প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় এবং আজ শক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এ চাপ আরও বেড়েছে। ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস-লেগুনা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারসহ মোটরসাইকেলে করে সকাল থেকে পদ্মা পারি দেওয়ার অপেক্ষায় ঘাটে এসে জড়ো হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরা হাজার হাজার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। তবে সব থেকে বেশি যাত্রীদের চাপ ছিল লঞ্চঘাট এলাকার সব কটি পন্টুন জুড়ে।
সরেজমিনে পুরো ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাট এলাকার সব কটি পার্কিং ইয়ারসহ ঘাটের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। এতে দীর্ঘক্ষণ ধরে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকা প্রাইভেটকার ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহনকে ফেরিতে পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। আজ দুপুর দুইটা পর্যন্ত বাস, প্রাইভেটকার, পশুবাহী ট্রাক ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ প্রায় দেড় হাজার যানবাহন ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। এ সময় ফেরিতে ওঠার টার্মিনালমুখী সড়কে প্রাইভেটকারের দীর্ঘ সারির কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অসুস্থ রোগীরা।
অন্যদিকে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। ধারণক্ষমতার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিটি লঞ্চের নেওয়া হচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি যাত্রী। এতে ভরা বর্ষা মৌসুমে উত্তাল পদ্মায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কায় আছেন যাত্রীরা। এ ছাড়াও লঞ্চগুলোর বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও তুলেছেন যাত্রীরা।
গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাদারীপুরের শিবচর যাচ্ছেন শওকত আলম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, লকডাউন আর কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এত দিন ঢাকায় আটকা ছিলাম। তাই দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয়নি। গণপরিবহন চালু হওয়া বাবা-মা স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
পরিবার নিয়ে বরিশালের গ্রামের বাড়ি ফেরা আরেক যাত্রী নয়ন তালুকদার ও তার বাবা স্বপন তালুকদার জানান, লকডাউনের কারণে রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়া হয়নি। লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে এবার পরিবারের সকলের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া লঞ্চগুলোতে দ্বিগুণ যাত্রী ওঠানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ করেন তাঁরা।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, `কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তাই নৌরুটে বর্তমানে ৮২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। তবে কোনো লঞ্চ যাতে ধারণ ক্ষমতার বেশি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে এ ব্যাপারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে অনেক।'
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, `নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দেড় হাজার যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। কিন্তু গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে অনেক।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নৌপথে যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর আছে নৌ-পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজও বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় এবং আজ শক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এ চাপ আরও বেড়েছে। ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস-লেগুনা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারসহ মোটরসাইকেলে করে সকাল থেকে পদ্মা পারি দেওয়ার অপেক্ষায় ঘাটে এসে জড়ো হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরা হাজার হাজার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। তবে সব থেকে বেশি যাত্রীদের চাপ ছিল লঞ্চঘাট এলাকার সব কটি পন্টুন জুড়ে।
সরেজমিনে পুরো ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাট এলাকার সব কটি পার্কিং ইয়ারসহ ঘাটের প্রবেশমুখ থেকে শুরু করে মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। এতে দীর্ঘক্ষণ ধরে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকা প্রাইভেটকার ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহনকে ফেরিতে পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। আজ দুপুর দুইটা পর্যন্ত বাস, প্রাইভেটকার, পশুবাহী ট্রাক ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ প্রায় দেড় হাজার যানবাহন ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। এ সময় ফেরিতে ওঠার টার্মিনালমুখী সড়কে প্রাইভেটকারের দীর্ঘ সারির কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অসুস্থ রোগীরা।
অন্যদিকে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। ধারণক্ষমতার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিটি লঞ্চের নেওয়া হচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি যাত্রী। এতে ভরা বর্ষা মৌসুমে উত্তাল পদ্মায় যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কায় আছেন যাত্রীরা। এ ছাড়াও লঞ্চগুলোর বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও তুলেছেন যাত্রীরা।
গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাদারীপুরের শিবচর যাচ্ছেন শওকত আলম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, লকডাউন আর কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এত দিন ঢাকায় আটকা ছিলাম। তাই দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয়নি। গণপরিবহন চালু হওয়া বাবা-মা স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।
পরিবার নিয়ে বরিশালের গ্রামের বাড়ি ফেরা আরেক যাত্রী নয়ন তালুকদার ও তার বাবা স্বপন তালুকদার জানান, লকডাউনের কারণে রোজার ঈদে বাড়ি যাওয়া হয়নি। লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে এবার পরিবারের সকলের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া লঞ্চগুলোতে দ্বিগুণ যাত্রী ওঠানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ করেন তাঁরা।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, `কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তাই নৌরুটে বর্তমানে ৮২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। তবে কোনো লঞ্চ যাতে ধারণ ক্ষমতার বেশি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে এ ব্যাপারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে অনেক।'
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, `নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দেড় হাজার যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। কিন্তু গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে অনেক।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নৌপথে যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর আছে নৌ-পুলিশ।
রাজধানীর পল্লবীতে তিন ও সাত বছরের দুই ছেলেসন্তানকে গলাকেটে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর বাগেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, বন্ধ চিনিকলগুলো যেন একটার পর একটা চালু করা হয়। ইতিমধ্যে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে আখচাষিদের প্রতিনিধিরাও আছেন, যাঁরা আখ চাষ করছেন তাঁরাও আছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কাজগুলো একটার পর একটা করতে। সেতাবগঞ্জ এক
১৮ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে (৫০) হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। তবে পুলিশের তদন্তে ভিন্ন বিষয় উঠে আসে। পুলিশ বলেছে, গৃহবধূ হত্যায় ছেলে নয়, বাড়ির ভাড়াটি জড়িত। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেসিলেটে প্রায় আড়াই কোটি টাকার চোরাচালানি পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্র ও আজ শনিবার সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে