নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আব্দুল করিম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের ‘জিলানী বাহিনীর’ প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীকে দুই সহযোগীসহ গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংস্থাটি বলছে, চক্রটি স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলামকে তাঁরা হত্যা করে। এই হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা আব্দুল করিমকে হত্যা করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার মঈন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জামতলী গ্রামে গত ১৪ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবুল কালাম ও তাঁর দুই ভাতিজাকে বাড়ির সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আবুল কালাম (৫৮) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১৪-এর একটি দল। অভিযানে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আব্দুল কাদের জিলানী (৪৭), তাঁর ভাই আব্দুস সোবহান ও জিলানীর ছেলে রাকিবুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়য়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল কাদের জিলানীর বাঁশঝাড় থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তার দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, নিহত আবুল কালামের ভাতিজা মো. সোহাগ নিহত রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। সেই মামলায় সোহাগ আদালতে সাক্ষী দেওয়ায় জিলানী ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন। এরই জেরে গত ১৪ এপ্রিল রাতে আবুল কালাম হত্যা মামলার বাদী সোহাগ স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল কাদের জিলানীর পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। পরে তাঁর চিৎকারে চাচা আবুল কালামসহ তাঁর ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে আব্দুল কাদের জিলানী, লাল মিয়া ও রাকিবুল ইসলামসহ নয়জন তাঁদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান। তাঁরা আবুল কালামের মাথায়, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এলাকা ত্যাগ করেন।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, পরে সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান জিলানীসহ অন্যান্যরা। জিলানী ও রাকিব ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার কান্দানিয়া এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে গাজীপুর সদর থানার পিরোজালিতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। লাল মিয়া প্রথমে ভালুকায় আত্মগোপন করেন। পরে গাজীপুরের চান্দনা এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সর্বশেষ গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, মূলত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যা মামলা এবং রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। জিলানীর নেতৃত্বে চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের জমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করত। বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ওই এলাকার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯ বছর ধরে একটি রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। প্রায় আট বছর ধরে তিনি স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন। এলাকার বিভিন্ন গরিব মানুষকে প্রায়ই বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। গ্রামের গরিব মানুষ বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসত। তিনি তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, তাঁদের এই কাজের প্রতিবাদ করায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই রাত ১২টার দিকে মতিন মাস্টারকে হত্যা করে তাঁর গলাকাটা মরদেহ পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে রাখে আব্দুল কাদের জিলানী ও তাঁর বাহিনী। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হলে তদন্তে আব্দুল কাদের জিলানীর ভাই তোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন ও তাঁর আরেক সহযোগী মো. মোবারক হোসেনসহ আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এই মামলা থেকে নিজের ভাই ও সহযোগীদের বাঁচাতে এবং স্থানীয়ভাবে ভীতি সঞ্চার করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় কাউকে হত্যা করে মতিন মাস্টার হত্যা মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে হাজিরা থেকে বিরত রাখার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে স্থানীয় একটি স্কুলের দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। এই রফিকুল মতিন মাস্টার হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল মিটিং করে আসছিলেন।
খন্দকার মঈন জানান, দপ্তরি রফিকুল ইসলাম হত্যায় জিলানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এই রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষী মো. সোহাগকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ দুই মামলার সাক্ষীদের হত্যা কিংবা হাত-পা কেটে ফেলার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সাক্ষী সোহাগকে ঘটনার দিন রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হলে তাঁর চাচা নিহত আবুল কালাম তাঁকে বাঁচাতে এসে নির্মমভাবে খুন হন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আব্দুল কাদের জিলানী এলাকায় সন্ত্রাস, ভূমি দখল ও বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে কৃষকদের জমি জোরপূর্বক দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দুটি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান সংক্রান্ত মোট ১২টি মামলা ও ১০টি জিডি রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। জিলানীর অত্যাচারের কারণে মোক্ষপুর, মটবাড়ী ও আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাঁর শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় ত্রিশাল থানাকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
খন্দকার মঈন জানান, গ্রেপ্তার লাল মিয়া জিলানী বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীর বড় ভাই এবং তাঁর সব অপকর্মের অন্যতম প্রধান সহযোগী। রাকিবুল আবুল কালাম হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আব্দুল করিম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের ‘জিলানী বাহিনীর’ প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীকে দুই সহযোগীসহ গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সংস্থাটি বলছে, চক্রটি স্থানীয় কৃষকদের জমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ও রফিকুল ইসলামকে তাঁরা হত্যা করে। এই হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা আব্দুল করিমকে হত্যা করে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার মঈন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জামতলী গ্রামে গত ১৪ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবুল কালাম ও তাঁর দুই ভাতিজাকে বাড়ির সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আবুল কালাম (৫৮) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১৪-এর একটি দল। অভিযানে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আব্দুল কাদের জিলানী (৪৭), তাঁর ভাই আব্দুস সোবহান ও জিলানীর ছেলে রাকিবুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়য়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল কাদের জিলানীর বাঁশঝাড় থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তার দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, নিহত আবুল কালামের ভাতিজা মো. সোহাগ নিহত রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। সেই মামলায় সোহাগ আদালতে সাক্ষী দেওয়ায় জিলানী ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন। এরই জেরে গত ১৪ এপ্রিল রাতে আবুল কালাম হত্যা মামলার বাদী সোহাগ স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল কাদের জিলানীর পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। পরে তাঁর চিৎকারে চাচা আবুল কালামসহ তাঁর ছোট ভাই ও চাচাতো ভাই তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে আব্দুল কাদের জিলানী, লাল মিয়া ও রাকিবুল ইসলামসহ নয়জন তাঁদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালান। তাঁরা আবুল কালামের মাথায়, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এলাকা ত্যাগ করেন।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, পরে সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান জিলানীসহ অন্যান্যরা। জিলানী ও রাকিব ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার কান্দানিয়া এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে গাজীপুর সদর থানার পিরোজালিতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। লাল মিয়া প্রথমে ভালুকায় আত্মগোপন করেন। পরে গাজীপুরের চান্দনা এলাকার একটি বাড়িতে অবস্থান নেন। সর্বশেষ গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অবস্থান নিলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, মূলত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যা মামলা এবং রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা থেকে বাঁচার জন্য তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। জিলানীর নেতৃত্বে চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে এলাকার কৃষকদের জমি দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করত। বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার ওই এলাকার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯ বছর ধরে একটি রাজনৈতিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। প্রায় আট বছর ধরে তিনি স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন। এলাকার বিভিন্ন গরিব মানুষকে প্রায়ই বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। গ্রামের গরিব মানুষ বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসত। তিনি তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন।
র্যাবের মুখপাত্র জানান, তাঁদের এই কাজের প্রতিবাদ করায় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই রাত ১২টার দিকে মতিন মাস্টারকে হত্যা করে তাঁর গলাকাটা মরদেহ পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে রাখে আব্দুল কাদের জিলানী ও তাঁর বাহিনী। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হলে তদন্তে আব্দুল কাদের জিলানীর ভাই তোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন ও তাঁর আরেক সহযোগী মো. মোবারক হোসেনসহ আটজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এই মামলা থেকে নিজের ভাই ও সহযোগীদের বাঁচাতে এবং স্থানীয়ভাবে ভীতি সঞ্চার করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় কাউকে হত্যা করে মতিন মাস্টার হত্যা মামলার সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে হাজিরা থেকে বিরত রাখার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে স্থানীয় একটি স্কুলের দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। এই রফিকুল মতিন মাস্টার হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল মিটিং করে আসছিলেন।
খন্দকার মঈন জানান, দপ্তরি রফিকুল ইসলাম হত্যায় জিলানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এই রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষী মো. সোহাগকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ দুই মামলার সাক্ষীদের হত্যা কিংবা হাত-পা কেটে ফেলার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সাক্ষী সোহাগকে ঘটনার দিন রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হলে তাঁর চাচা নিহত আবুল কালাম তাঁকে বাঁচাতে এসে নির্মমভাবে খুন হন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আব্দুল কাদের জিলানী এলাকায় সন্ত্রাস, ভূমি দখল ও বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে কৃষকদের জমি জোরপূর্বক দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অতিরিক্ত মুনাফায় বিক্রি করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দুটি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান সংক্রান্ত মোট ১২টি মামলা ও ১০টি জিডি রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। জিলানীর অত্যাচারের কারণে মোক্ষপুর, মটবাড়ী ও আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাঁর শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় ত্রিশাল থানাকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
খন্দকার মঈন জানান, গ্রেপ্তার লাল মিয়া জিলানী বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের জিলানীর বড় ভাই এবং তাঁর সব অপকর্মের অন্যতম প্রধান সহযোগী। রাকিবুল আবুল কালাম হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৮ ঘণ্টা আগে