শ্রীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ব্রিজ-সংলগ্ন খালে কয়েক বছর ধরে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ভ্যানে করে ময়লা ফেলতে দেখা যায়। কয়েক মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একপাশে ময়লার স্তূপ থাকলেও তা বর্তমানে রাস্তার দুপাশে ছড়িয়েছে। আর তা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের মুখে সমাধানের কথা শোনালেও তা বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি আজও। এতে করে একদিকে যেমন পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে, অপর দিকে নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জ্যে অনাবাদি হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি।
স্থানীয় সমাজকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সভা-সেমিনার-মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়েও তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা মনে করেন, জনগণের ভোগান্তি দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ বর্তমানে ক্ষতির শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে দিন-রাত শত শত যানবাহন চলাচল করে। ওই সব যানবাহনের যাত্রী এবং এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হয়। মহাসড়কের ওই স্থান অতিক্রম করার সময় অনেক যাত্রী বমি করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ ধরনের অব্যবস্থাপনা দেশের কোনো পৌরসভায় আছে কি না, জানা নেই। শ্রীপুরের সব সৌন্দর্য নষ্ট করেছে এই ময়লার স্তূপ। প্রভাতি পরিবহনের চালক মো. আলিম উদ্দিন বলেন, `মহাসড়কের এই স্থানে এলেই আর সামনে যেতে মন চায় না। ১০০ মিটার সড়ক পার হতে অনেক কষ্ট হয়। উৎকট দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এ রকম অবস্থা কয়েক বছর ধরে চলছে। দিনের পর দিন আরও বাড়ছে।'
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে কত মন্ত্রী-এমপি চলাচল করেন, `কারও চোখে কি এটা পড়ে না? দিনের পর দিন এই ভোগান্তি বাড়ছে। ময়লার স্তূপের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছে ময়লার গন্ধে। কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়।'
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. খোরশেদ আলম বলেন, মহাসড়কের এই স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো কোনো সময় ময়লা সড়কে ফেলে রাখা হয়। এতে সড়কের প্রশস্ততা কমে যায়। ময়লা পচে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জ্যে আশপাশের শত শত বিঘা জমি অনাবাদি রয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি দারুণ হুমকির মুখে।
শ্রীপুর পৌরসচিব সরকার দলিল উদ্দিন বলেন, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা নেওয়া হয়েছে। কোথায় জায়গা নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, `এটা আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে জায়গা কেনা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে ময়লা ফেলা শুরু হবে।'
শ্রীপুর পৌর মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌরবাসী এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, `এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। আশা করছি, মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পৌরসভা বিনা অনুমতিতে রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। রাস্তার অর্ধেক অংশে ময়লা ফেলায় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা বন্ধ করা হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ব্রিজ-সংলগ্ন খালে কয়েক বছর ধরে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ভ্যানে করে ময়লা ফেলতে দেখা যায়। কয়েক মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একপাশে ময়লার স্তূপ থাকলেও তা বর্তমানে রাস্তার দুপাশে ছড়িয়েছে। আর তা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের মুখে সমাধানের কথা শোনালেও তা বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি আজও। এতে করে একদিকে যেমন পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে, অপর দিকে নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জ্যে অনাবাদি হচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি।
স্থানীয় সমাজকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সভা-সেমিনার-মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়েও তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা মনে করেন, জনগণের ভোগান্তি দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের মানুষ বর্তমানে ক্ষতির শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে দিন-রাত শত শত যানবাহন চলাচল করে। ওই সব যানবাহনের যাত্রী এবং এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীদের নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হয়। মহাসড়কের ওই স্থান অতিক্রম করার সময় অনেক যাত্রী বমি করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ ধরনের অব্যবস্থাপনা দেশের কোনো পৌরসভায় আছে কি না, জানা নেই। শ্রীপুরের সব সৌন্দর্য নষ্ট করেছে এই ময়লার স্তূপ। প্রভাতি পরিবহনের চালক মো. আলিম উদ্দিন বলেন, `মহাসড়কের এই স্থানে এলেই আর সামনে যেতে মন চায় না। ১০০ মিটার সড়ক পার হতে অনেক কষ্ট হয়। উৎকট দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এ রকম অবস্থা কয়েক বছর ধরে চলছে। দিনের পর দিন আরও বাড়ছে।'
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মোসলেম উদ্দিন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে কত মন্ত্রী-এমপি চলাচল করেন, `কারও চোখে কি এটা পড়ে না? দিনের পর দিন এই ভোগান্তি বাড়ছে। ময়লার স্তূপের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছে ময়লার গন্ধে। কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ময়লা-আবর্জনার উৎকট গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়।'
স্থানীয় সমাজকর্মী মো. খোরশেদ আলম বলেন, মহাসড়কের এই স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো কোনো সময় ময়লা সড়কে ফেলে রাখা হয়। এতে সড়কের প্রশস্ততা কমে যায়। ময়লা পচে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন বর্জ্যে আশপাশের শত শত বিঘা জমি অনাবাদি রয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি দারুণ হুমকির মুখে।
শ্রীপুর পৌরসচিব সরকার দলিল উদ্দিন বলেন, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট জায়গা নেওয়া হয়েছে। কোথায় জায়গা নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, `এটা আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে জায়গা কেনা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ীভাবে ময়লা ফেলা শুরু হবে।'
শ্রীপুর পৌর মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌরবাসী এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, `এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। একটি নিরাপদ, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। আশা করছি, মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে স্থানীয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পৌরসভা বিনা অনুমতিতে রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছে। এতে আমরা ভীষণ বেকায়দায় পড়েছি। রাস্তার অর্ধেক অংশে ময়লা ফেলায় ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা বন্ধ করা হবে।’
৮০ বছরের বেশি বয়স আবদুর রশিদের। বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় দিন পার করছেন তিনি। অভাবের সংসারে চিকিৎসার খরচ কিছুটা হলেও মেটাতে পারতেন সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের নম্বরে তিন মাস পরপর এই টাকা আসে। প্রতিবারের মতো এবারও..
১৪ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অন্তবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
১৮ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলে ট্রাক চাপায় এক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা মাজার ভেঙে দিল এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার রাতে রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়িতে গড়ে তোলা বুরহান উদ্দিন (র.) নামের এ মাজার ভেঙে ফেলা হয়।
২৫ মিনিট আগে