সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
রাত পোহালেই ঈদ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে শেষ মুহূর্তে যে যেভাবে পারছেন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনে ছুটছেন। কোনরকমে একটু জায়গা করে নিতে পারলেই তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলছেন তারা। যাত্রার দুর্ভোগ মেনে নিচ্ছেন প্রিয়জনের মুখের হাসির কথা ভেবে। দেশের অন্যান্য স্থানে যেতে বাস, ট্রেনে ভিড় করলেও শেষ মুহূর্তে লঞ্চেই ভরসা রাখছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
আজ শনিবার বিকেলে সদরঘাটে গিয়ে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুরসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে যেতে শনিবার সকাল থেকেই সদরঘাটে ভিড় করছেন রাজধানী ও রাজধানীর আশপাশ থেকে আসা মানুষেরা। এদের অনেকেই বাসে যেতে চাইলেও পাননি টিকিট। আবার ঈদের সময় পদ্মা সেতু এলাকায় অতিরিক্ত চাপের কথা চিন্তা করে লঞ্চেই ভরসা রেখেছেন কেউ কেউ। তাদের একজন জিহাদ হাসান। জিহাদ বলেন, ‘ঈদের সময় বাসে যেতে যে সময় লাগবে লঞ্চেও একই সময় লাগবে। এই গরমে জ্যামে বসে থাকার চেয়ে নদীর পানি দেখতে দেখতে যাওয়া ভালো। তাই বাসের চিন্তা বাদ দিয়ে লঞ্চেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গার্মেন্টস কর্মী সুফিয়া আক্তারের বাড়ি ঝালকাঠি। সব সময়ই তিনি লঞ্চেই যাতায়াত করেন। বাসে উঠলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘ভাবছিলাম এবার পদ্মা সেতু দেখতে দেখতে যাব কিন্তু বাসের কোন টিকিটই পাইলাম না। আর বাসে যারা যাইতেসে তাদের অবস্থাও ভালো না। ভাগ্য ভালো বাসে যাই নাই। লঞ্চে খারাপ লাগলে তাও একটু হাঁটাচলা করা যায়। বাসে একেবারেই দমবন্ধ লাগে।’
সদরঘাটের লঞ্চগুলোতে দেখা যায়, লঞ্চের কোথায় বসার জায়গা নেই। অনেকেই একটু জায়গার জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। অনেকেই এক লঞ্চে উঠে জায়গা না পেয়ে আবার নেমে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকেই কূল কিনারা না পেয়ে নিয়ম অমান্য করে উঠেছেন লঞ্চের ছাদে। মিরপুরের বাসিন্দা আফিউর রহমান সুমন বলেন, ‘নিচেতো যা তা অবস্থা। দেখলাম অনেকেই ছাদে বসছে তাই আমিও উঠলাম। কি করব ভাই, বাড়িতো যেতে হবে।’
বাড়তি যাত্রীর পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় অতিরিক্ত সময় নিয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেষ দিনে যাত্রী কিছুটা বাড়তি নেওয়া হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। পদ্মাসেতু হওয়ায় লঞ্চের যাত্রী প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে তাই বাড়তি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে ভিড় একটু বেশি ছিল কিন্তু আমদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও ছিল। তাই সকাল থেকেই মানুষের চাপ থাকলেও যারাই আসছে সবাই লঞ্চে যার যার গন্তব্যে যেতে পারছেন। কোন দুর্ঘটনা নেই, তেমন হুড়োহুড়িও নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঘাট থেকে ৮০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাত পর্যন্ত ১৩০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে।’
রাত পোহালেই ঈদ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে শেষ মুহূর্তে যে যেভাবে পারছেন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনে ছুটছেন। কোনরকমে একটু জায়গা করে নিতে পারলেই তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলছেন তারা। যাত্রার দুর্ভোগ মেনে নিচ্ছেন প্রিয়জনের মুখের হাসির কথা ভেবে। দেশের অন্যান্য স্থানে যেতে বাস, ট্রেনে ভিড় করলেও শেষ মুহূর্তে লঞ্চেই ভরসা রাখছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
আজ শনিবার বিকেলে সদরঘাটে গিয়ে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুরসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে যেতে শনিবার সকাল থেকেই সদরঘাটে ভিড় করছেন রাজধানী ও রাজধানীর আশপাশ থেকে আসা মানুষেরা। এদের অনেকেই বাসে যেতে চাইলেও পাননি টিকিট। আবার ঈদের সময় পদ্মা সেতু এলাকায় অতিরিক্ত চাপের কথা চিন্তা করে লঞ্চেই ভরসা রেখেছেন কেউ কেউ। তাদের একজন জিহাদ হাসান। জিহাদ বলেন, ‘ঈদের সময় বাসে যেতে যে সময় লাগবে লঞ্চেও একই সময় লাগবে। এই গরমে জ্যামে বসে থাকার চেয়ে নদীর পানি দেখতে দেখতে যাওয়া ভালো। তাই বাসের চিন্তা বাদ দিয়ে লঞ্চেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গার্মেন্টস কর্মী সুফিয়া আক্তারের বাড়ি ঝালকাঠি। সব সময়ই তিনি লঞ্চেই যাতায়াত করেন। বাসে উঠলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘ভাবছিলাম এবার পদ্মা সেতু দেখতে দেখতে যাব কিন্তু বাসের কোন টিকিটই পাইলাম না। আর বাসে যারা যাইতেসে তাদের অবস্থাও ভালো না। ভাগ্য ভালো বাসে যাই নাই। লঞ্চে খারাপ লাগলে তাও একটু হাঁটাচলা করা যায়। বাসে একেবারেই দমবন্ধ লাগে।’
সদরঘাটের লঞ্চগুলোতে দেখা যায়, লঞ্চের কোথায় বসার জায়গা নেই। অনেকেই একটু জায়গার জন্য এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। অনেকেই এক লঞ্চে উঠে জায়গা না পেয়ে আবার নেমে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকেই কূল কিনারা না পেয়ে নিয়ম অমান্য করে উঠেছেন লঞ্চের ছাদে। মিরপুরের বাসিন্দা আফিউর রহমান সুমন বলেন, ‘নিচেতো যা তা অবস্থা। দেখলাম অনেকেই ছাদে বসছে তাই আমিও উঠলাম। কি করব ভাই, বাড়িতো যেতে হবে।’
বাড়তি যাত্রীর পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায় অতিরিক্ত সময় নিয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তবে লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেষ দিনে যাত্রী কিছুটা বাড়তি নেওয়া হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। পদ্মাসেতু হওয়ায় লঞ্চের যাত্রী প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে তাই বাড়তি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে ভিড় একটু বেশি ছিল কিন্তু আমদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও ছিল। তাই সকাল থেকেই মানুষের চাপ থাকলেও যারাই আসছে সবাই লঞ্চে যার যার গন্তব্যে যেতে পারছেন। কোন দুর্ঘটনা নেই, তেমন হুড়োহুড়িও নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঘাট থেকে ৮০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাত পর্যন্ত ১৩০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে