আল-আমিন রাজু, ঢাকা
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার বামই গ্রামের রাকেশ সরকারের ছেলে স্বপন সরকার। বয়স মাত্র ১৮ বছর। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। পেশায় রুটি তৈরির কারিগর। কাজ করেছেন পুরান ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। এরই ফাঁকে ফাঁকে চলছিল শ্রমিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে যাওয়ার প্রস্তুতি। বাকি ছিল শুধু মেডিকেল পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় বসে থাকেননি স্বপন। আবারও যোগ দেন কাজে। ২০ দিন আগে কাজ নেন চকবাজারের পুরান ঢাকার কামালবাগ লেনের বরিশাল হোটেলে। উদ্দেশ্য ছিল মেডিকেল পরীক্ষার টাকার সংস্থান করা।
প্রতিদিনের মতো গত রোববার (১৪ আগস্ট) রাতভর কাজ করেছেন স্বপন। ইচ্ছে ছিল পরের দিন রাতে গ্রামের বাড়ি ফিরবেন। আর এরপরের দিন করাবেন মেডিকেল পরীক্ষা। কিন্তু সেই দিনই তার মেডিকেল পরীক্ষা হলো তবে তা বিদেশে যাওয়ার জন্য নয়, চির বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে। আর তাতেই তার সহকর্মী-স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এর ঘন্টাখানেক পরেই শুরু হয় স্বপনের মরদেহের ময়নাতদন্ত। তা শেষ হলেই বাড়ি ফিরবেন স্বপন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের হিমাগারের সামনে দেখা হয় তাঁর বড় ভাই সজল সরকারের সঙ্গে। ভাইকে হারিয়ে বিলাপ করে কাঁদছিলেন তিনি। ফোনে কার সঙ্গে যেনো কথা বলছিলেন তিনি। ফোনের এ পাশ থেকে তাঁর আহাজারি, মা’রে কি জবাব দেব? ভাইয়ের তো মেডিকেল করার ডেট ছিল। আমরা শেষ হইয়া গেলাম। কথা বলতে বলতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন সজল। পরে তাকে সান্ত্বনা দেন দুই যুবক।
জানতে চাইলে সজল বলেন, ভাইয়ের ওমান যাওয়ার কথা ছিল। সব কাগজপত্র হয়েছিল। ভাই আমাকে বলছিল কাল-পরশু মেডিকেল করাবে। শুধু মেডিকেল করা বাকি। কিন্তু সেটা আর করা হলো না। বিদেশ যেতে ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই তৈরি ছিল তার। মেডিকেল শেষে ভিসা পেলেই বিমানে চরার কথা ছিল আমার ভাইয়ের।
সজল আরও জানান, রোববার রাতে কাজ শেষে সকাল ৮টার দিকে ঘুমাতে যায় স্বপন। তার আগে কথা হয়েছে। ঘুম থেকে উঠেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। ঘুমালেও আর জাগতে পারেননি। সেই ঘুম তাকে নিয়ে গেল পরপারে।
সজলের পাশে থাকা সেই দুই যুবক জানালেন, স্বপনের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার বামই গ্রামে। মাত্র ২০ দিন আগে সেই হোটেলে কাজ নেন স্বপন। এরই ফাঁকে সে ওমান যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সব প্রস্তুতি থামিয়ে দিল বরিশাল হোটেলের আগুন। কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে থাকা স্বপনসহ তার আরও পাঁচ সহকর্মীর প্রাণ যায় এই আগুনে।
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার বামই গ্রামের রাকেশ সরকারের ছেলে স্বপন সরকার। বয়স মাত্র ১৮ বছর। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। পেশায় রুটি তৈরির কারিগর। কাজ করেছেন পুরান ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। এরই ফাঁকে ফাঁকে চলছিল শ্রমিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে যাওয়ার প্রস্তুতি। বাকি ছিল শুধু মেডিকেল পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় বসে থাকেননি স্বপন। আবারও যোগ দেন কাজে। ২০ দিন আগে কাজ নেন চকবাজারের পুরান ঢাকার কামালবাগ লেনের বরিশাল হোটেলে। উদ্দেশ্য ছিল মেডিকেল পরীক্ষার টাকার সংস্থান করা।
প্রতিদিনের মতো গত রোববার (১৪ আগস্ট) রাতভর কাজ করেছেন স্বপন। ইচ্ছে ছিল পরের দিন রাতে গ্রামের বাড়ি ফিরবেন। আর এরপরের দিন করাবেন মেডিকেল পরীক্ষা। কিন্তু সেই দিনই তার মেডিকেল পরীক্ষা হলো তবে তা বিদেশে যাওয়ার জন্য নয়, চির বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে। আর তাতেই তার সহকর্মী-স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এর ঘন্টাখানেক পরেই শুরু হয় স্বপনের মরদেহের ময়নাতদন্ত। তা শেষ হলেই বাড়ি ফিরবেন স্বপন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের হিমাগারের সামনে দেখা হয় তাঁর বড় ভাই সজল সরকারের সঙ্গে। ভাইকে হারিয়ে বিলাপ করে কাঁদছিলেন তিনি। ফোনে কার সঙ্গে যেনো কথা বলছিলেন তিনি। ফোনের এ পাশ থেকে তাঁর আহাজারি, মা’রে কি জবাব দেব? ভাইয়ের তো মেডিকেল করার ডেট ছিল। আমরা শেষ হইয়া গেলাম। কথা বলতে বলতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন সজল। পরে তাকে সান্ত্বনা দেন দুই যুবক।
জানতে চাইলে সজল বলেন, ভাইয়ের ওমান যাওয়ার কথা ছিল। সব কাগজপত্র হয়েছিল। ভাই আমাকে বলছিল কাল-পরশু মেডিকেল করাবে। শুধু মেডিকেল করা বাকি। কিন্তু সেটা আর করা হলো না। বিদেশ যেতে ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই তৈরি ছিল তার। মেডিকেল শেষে ভিসা পেলেই বিমানে চরার কথা ছিল আমার ভাইয়ের।
সজল আরও জানান, রোববার রাতে কাজ শেষে সকাল ৮টার দিকে ঘুমাতে যায় স্বপন। তার আগে কথা হয়েছে। ঘুম থেকে উঠেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। ঘুমালেও আর জাগতে পারেননি। সেই ঘুম তাকে নিয়ে গেল পরপারে।
সজলের পাশে থাকা সেই দুই যুবক জানালেন, স্বপনের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার বামই গ্রামে। মাত্র ২০ দিন আগে সেই হোটেলে কাজ নেন স্বপন। এরই ফাঁকে সে ওমান যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সব প্রস্তুতি থামিয়ে দিল বরিশাল হোটেলের আগুন। কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে থাকা স্বপনসহ তার আরও পাঁচ সহকর্মীর প্রাণ যায় এই আগুনে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে