলেন, ‘আমি কখনো হেলিকপ্টার দেখিনি। এখানে আসবে শুনে দেখতে আসলাম। হেলিকপ্টার দেখতে পেয়ে আনন্দ হচ্ছে।’

স্থানীয় গোলাম মাওলা নামের আরও একজন বলেন, ‘এই হেলিকপ্টার ওঠানামা দেখার জন্য গ্রামের বহু মানুষ ভিড় করেছিল। এ ধরনের আয়োজন আমরা আগে দেখিনি। হেলিকপ্টার দেখে পেয়ে আমরা খুব আনন্দ পেয়েছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত