রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
১৪টি কালো ভালুক দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। কে না জানে, এই পার্কটির অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুরে। ভালুক কিন্তু এ দেশে মহা বিপণ্ন প্রাণী।
নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কালো ভালুকগুলো উদ্ধার করে। পরে হস্তান্তর করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখানে ৯টি পুরুষ ও ৫টি নারী ভালুক দিব্যি হেসেখেলে বেড়াচ্ছে।
ভালুকের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। যে বৈশিষ্ট্যগুলো পার্কে আসা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারে। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভালুক দেখে খুবই আনন্দ পায়।
কালো ভালুকের কাঁধে কুচক আছে। হাঁটার সময় মানুষের মতোই দুই পায়ে হাঁটে, সামনের দুই পা ওপরে তুলে রাখে। প্রচণ্ড ঘাণশক্তি এদের। এরা খাবার সংগ্রহে ঘ্রাণশক্তির ওপর নির্ভর করে।
এরা হিংস্র হয়ে ওঠে প্রজননের সময়। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পরপরই মা ভালুক বড় একটা গর্ত তৈরি করে নেয়। শাবককে সেই গর্তে রেখে দেয়। বাচ্চাটা এত ছোট থাকে যে তার শরীরে পশম গজায় না, চোখ ফোটে না। এ সময় পুরুষ ভালুককে গর্তের কাছেও ঘেঁষতে দেয় না মা ভালুক। মা ভালুক নিজেই শাবকের পরিচর্যা করে থাকে।
কালো ভালুক উচ্চতায় ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরের দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে ১৭০ সেন্টিমিটার বা ক্ষেত্র বিশেষ কমবেশি হয়ে থাকে। লেজ সাধারণত ৮ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ পুরুষ ভালুক স্ত্রীর চেয়ে বেশি বড় হয়। কালো ভালুকের দেহের সঙ্গে মিলিয়ে রয়েছে বড় বড় কান, পায়ে বড় বড় নখ। এই নখ গাছে উঠতে সাহায্য করে। এ জন্য এরা সহজে গাছে উঠে খুনসুটি করতে পারে।
মুক্ত থাকলে ভালুক হরিণ, খরগোশ, মাছ খায়। বিভিন্ন গাছের বাকল খায়। তবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মাংস দেওয়া হয় না ভালুককে। এখানে খাদ্য বলতে সবজি। মাংস খেলে নাকি ভালুক হিংস্র হয়ে যায়, তাই মিষ্টিকুমড়া, শসা, গাজর, মিষ্টি আলু, কলা, আপেল ও রুটির সঙ্গে মধু মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে খাদ্যতালিকা। এরা মধু খেতে বেশি পছন্দ করে। তার জন্য পার্কের ভেতর গাছের মধ্যে মৌচাক ভেঙে মধু খায় ওরা।
কথাগুলো জানা গেল সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খানের কাছ থেকে।
সাফারি পার্কের দর্শনার্থীরা ভালুক দেখে আনন্দ পান। ভালুকবেষ্টনীতে ঢুকলেই ভালুকগুলো দর্শনার্থীদের নজর কেড়ে নেয়। কোনো সময় বেষ্টনীর ভেতর খালি মাঠে বসে ওরা খাবার খায়। কখনো বেষ্টনীর ভেতর থাকা বিভিন্ন গাছের মগডালে বসে খুনসুটি করে। গাছের ডালে শুয়ে ঘুমায়।
সাধারণত চিড়িয়াখানায় হিংস্র প্রাণী থাকে খাঁচায় বন্দী, মানুষ মুক্ত থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হিংস্র প্রাণীগুলো সাফারি পার্কবেষ্টনীতে মুক্ত থাকে, আর দর্শনার্থীরা গাড়ির ভেতর থাকেন বন্দী। তাই কালো ভালুক দেখতে হলে থাকতে হবে গাড়িতে বন্দী, দেখতে হবে মুক্ত ভালুক!
১৪টি কালো ভালুক দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। কে না জানে, এই পার্কটির অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুরে। ভালুক কিন্তু এ দেশে মহা বিপণ্ন প্রাণী।
নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কালো ভালুকগুলো উদ্ধার করে। পরে হস্তান্তর করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখানে ৯টি পুরুষ ও ৫টি নারী ভালুক দিব্যি হেসেখেলে বেড়াচ্ছে।
ভালুকের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। যে বৈশিষ্ট্যগুলো পার্কে আসা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারে। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভালুক দেখে খুবই আনন্দ পায়।
কালো ভালুকের কাঁধে কুচক আছে। হাঁটার সময় মানুষের মতোই দুই পায়ে হাঁটে, সামনের দুই পা ওপরে তুলে রাখে। প্রচণ্ড ঘাণশক্তি এদের। এরা খাবার সংগ্রহে ঘ্রাণশক্তির ওপর নির্ভর করে।
এরা হিংস্র হয়ে ওঠে প্রজননের সময়। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পরপরই মা ভালুক বড় একটা গর্ত তৈরি করে নেয়। শাবককে সেই গর্তে রেখে দেয়। বাচ্চাটা এত ছোট থাকে যে তার শরীরে পশম গজায় না, চোখ ফোটে না। এ সময় পুরুষ ভালুককে গর্তের কাছেও ঘেঁষতে দেয় না মা ভালুক। মা ভালুক নিজেই শাবকের পরিচর্যা করে থাকে।
কালো ভালুক উচ্চতায় ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। শরীরের দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে ১৭০ সেন্টিমিটার বা ক্ষেত্র বিশেষ কমবেশি হয়ে থাকে। লেজ সাধারণত ৮ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ পুরুষ ভালুক স্ত্রীর চেয়ে বেশি বড় হয়। কালো ভালুকের দেহের সঙ্গে মিলিয়ে রয়েছে বড় বড় কান, পায়ে বড় বড় নখ। এই নখ গাছে উঠতে সাহায্য করে। এ জন্য এরা সহজে গাছে উঠে খুনসুটি করতে পারে।
মুক্ত থাকলে ভালুক হরিণ, খরগোশ, মাছ খায়। বিভিন্ন গাছের বাকল খায়। তবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে মাংস দেওয়া হয় না ভালুককে। এখানে খাদ্য বলতে সবজি। মাংস খেলে নাকি ভালুক হিংস্র হয়ে যায়, তাই মিষ্টিকুমড়া, শসা, গাজর, মিষ্টি আলু, কলা, আপেল ও রুটির সঙ্গে মধু মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে খাদ্যতালিকা। এরা মধু খেতে বেশি পছন্দ করে। তার জন্য পার্কের ভেতর গাছের মধ্যে মৌচাক ভেঙে মধু খায় ওরা।
কথাগুলো জানা গেল সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খানের কাছ থেকে।
সাফারি পার্কের দর্শনার্থীরা ভালুক দেখে আনন্দ পান। ভালুকবেষ্টনীতে ঢুকলেই ভালুকগুলো দর্শনার্থীদের নজর কেড়ে নেয়। কোনো সময় বেষ্টনীর ভেতর খালি মাঠে বসে ওরা খাবার খায়। কখনো বেষ্টনীর ভেতর থাকা বিভিন্ন গাছের মগডালে বসে খুনসুটি করে। গাছের ডালে শুয়ে ঘুমায়।
সাধারণত চিড়িয়াখানায় হিংস্র প্রাণী থাকে খাঁচায় বন্দী, মানুষ মুক্ত থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হিংস্র প্রাণীগুলো সাফারি পার্কবেষ্টনীতে মুক্ত থাকে, আর দর্শনার্থীরা গাড়ির ভেতর থাকেন বন্দী। তাই কালো ভালুক দেখতে হলে থাকতে হবে গাড়িতে বন্দী, দেখতে হবে মুক্ত ভালুক!
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লুৎফল আমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি মাছের প্রজেক্ট দেখতে যাচ্ছিলাম। আজমপুর রেলওয়ে কলোনি মসজিদের সামনে দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর আরও ৪-৫ জন যুবক এসে স্বাধীনকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে স্বপন স্বাধীনকে লম্বা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। বিষয়টি তাৎক্
২৯ মিনিট আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর এত ভরসা করত, কিন্তু তাদের খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম
৪৩ মিনিট আগেতিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
২ ঘণ্টা আগে